শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:০০ অপরাহ্ন
কক্সবাজার টাইমস২৪
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর কক্সবাজার সদর হাসপাতালে অবশেষে উদ্বোধন হয়েছে ২০ শয্যার আইসিইউ (ইনটেন্সিভ কেয়ার ইউনিট) বা নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র এবং এইচডিইউ’র (হাই ডিফেন্ডেন্সি ইউনিট)। এখন থেকে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীসহ সবধরনের শ্বাসকষ্ট থাকা রোগীকে আর ঝুঁকি নিয়ে চট্টগ্রাম যেতে হবে না।
কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে এক সভা শেষে শনিবার (২০ জুন) প্রধান অতিথি কক্সবাজার সদর-রামু আসনের সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল ‘আইসিইউ-এইচডিইউ’ উদ্বোধন করেন।
জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল সভায় প্রধান অতিথি এমপি কমল বলেন, আইসিইউ এবং এইচডিইউ কক্সবাজারবাসির দীর্ঘদিনের দাবি ছিলো। করোনা পরিস্থিতি শুরু হওয়ার পর থেকেই আমরা জরুরি ভিত্তিতে আইসিইউ-এইচডিইউ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালিয়ে যায়। এই সময় আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা ‘ইউএনএইচসিআর’ আমাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। হাসপাতালের আইসিইউ এবং এইচডিইউ নির্মাণের সব দায়িত্ব নেন তারা।
এমপি কমল বলেন, লকডাউনের কারণে এটি নির্মাণে একটু দেরি হয়ে গেল। অথচ তাদের আন্তরিকতার কোন ঘাটতি ছিলো না। বিদেশ থেকে উপকরণ আসতে দেরি হওয়ায় তা স্থাপনেও দেরি হয়েছে। দেরিতে হলেও আমরা কক্সবাজারে আইসিইউ প্রতিষ্টা করতে পেরেছি এটিই সুখের খবর। এটি কক্সবাজারের মানুষের স্বাস্থ্য সেবা পূরণে অনেক ভূমিকা রাখবে। আইসিইউ যদি আগে প্রতিষ্ঠা করতে পারতাম, তবে হয়তো অনেক আপনজনকে রক্ষা করা সম্ভব হতো।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, করোনায় মৃত্যুর ঝুঁকিতে থাকা রোগীদের আর কক্সবাজার ছেড়ে চট্টগ্রামে যেতে হবে না। কক্সবাজারেই দেশের সর্বোচ্চ সেবা পাবে ইনশাআল্লাহ। তবে আমাদের আরো একটি সমস্যা রয়ে গেছে। সেটি হলো হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সরবরাহ। এটি নিয়েও আমরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সাথে কথা বলে যাচ্ছি। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে এরও সমাধান করা যাবে।
এমপি বলেন, কক্সবাজরের ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে প্রতিদিন ৫০০ জন রোগী ভর্তি থাকে। আগে যে দশ শয্যার আইসিইউ ছিলো সেটি অন্য রোগী ভর্তি থাকায় করোনা আক্রান্তদের সেবা দেয়া সম্ভব হতো না। এসময় করোনার সময়ে ঝুঁকি নিয়ে সেবা প্রদান করা চিকিৎসকদের ধন্যবাদ।
এক পর্যায়ে সদর আসনের সাবেক সাংসদ লুৎফুর রহমান কাজলের ফেইসবুক স্ট্যাটাস নিয়ে সমালোচনা করে প্রধান অতিথি সাইমুম সরওয়ার কমল বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে একদিনের জন্য তিনি জনগণের পাশে থাকেননি। অথচ ঘরে বসে সরকারের সমালোচনা করছেন তিনি। এখন রাজনীতি করার সময় না। পারলে মানুষের কাছে এসে মানুষের সেবা করেন। মানুষের জন্য কাজ করতে গিয়ে আপনার যদি করোনা ধরা পড়ে আমাকে খবর দিবেন। আমিই আপনার সেবা করবো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশের সকল মানুষের দায়িত্ব নিয়েছেন। ভয়ের কোন কারণ নেই।
জেলা সদর হাসপাতালের তত্তাবধায়ক ডাক্তার মো. মহি উদ্দিনের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক, কোভিড-১৯ মোকাবেলায় কক্সবাজারের সমন্বয়ক স্থানীয় সরকারের সিনিয়র সচিব হেলাল উদ্দিন, কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডাক্তার অনুপম বড়ুয়া, সিভিল সার্জন ডাক্তার মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।