1. khaircox10@gmail.com : admin :
জীবনভর রোগে ভুগেছেন আমেরিকার ৯ প্রেসিডেন্ট - coxsbazartimes24.com
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৭:১১ অপরাহ্ন
শিরোনাম
প্রকাশিত সংবাদে পাহাড়তলীর আবদুর রহমানের প্রতিবাদ কক্সবাজার হজ কাফেলার উদ্যোগে হজ ও ওমরাহ কর্মশালা বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে কক্সবাজারে ছাত্রলীগের ইফতার বিতরণ রোহিঙ্গা রেসপন্সে বিশ্বব্যাংকের ঋণকে প্রত্যাখ্যান করেছে অধিকার-ভিত্তিক সুশীল সমাজ হযরত হাফসা (রাঃ) মহিলা হিফজ ও হযরত ওমর (রাঃ) হিফজ মাদ্রাসার দস্তারবন্দী অনুষ্ঠান নারী দিবসের অঙ্গীকার, গড়বো সমাজ সমতার – স্লোগানে মুখরিত কক্সবাজার প্রকাশিত সংবাদের বিরুদ্ধে পেশকার পাড়ার ফরিদুল আলমের প্রতিবাদ কক্সবাজারে কোস্ট ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে মাতৃভাষা দিবস পালন ফুলছড়িতে বনভূমি দখল, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ তানযীমুল উম্মাহ হিফয মাদরাসার বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা

জীবনভর রোগে ভুগেছেন আমেরিকার ৯ প্রেসিডেন্ট

  • আপডেট সময় : সোমবার, ১৫ জুন, ২০২০
  • ৩২২ বার ভিউ
ছবির কোলাজ

কক্সবাজার টাইমস২৪ ডেস্ক:
জর্জ ওয়াশিংটন থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্প পর্যন্ত আমেরিকায় মোট ৪৫জন প্রেসিডেন্ট এসেছেন। তাদের বেশিরভাগই ব্যক্তিগত জীবনে খাদ্যাভ্যাসে ভালো ছিলেন। নিয়মিত ব্যায়াম করতেন এবং সাধারণ জনগণকে কর্মক্ষম জীবনচর্চায় সহযোগিতা করতে নানাবিধ উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।

তবে আমেরিকার বেশ কজন প্রেসিডেন্ট ছিলেন, যারা সারা জীবন নানা রোগে ভুগেছেন। আমেরিকার ইতিহাসে এমন নয়জন রুগ্ন প্রেসিডেন্টকে নিয়ে সাজানো হয়েছে এই প্রতিবেদন।

গ্রোভার ক্লিভল্যান্ড
সাম্প্রতিক গবেষণায় জানা যায়, গ্রোভার ক্লিভল্যান্ড ছিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্টদের মধ্যে শারীরিকভাবে সবচেয়ে বেশি অসুস্থ। তার ভাতিজা-ভাগিনারা তাকে ‘আঙ্কেল জাম্বো’ বলে ডাকতো। আমেরিকার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভারী এই প্রেসিডেন্টের ওজন ছিল ২৫০ পাউন্ড। অধিক তেল-চর্বিযুক্ত খাবার (রিচ ফুড) এবং অ্যালকোহলের প্রতি তার ছিল তীব্র আকাঙ্ক্ষা। তিনি একবার প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, দিনে সর্বোচ্চ ৪ গ্লাস বিয়ার পান করবেন। কিন্তু খুব দ্রুত বুঝতে পারেন প্রতিজ্ঞার পরিমাণটা খুবই কম হয়েছে। ধূমপায়ী ক্লিভল্যান্ড পরবর্তীতে ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। এক পর্যায়ে তার পায়ে বাত রোগ দেখা দেয়। ফলে তিনি খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলতেন।

ডুইট ডেভিড আইজেনহাওয়ার
ডুইট ডি আইজেনহাওয়ার শেষ জীবনে নানারকম অসুখে জর্জরিত ছিলেন। তিনি যখন প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হন তখন তিনি অ্যাপেনডিক্স কেটে ফেলেন। এজন্য পাকস্থলীর পীড়ায় ভোগেন। ১৯৯৫ সালে তার প্রথম হার্ট অ্যাটাক হয়। পরের বছরই তার ক্রোহন’স ডিজিজ (অন্ত্রের প্রদাহজনিত রোগ) ধরা পড়ে। এর পরের বছর তার স্ট্রোক হয়। শারীরিক এত সমস্যার কারণে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে হাউস থেকে নিরুৎসাহিত করা হয়। কিন্তু সবকিছু উপেক্ষা করে দ্বিতীয়বারও অংশ নিয়ে জয়লাভ করেন। এদিকে তার স্বাস্থ্য ক্রমাগত ভেঙে পড়তে থাকে। ষাটোর্ধ্ব আইকি (আইজেনহাওয়ার) তখন নানাবিধ অসুখে জর্জরিত হয়ে অনেক বুড়িয়ে গিয়েছেন।

