কক্সবাজার টাইমস২৪:
করোনার লকডাউনের দুঃসময়ে দীর্ঘদিনের নালা বন্ধ করে স্থাপনার কারণে কক্সবাজার কলাতলী সৈকতপাড়ায় পানি চলাচলে মারাত্মক বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। গতিপথ না পেয়ে বাসাবাড়িতে ঢুকে পড়ছে পাহাড়ি ঢলের পানি। ঠিকমতো হাঁটাচলা করতে পারছে না এলাকাবাসী।
আবর্জনা ও ময়লাযুক্ত পানিতে প্লাবিত হচ্ছে দোকানপাট, ফসলি জমি, ক্ষেতখামার। গত ৩ দিনের টানা বর্ষণে চরম দুর্ভোগে পড়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. আবদুল মালেক ইমন জানান, ডিসির পাহাড় (৫১ একর) সংলগ্ন অন্তত ৪০ বছরের পুরনো নালাটি বন্ধ করে দিয়েছে সাজিম নামের এক ব্যক্তি। তার কারণে অসংখ্য মানুষ কষ্ট পাচ্ছে।
নালাটি বন্ধ করে দেয়ায় প্রথম বর্ষায় সৈকতপাড়ার বেশ কিছু ঘরবাড়িতে পানি ঢুকেছে। এলাকাবাসির করুণ অবস্থা।
স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেছে, সাজিমের নামে অসংখ্য মামলা রয়েছে। তার নিকট এলাকার সাধারণ মানুষ জিম্মি।
সদ্য জেলফেরত এই সাজিমের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদের সাহস পাচ্ছে না।
স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল আলম, সরওয়ার (আনসার কমান্ডার), নুরুল হক, সবুজুল ইসলাম, মোঃ জানে আলম, মুজিবুর রহমানসহ অনেকের অভিযোগ একই।
তারা জানিয়েছে, নালার উপর দেওয়াল দেয়ার কারণে অন্তত ৫০০ পরিবার ক্ষতির সম্মুখীন। পাহাড়ি ঢলের পানিতে নিমজ্জিত সরকারী অধিভুক্ত অন্তত ১০০ একর জমি।
বিষয়টি ভুক্তভোগিরা পৌর মেয়র মুজিবুর রহমানকে লিখিত অভিযোগ করলে তিনি স্থানীয় কাউন্সিলরকে সমাধানের দায়িত্ব দেন। যা এখনো সুরাহা হয় নি।
এ বিষয়ে জানতে ১২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাজি মোরশেদ আহম্মেদ বাবুকে কল করলে মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
জানতে চাইলে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সাজিম। তিনি জানিয়েছেন, এটি কারো ব্যক্তিগত জায়গা নয়। মসজিদের পুরনো ওয়াল সংস্কার করা হয়েছে। অভিযোগকারীরা নিজেদের সুবিধার জন্য এসব অভিযোগ করতেছেন। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনকে লিখিত জানানো আছে।
তিনি জানান, এতে তার ব্যক্তিগত কোন সম্পৃক্ততা নেই। অভিযোগকারীরা অপপ্রচার চালাচ্ছে। সামাজিক ও ধর্মীয় স্বার্থে কাজগুলো করেছেন বলে সজিমের দাবি।
Leave a Reply