শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:৩৪ অপরাহ্ন
প্রশান্ত দে, আলীকদম
গত আড়াই মাসে তিনি সংগ্রহ করেছেন ১৬৫ টি নমুনা, যার একটিও নষ্ট হয়নি। এরই মধ্যে একবার অসুস্থ হয়েছেন। কিন্তু থেমে থাকেননি। নমুনা সংগ্রহে কখনো রোগীর বাড়িতে, আবার কখনো স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছুটছেন তিনি। এ যেন তাঁর নেশায় পরিণত হয়েছে।
মাহাফুজুর রহমান বান্দরবানের আলীকদম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব)।
মাহাফুজুর শোনান করোনার নমুনা সংগ্রহে তাঁর অভিজ্ঞতার কথা।
তিনি বলেন, এক দিনের অনলাইন প্রশিক্ষণ নিয়ে কাজে নেমে পড়তে হয় তাঁকে। প্রশিক্ষণ পাকাপোক্ত করতে গুগল-ইউটিউবের সহযোগিতা নেন। ২৯ মার্চ প্রথম নমুনা সংগ্রহ করেন।
শুরুতে দুটি ভয় কাজ করেছিল তাঁর। একটি ছিল, যে নমুনাটি সংগ্রহ করছেন, সেটি যথাযথ হচ্ছে কি না। অন্য ভয়টি ছিল নিজে আক্রান্ত হওয়ার।
তাঁর কথায়, নমুনা সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও লেবেলিং করা যথাযথ না হলে, সেটির ফলাফল ‘ফলস নেগেটিভ’ আসতে পারে। এতে রোগী নেগেটিভ ফলাফলের কারণে মুক্তভাবে ঘুরে বেড়াবেন। ফলে রোগী সুস্থ মানুষে সংক্রমণ ঘটাবেন। এ ছাড়া ল্যাব থেকেও নমুনাটি ফিরিয়ে দিতে পারে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মাহতাব বলেন, প্রচণ্ড রোগীর চাপ। কিন্তু মাহাফুজ কে কখনো বিরক্ত হতে দেখিনি। ছুটিও কাটাতে পারছেন না।স্যাম্পল যাতে ল্যাবে রিজেক্ট না হয় এ জন্য আমি নিজেই লেভেলিং ও ফর্ম ফিলাপের কাজটা করি এবং স্যাম্পল সংগ্রহের সময় নিজে উপস্থিত থাকি। মাহফুজের সাথে অপর ল্যাব টেকনোলজিস্ট আব্দুর রহিম ও নমুনা সংগ্রহ ও প্রেরণের কাজে যুক্ত রয়েছে।