ওয়ারেন জি হার্ডিং
আমেরিকার ২৯তম প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে থেকেই ওয়ারেন হার্ডিংয়ের উচ্চ রক্তচাপ ছিল এবং প্রি ডায়াবেটিসের পর্যায়ে ছিলেন। ১৯১৮ সালে তার ওজন ছিল ২০০ পাউন্ড। অন্যদিকে তার তামাকের নেশাও ছিল। প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন তার স্বাস্থ্যের অবনতি হতে থাকে। খুব দুর্বল হয়ে পড়েন। ১৯২৩ সালের আগস্টে আকস্মিক হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। আমেরিকার যে চারজন প্রেসিডেন্ট অফিস কক্ষে মৃত্যুবরণ করেছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম হার্ডিং।

অ্যান্ড্রু জ্যাকসন
অ্যান্ড্রু জ্যাকসন জীবনের বেশির ভাগ সময় অসুস্থ থেকেছেন। আমেরিকান বিপ্লবের সময় তার বয়স ছিল ১২ বছর। এ সময় তিনি বার্তাবাহক হিসেবে কাজ করেছেন। এক পর্যায়ে তাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়। সেখানে তিনি গুটি বসন্তে আক্রান্ত হন। এর ঠিক ৩৫ বছর পর অর্থাৎ ১৮১২ সালে আমেরিকা-ব্রিটিশ যুদ্ধের সময় তিনি ম্যালেরিয়া এবং আমাশয় রোগে আক্রান্ত হন। দ্বিতীয় রোগটি তার পরিপাকনালীকে সারাজীবনের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত করে। এসব রোগে তিনি সারাজীবনই কষ্ট পেয়েছেন। জ্যাকসন ডুয়েল লড়াইয়ের জন্য পরিচিত ছিলেন, যা তাকে আরো ক্ষতিগ্রস্ত করে। ডুয়েল লড়াইয়ের সময় বাহুতে গুলিবিদ্ধ হন। এজন্য পরবর্তী জীবনে ব্যথা তার নিত্যসঙ্গী ছিল। বুকে বিদ্ধ হয় আরেকটি বুলেট। কিন্তু অস্ত্রোপচার অসাধ্য হওয়ায় তাকে বুকে পারদের বিষ নিয়ে জীবনের বাকি দিন বাঁচতে হয়েছে।

জন এফ কেনেডি
সবচেয়ে কম বয়স্ক প্রেসিডেন্ট হিসেবে জন এফ কেনেডির হয়তো সবচেয়ে সু-স্বাস্থ্যের উদাহরণ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রকৃত ঘটনা মোটেও তা ছিল না। কেনেডি নিয়মিত ব্যথায় ভুগেছেন। শৈশবে তিনি পরিপাকতন্ত্রের সমস্যায় জর্জরিত ছিলেন। যা পরবর্তীতে এডিসন’স ডিজিজ (কিডনির ক্ষীণতা রোগ) এ রূপ নেয়। এজন্য দীর্ঘস্থায়ীভাবে পিঠের ব্যথায় ভোগেন তিনি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্যস্ত হয়ে পড়েন জন এফ কেনেডি। যার কারণে এই ব্যথা পরবর্তীতে ভয়াবহ রূপ লাভ করে। পুরো জীবনে জন এফ কেনেডি অনেকগুলো সার্জারি করিয়েছেন। তার ঘুমেরও সমস্যা ছিল। বলা যায়, বিভিন্ন ঘুমের ওষুধের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছিলেন। এত কিছুর পরও সিগারেট ছাড়তে পারেননি তিনি। বরং নিয়মিত ধূমপান করতেন। জন এফ কেনেডির শারীরিক অবস্থার এসব বিষয়ের বেশিরভাগই গোপন রাখা হয়েছিল, তার তারুণ্য ও জীবনী শক্তির মিথ্যা একটা চিত্রকে বাঁচিয়ে রাখতে।

