সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:০৮ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিনিধি, কুতুবদিয়াঃ
প্রতিদিনের মতো নৌবাহিনী ও পুলিশ নিয়ে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে কুুুতুবদিয়ার ধুরুং বাজারে টহল দেয়ার সময় একটি কাপড়ের দোকানে ১০/১২ জন লোক একত্রিত হয়ে কেনাকাটা করছেন দেখে সেখানে উপস্থিত হন ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ হেলাল চৌধুরী। খবরাখবর নিয়ে নিশ্চিত হলেন বিয়ের বাজার করতে এসেছে বর ও কনে পক্ষ। মেয়ের অল্প বয়সী পিতাকে দেখে ম্যাজিস্ট্রেটের সন্দহ হয়। এখানে বিয়ের বাজারের ইতি ঘটে। কনের এনআইডি দেখাতে বলেন ম্যাজিস্ট্রেট। কনের পিতা নাই বলে উত্তর দেন। জন্ম নিবন্ধ দেখে ম্যাজিস্ট্রেট নিশ্চিত হন এটি একটি বাল্য বিবাহ হতে যাচ্ছে। তিনি উভয় পক্ষকে বোঝালেন বাল্যবিবাহ সামাজিক অভিশাপ। পরে দুপক্ষই সিদ্ধান্ত নেয় মেয়ের বয়স ১৮ পূর্ণ হলে বিয়ের আয়োজন করা হবে। পরবর্তীতে উত্তর ধুরং ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, উভয় পক্ষের ইউপি মেম্বার, মা, বাবা এর উপস্থিতিতে মেয়ের বয়স পূর্ণ হলে বিয়ে হবে মর্মে লিখিত অঙ্গীকারনামা নেয়া হয়।
এ ব্যাপারে ম্যাজিসট্রেট হেলাল চৌধুরী বলেন, প্রতিদিনের মতো আজও নৌবাহিনী ও পুলিশ নিয়ে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে টহল কার্যক্রম পরিচালনা করছিলাম। ধুরং বাজার পার হওয়ার সময় হঠাৎ করে চোখ গেল এক কাপড়ের দোকানের দিকে যেখানে প্রায় ১০/১২ জন লোক একত্রিত হয়ে কেনাকাটা করছেন। মনে হল বিয়ের বাজার করা হচ্ছে। গাড়ি থেকে নেমে দোকানদারকে বিয়ের বাজার কিনা জিজ্ঞেস করাতে উনি হ্যাঁ বললেন। পাত্রীর বাবাকে দেখে কমে বয়সী মনে হল। জিজ্ঞেস করলাম বয়স কত আপনার? বলল ৩৫!! মেয়ের বয়স কত? ২০!! সন্দেহ হওয়ায় আইডি কার্ড আনতে বললে নাই বলে জানান। তাহলে জম্ম নিবন্ধন আনতে বললে নিয়ে আসে। পরে বয়স হিসাব করে দেখা যায় মেয়ের বিয়ের বয়স পূর্ণ হতে আরো অনেক মাস বাকী। অতএব এটি একটি বাল্যবিবাহ ঘটতে যাচ্ছে। পরে উভয়ই পক্ষ নিজেদের ভুল বুঝতে পারে এবং ক্ষমা চায়। উভয় পক্ষ (বিশেষ করে পাত্রপক্ষ) রাজি হয় যে, যখন মেয়ের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হবে তখন এই বিয়ে অনুষ্ঠিত হবে। পরবর্তীতে উত্তর ধুরং ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, উভয় পক্ষের ইউপি মেম্বার, মা, বাবার উপস্থিতিতে মেয়ের বয়স পূর্ণ হলে বিয়ে হবে মর্মে লিখিত অঙ্গীকারনামা নেয়া হয়। ভবিষ্যতে এমন ভুল আর হবে না মর্মে উভয় পক্ষ অঙ্গীকার করেন। আসুন সবাই মিলে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করি।