শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০:২৮ পূর্বাহ্ন
জয়নাল আবেদীন হাজারীঃ
দোহাজারি থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত সম্পরসারিত স্বপ্নের রেললাইন প্রকল্প দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী গ্রাম বৃহত্তর হাজিপাড়া-জানারঘোনার ১০ হাজার জনগোষ্ঠীর কাছে। পানির এতদিনের স্বাভাবিক প্রবাহ বন্ধ করে নির্মিতব্য রেললাইনে প্রকল্পে পানি নিষ্কাশনের জন্য পর্যাপ্ত কালভার্ট না রাখায় দু’গ্রামের বিপুল সংখ্যক মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। সামান্য বৃষ্টিপাতেই কয়েক ফুট পানির নিচে তলিয়ে যাচ্ছে শত শত বসত ঘর। যার কারণে করোনা সংকটের এই দুঃসময়ে ঘুমোতেও পারছেনা ঘর বন্দি মানুষ। নিত্য দিনের ব্যবহার্য ও পয়ঃনিষ্কাশনের পানির সাথে উপর থেকে ধেয়ে আসা তিনটি নালার পানি একাকার হয়ে পড়ায় মারাত্মক দূর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। জলমগ্ন দু’টি গ্রামে মশার প্রজনন বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে ভয়ানক করোনাকালে টাইফয়েড, আমাশয়, কলেরা, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়ার মতো মারাত্মক রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশংকা করেছেন স্থানীয়রা।
এদিকে গত ২৪ ঘন্টার ভারি টানা বর্ষণে বন্যার পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে নির্মিতব্য কক্সবাজার রেল স্টেশনের নিকটবর্তী হাজিপাড়া, জানারঘোনা গ্রামে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে হাজিপাড়ার বাসিন্দা ও কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান রশিদ মিয়া জানান, বড় কষ্টে আছি। আমার ঘরে ২/৩ ফুট পানি। নির্মিতব্য রেল লাইন প্রকল্পের হাজিপাড়া, জানারঘোনা অংশে ন্যুনতম দু’টি কালভার্ট নির্মাণ না করলে স্থায়ী জলাবদ্ধতার কারণে গ্রাম ছেড়ে চলে যেতে হবে। হাজিপাড়ার সন্তান, পিডিবি কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইসহাক জানান, নিজেদের সব জমি রেলের অধিগ্রহণে। বসত ঘর ছাড়া আর কোন জমি নেই। জলাবদ্ধতার কাছে হেরে গেলে বাঁচব কিভাবে।
সমাজ সর্দার ও সাবেক সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান শহিদুল আলম বাহাদুর বলেন, সমস্যা চিহ্নিত করে রেল লাইন নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স জেভি’র কাছ কালভার্ট ও ড্রেন নির্মাণের আবেদন করেছি। সংশ্লিষ্টরা দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে জনরোষ বৃদ্ধি পাবে। অন্যদিকে গতকাল ১৭ জুন জলমগ্ন হাজিপাড়া ও জানাঘোনা গ্রাম পরিদর্শন করেছেন ঝিলংজা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান টিপু সুলতান।