শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৭ পূর্বাহ্ন
শাহী কামরান:
সারাবিশ্ব আজ থমকে গেছে করোনা ভাইরাসের থাবায়। বাংলাদেশও কোন অংশে কম নই। তারই ধারাবাহিকতায় কক্সবাজার শহরে চলছে রেডজোন। করোনা রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। কক্সবাজারে কিছু সংখ্যক করোনা ইউনিট বা আইসোলেশন সেন্টার করতে সক্ষম হয়েছে জেলা প্রশাসন। যেখানে আর কয়েকদিন পরেই নতুন রোগীদের যায়গা দেওয়া সম্ভব হবেনা বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। সেই বিষয়টি কে মাথায় রেখে রামু উপজেলার মিঠাছড়ি ইউনিয়নের চেইন্দা হোপ ফাউন্ডেশন আশার আলো দেখালেন। প্রাথমিকভাবে ৫০ শয্যা বিশিষ্টি আইসোলেশন সেন্টার উদ্বোধন করলেন তারা।
হোপ ফাউন্ডেশন ফর উইমেন এন্ড চিলড্রেন অব বাংলাদেশ পরিচালিত চেইন্দা এলাকায় অবস্থিত হোপ হসপিটাল পরিদর্শন করলেন রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রণয় চাকমা। হোপ ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি ডাইরেক্টর কে এম জাহিদুজ্জামান এবং সিনিয়র কর্মকর্তাবৃন্দ তাকে অভ্যর্থনা জানান। পরে উক্ত কর্মকর্তাবৃন্দ হোপ ফাউন্ডেশনের নতুন নির্মাণাধীন হোপ ম্যাটার্নিটি ও ফিস্টুলা সেন্টারে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হোপ আইসোলেশন সেন্টারের বিভিন্ন বিভাগ ঘুরে দেখান।
এইসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রণয় চাকমা জানান, জেলা প্রশাসন এবং উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক সহায়তা থাকবে। সেই সাথে দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে হোপ ফাউন্ডেশন এগিয়ে আসায় আমি তাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তাদের সেবামূ্লক কর্মকাণ্ডে কক্সবাজারবাসী কৃতজ্ঞ থাকবে। বিশেষ করে এই সড়কে একটি আইসোলেশন সেন্টার খুবি গুরুত্ববহন করবে বলে মনে করি।
উল্লেখ্য যে, উক্ত হোপ আইসোলেশন ইউনিটের মাধ্যমে প্রাথমিক ও মধ্যম টাইপের করোনা রোগীদের সেবা প্রদান করা হবে।
এ প্রসঙ্গে কান্ট্রি ডিরেক্টর কে এম জাহিদুজ্জামান বলেন, স্বল্প সংখ্যক জনবল ও সরঞ্জাম নিয়ে চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছি। বিগত ২১ বছরের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে হোপ হসপিটালের অভিজ্ঞতা রয়েছে।
সরকারী-বেসরকারী এবং স্থানীয় জনগণের সার্বিক সহায়তা পেলে আমরা স্থানীয় জনগণের করোনা সেবা দিতে পারবো।
আমেরিকা প্রবাসী ডা. ইফতিখার মাহমুদ এর অক্লান্ত পরিশ্রম ও মেধার মাধ্যমে কক্সবাজার জেলায় মাতৃমৃত্যু, শিশু মৃত্যুর হার কমানো এবং ফিস্টুলা মুক্ত করার জন্যই বিভিন্ন স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তারই সার্বিক তত্ত্বাবধানে উক্ত করোনা ইউনিটটি পরিচালিত হবে। উল্লেখ্য যে, হোপ ফাউন্ডেশন উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের মধুছরা নামক স্থানের ক্যাম্প-৪ এ আরেকটি ৫০ শয্যার হোপ আইসোলেশন সেন্টার চালু করেছে, যার মাধ্যমে রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগণের চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে।
উক্ত খবর ছড়িয়ে পড়লে, স্থানীয় ও লিংকরোডের আশপাশের লোকজনের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে। তারা হোপ ফাউন্ডেশনের প্রতি সাধুবাদ জানিয়েছেন।