জেমস মনরো
জেমস মনরো ছিলেন আমেরিকার পঞ্চম প্রেসিডেন্ট। ১৭৮৫ সালে মিসিসিপি নদী ভ্রমণকালে তিনি ম্যালেরিয়া জ্বরে আক্রান্ত হন। যা তার পরবর্তী জীবনে স্বাস্থ্যহানিতে প্রভাব ফেলে। ১৮২৫ সালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রায় মরতে বসেছিলেন। ১৮৩০ সালে তিনি ফুসফুসের রোগে আক্রান্ত হন। লক্ষণ দেখে ধারণা করা হয়েছিল তার যক্ষ্মা হয়েছে। এর ফলে তার শ্বাসকষ্ট হতো এবং কাশির সঙ্গে রক্ত আসতো। এই রোগে ভোগে ১৮৩১ সালে মারা যান তিনি।

রোনাল্ড রেগ্যান
প্রেসিডেন্ট থাকাকালীনই রোনাল্ড রেগ্যানের বেশ কিছু স্বাস্থ্য ঝুঁকি দেখা দেয়। ১৯৮৫ সালে তিনি অন্ত্র থেকে বেশকিছু পলিপ বের করান, যার মধ্যে একটি ছিল ক্যান্সারে আক্রান্ত। দুই বছর পর তার নাক থেকে চর্মজনিত ক্যান্সারের কিছু অংশ কেটে ফেলে দিতে হয়। দায়িত্বে থাকাকালীন তার আলহেইমার’স ডিজিজ ধরা পড়ে। তিনি প্রেসিডেন্ট পদে দায়িত্ব পালন করে গেলেও অনেকেই মনে করেন—এই রোগ তাকে মারাত্মকভাবে ভুগিয়েছিল। দুর্ভাগ্যজনকভাবে তিনিও একজন চেইন স্মোকার ছিলেন। ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার বদলে তিনি প্রচুর পরিমাণে ক্যান্ডি গলাধঃকরণ করতেন।

উইলিয়াম ট্র্যাফট
৩১৪ পাউন্ড ওজনের উইলিয়াম ট্র্যাফট আমেরিকার ইতিহাসে সবচেয়ে ভারী প্রেসিডেন্ট। সেসময়ের চিকিৎসাশাস্ত্র উচ্চ ভারের সম্ভাব্য ক্ষতি সম্পর্কে অনুন্নত থাকায় তার চিকিৎসকেরা কখনোই ঠিকমতো চিকিৎসা করতে পারেননি। তিনি প্রতিদিন সকালের নাস্তায় ১২ আউন্সের মাংসের চাপ খেতেন। ট্র্যাফট নিদ্রাহীনতায়ও ভুগেছেন। তিনি সবসময় শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্লান্ত থাকতেন এবং অনেক গুরুত্বপূর্ণ সভায় ঘুমিয়ে পড়তেন। জনশ্রুতি আছে, তিনি গলফের মাঠেও ঘুমিয়ে পড়তেন।

উড্রো উইলসন
উড্রো উইলসন সবচেয়ে কর্মঠ প্রেসিডেন্টদের একজন হিসেবে সুপরিচিত ছিলেন। কিন্তু সেই কার্যনীতি তার স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলে। তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ক্যারি টি গ্রেইসন প্রেসিডেন্ট পদের শুরুর দিকেই তার স্বাস্থ্যের ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। ১৯১৯ সালে তার বড় ধরনের স্ট্রোক হয়। যার ফলে তিনি আংশিক পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়েন। একঘেয়েমি করে তিনি পদত্যাগের প্রস্তাবও প্রত্যাখ্যান করেন। এরপর উইলসন জনগণের কাছে নিজের অসুস্থতা ঢাকতে বিরামহীনভাবে কাজ করে যেতে থাকেন। পক্ষাঘাতগ্রস্ত হওয়ার পর তার স্ত্রী আড়ালে থেকে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন। এতে করে তার আরো মানসিক চাপ বৃদ্ধি পায় এবং স্বাস্থ্যহানি ঘটে।

খবরটি সবার মাঝে শেয়ার করেন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সব ধরনের নিউজ দেখুন
© All rights reserved © 2020 coxsbazartimes24
Theme Customized By CoxsTech