শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৫২ পূর্বাহ্ন
সাহাব উদ্দিন:
১. মুসলমানদের ৫ বার ওযু করা অর্থাৎ হাত মুখ ইত্যাদি ধোঁয়া ফরজ, করোনা থেকে বাচতে হলেও ভাল করে হাত মুখ ধুয়ে পরিস্কার রাখা বিশ্ব স্বীকৃত …
২. মুসলমান মেয়েদের পর্দাকে বিশেষ করে নেকাবকে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অনেক অবমাননা করা হয়েছিল, বিভিন্ন দেশের সংসদে আইন পাশ করে নিষিদ্ধও করা হয়েছে। কিন্তু আল্লাহর কি কুদরতি, করোনা দিয়ে আল্লাহ পাক নেকাবের আদলে মাস্ককে অধিকাংশ ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক করে দিলেন। সারাবিশ্বের রাষ্ট্রপ্রধান থেকে শুরু ছোট বড় সবাই ইসলামে মেয়েদের জন্য যেটি ফরজ করছেন তার উপকার যে অবশ্যই আছে তা ভিন্ন ভাবে হলেও সবাইকে বুঝিয়ে দিচ্ছেন।
৩. অনেক নাস্তিক বলে, আমরা না দেখে কোন কিছুকে বিশ্বাস করি না। কিন্তু আল্লাহ বলেন, খুটি ছাড়া দাড়িয়ে থাকা আমার আকাশ, শুষ্ক বীজ রুপনের পর মৃত জমিন থেকে সবুজ অঙুর বের হওয়া, বিশাল পাহাড়, রাত দিনের আবর্তন, ইত্যাদি নিদর্শন, সিম্পটম বা লক্ষণ দেখে আমি সৃষ্টি কর্তার প্রতি ঈমান আন, ভয় কর। এত সিম্পটমের পরেও অধিকাংশ মানুষ গাফেল, ঈমান আনে না। কিন্তু করোনা!! – দেখা যায় না, ছুয়া যায় না, স্বাদ নেয়া যায় না, অনুভব করা যায় না, এরপরও কিছু সর্দি, কাশি, জ্বর ইত্যাদি সিম্পটম দেখে মনে করে তার করোনা হইছে। আল্লাহুয়াকবর…. একবার ভাবুন, মানুষ কত জাহেল! কত বৈঈমান! করোনাকে না দেখার পরও কিছু সিম্পটম দেখেই বিশ্বাস করে যে এর করোনা হয়েছে বা হতে পারে, অথচ প্রকৃতিতে হাজার হাজার নিদর্শন বিদ্যমান, এতকিছু দেখেও, আমরা আল্লাহর অস্তিত্ব বিশ্বাস করি না!!! করোনা থেকে বাচার জন্য কত সতর্কতা!! কত আয়োজন!! কত পেরেশানি!! আর অনন্তকালের জাহান্নামের আজাব থেকে বাচার জন্য কি প্রস্তুতি নিচ্ছি?? কতটুকু সাবধান হচ্ছি??
৪. করোনা ভাইরাসে উৎপত্তি, চীনের হারাম জিনিস তথা অখাদ্য কুখাদ্য থেকেই হয়েছে বলে অধিকাংশ বিশ্লেষকের অভিমত। সুতরাং যা কুরআন হালাল করেছে তাতেই মঙ্গল, আর হারামে করোনার মত গজব বা বিপদ লুকিয়ে আছে।
৫. চিকিৎসা…. আমার কেন জানি মনে হয়, মহান আল্লাহ পাক কোন উৎকৃষ্ট মানের খাদ্য বা ওষুধী জিনিসেই এর নিরাময় বিদ্যমান রেখেছেন, যা কুরআন বা হাদিসে উল্লেখ আছে। আমাদেরকে গবেষণা বা উপলব্ধির মাধ্যমে তা খুঁজে নিতে হবে।
আল্লাহু আলম….. ।
মহান রব আমাদেরকে হেদায়েত দিক, সুস্থতা দান করুক, আমিন।