শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:০৭ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
কক্সবাজার জেলা জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক এড. মোহাম্মদ তারেক জামিনে বেরিয়ে এসে মালুমঘাটে হত্যা মামলার আসামীদের হামলা লুটপাট কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি পরিদর্শনে চট্টগ্রামের সমন্বয়ক টিম বন্যাদূর্গত পরিবারে কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির আর্থিক সহায়তা ফেনীতে বন্যার্তদের জন্য কমিউনিটি রান্নাঘর চালু করে ২৩ হাজার গরম খাবার দিল কোস্ট ফাউন্ডেশন ইলিয়াছ মিয়া চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের বৃক্ষরোপণ পান বাজার রোডে এশিয়া ফার্মেসি উদ্বোধন বৈষম্যমুক্ত কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি ও এম আর পি বাস্তবায়ন চান ওষুধ ব্যবসায়ীরা কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি দখলবাজদের আইনের কাঠগড়ায় হাজির করা হবে কক্সবাজারে কোস্টের নারী নেটওয়ার্কিং কমিটির নেতৃত্ব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ

করোনা যখন সঙ্গী

বার্তা কক্ষ / ৩০৩ বার পড়ছে
আপলোড : শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:০৭ পূর্বাহ্ন

শাহীন আবদুর রহমানঃ
পৃথিবী এখন করোনার দখলে। তাই জীবন বাঁচাতে ও জীবিকা নির্বাহ করতে রুপান্তরিত এই বিশ্বে আমাদের টিকে থাকার লড়াইয়ে সক্ষমতার সাথে এগিয়ে যেতে হবে।

Survival of the fittest is the law of nature. তাই Natural Selection process এ আমাদের উত্তীর্ণ হতে গেলে আগেকার অভ্যাসগুলো বদলে ফেলে একেবারেই পরিবর্তিত মানব হতে হবে।

করোনাময় এই পৃথিবীতে বসবাসের জন্যে আমাদের এখনই প্রস্তুতি নিতে হবে- শারীরিক ও মানসিক প্রস্তুতি। শুধুমাত্র ভৌগলিক, পরিসংখানগত আর বায়বীয় তথ্য প্রচার বা গ্রহণ করে কাজের কাজ কিছুই হবে না। এর জন্যে প্রয়োজন সঠিক জ্ঞান এবং সেই অনুযায়ী আচরণগত পরিবর্তন।

তাই আজ থেকে কয়েকটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত ও শপথ নেয়া জরুরি –

* অসুস্থ হলেই আমরা ১৪ দিনের জন্য আলাদা হয়ে বসবাস করব।

* ভ্রমণ থেকে ফেরত আসলেই ১৪ দিন আলাদা থাকব।

* অসুস্থতার কোন লক্ষন দেখা দিলে পরীক্ষার জন্য অপেক্ষা না করেই ১৪ দিনের জন্য আলাদা থাকব।

* সঠিকভাবে মাস্ক না পরে বের হবো না।

* সঠিকভাবে মাস্ক না পরে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী বা কারো নিকটে যাবো না বা কাউকে আসতে দিবোনা।

* যেই স্থানে যে ধরনের ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী ব্যবহার করতে হয়, সেটুকু অবশ্যই ব্যবহার করবো।

* বিনা প্রয়োজনে গ্লাভস পরিধান বা অন্যান্য সুরক্ষা সামগ্রী ব্যবহার করে অপচয় করবো না এবং ভুল ব্যবহারের মাধ্যমে নিজের ঝুঁকি বাড়াবো না।

* হাঁচি কাশির শিষ্টাচার মেনে চলবো এক্ষেত্রে ডিসপোজেবল টিস্যু বা কনুই এর ভেতরের অংশ ব্যবহার করবো।

* বারেবারে নিয়মিত হাত পরিস্কার করবো।

* হাত পরিস্কার করা ব্যতিত মুখ, চোখ, নাক স্পর্শ করবো না।

* হাত পরিস্কার না করে কোন খাবার গ্রহণ করবো না।

* যেকোনো পরিস্থিতিতে বাইরে বের হলে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।

* জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে যাবো না বা ভ্রমণ থেকে বিরত থাকব।

* বেশির ভাগ সভা সমিতি, শিক্ষা প্রদান বা গ্রহণ অনলাইনের মাধ্যমে সম্পাদন করার চেষ্টা করবো।

* নিতান্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কারো ঘরে বা অফিসে বা অন্য কোন প্রতিষ্ঠানে যাওয়া থেকে বিরত থাকবো।

* মসজিদে যাওয়ার বিষয়টি স্পর্শ কাতর একটি ব্যাপার। এক্ষেত্রে স্কলারদের বা রাষ্ট্রীয় সমসাময়িক নির্দেশনা মেনে চলবো। তবে সবক্ষেত্রেই নিরাপত্তা ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা জরুরি।

* গৃহপরিচারিকা বা কাজের লোক সহ বাইরের কোন অপ্রয়োজনীয় লোক বাড়িতে প্রবেশ করতে দিব না।

* একান্ত প্রয়োজনে কেউ বাড়িতে আসলে হাত পরিস্কার করে, মাস্ক পরে, জুতা খুলে প্রবেশের অনুমতি দিব।

* জনসমাগম এড়িয়ে চলবো। ভীড়ের মধ্যে কোন কারণে যেতে হলেও দূরত্ব বজায় রাখার এবং কারো সংস্পর্শে আসা থেকে নিরাপদ থাকার চেষ্টা করবো।

* পারতপক্ষে বাজারে বা শপিং মলে না গিয়ে অনলাইনে কেনাকাটা করবো বা টেলিফোনে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার চেষ্টা করবো।

* চায়ের দোকান সহ যে কোন আড্ডা পরিহার করবো।

* করোনা পরীক্ষা বা পরীক্ষার রিপোর্ট এর জন্য বসে না থেকে কোয়ারেন্টাইন সহ অন্যান্য স্বাস্থ্য নির্দেশনা মেনে চলবো।

* নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করবো। জাঙ্ক ফুড গ্রহণ থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করবো।

* নিয়মিত শরীরচর্চা করবো। বাচ্চাদের যথাসম্ভব ঘরের ভেতর খেলাধুলার আয়োজন করে দিব।

* সম্ভব হলে প্রতিদিন ১৫ মিনিট রোদ পোহানোর চেষ্টা করবো।

* মানসিক সুস্থতা ও প্রশান্তি বজায় রাখার জন্যে পারিবারিক আবহে চিত্তবিনোদন, ধর্মচর্চা, মেডিটেশন, দূরত্ব বজায় রেখে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য উপভোগ করার চেষ্টা করবো।

* অযথা করোনা নিয়ে আতংকিত হওয়া, আতংক বা হিংসা, ঘৃণা ছড়ানো পরিহার করবো।

করোনার বিশ্বে টিকে থাকার লড়াইয়ে প্রয়োজন আমাদের সম্মিলিত প্রয়াস। কারণ অসচেতন জীবন যাপন শুধুমাত্র নিজের জন্য নয়, অন্যদের জন্যও ক্ষতিকর। অন্যকে অনিরাপদ রেখে নিজেকে নিরাপদ রাখা কোনভাবেই সম্ভব নয়। তাই ব্যক্তিগত নয়, সামাজিক বা সামগ্রিক সচেতনতা ও আচরণগত পরিবর্তনই জরুরি।

মহান আল্লাহ আমাদের সহায় হোন।

শাহীন আবদুর রহমান
আরএমও
জেলা সদর হাসপাতাল, কক্সবাজার
৩০ মে, ২০২০. কক্সবাজার।