এম.মনছুর আলম, চকরিয়া:
চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরীর নেতৃত্বে বর্তমান পৌর পরিষদ পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে জনগনের মাঝে শতভাগ নাগরিক সেবা নিশ্চিতে পরিকল্পিত উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে মেয়র আলমগীর চৌধুরী সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রানালয় ও বিভাগের সাথে সমন্বয় করে এবং বিশেষভাবে তদবির চালিয়ে চকরিয়া পৌরসভার উন্নয়নে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ নিশ্চিত করেছেন। বর্তমানে ধারাবাহিক উন্নয়ন কর্মকান্ডের মাধ্যমে অবশেষে মেয়র আলমগীর চৌধুরীর নেতৃত্বে স্বপ্নের মেগাসিটিতে রূপান্তর হচ্ছে চকরিয়া পৌরসভা।
নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে মেয়র আলমগীর চৌধুরী চকরিয়া পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে অন্তত শত কোটি টাকার দৃশ্যমান নানা উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ করেছেন। বিশেষ করে পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে নতুন রাস্তা নির্মাণ, কার্পেটিং সড়ক তৈরী, পুরাতন সড়ক সংস্কার, আধুনিকমানের ড্রেন নির্মাণ, সড়ক বাতি স্থাপন ও পৌরসভার কিচেন মার্কেটের আধুনিকায়নসহ অনেক জনগুরুত্বপুর্ণ প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত করেছেন। চলতিবছর বাস্তবায়নধীন অবশিষ্ঠ সব উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত হবে বলে নিশ্চিত করেছেন পৌরসভার সচিব ও প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তারা।
পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরীর একান্ত সহকারী শেফায়েত হোসেন ওয়ারেসী বলেন, চলমান উন্নয়ন অগ্রযাত্রার অংশহিসেবে বুধবার (২৪জুন) চকরিয়া পৌরসভাস্থ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক সংলগ্ন মৌলভীরকুম বাজারে পৌরবাসীর সুবিধার্থে তিনতলা বিশিষ্ট নান্দনিক কমিউনিটি সেন্টার কাম রেস্ট হাউজ নির্মাণ করা হচ্ছে। এমজিএসপি প্রকল্পের পৌরসভার অর্থায়নে ৭কোটি ৩০ লক্ষটাকা বরাদ্দের বিপরীতে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। কক্সবাজার-১(চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সাংসদ ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ জাফর আলম ও চকরিয়া পৌরসভার মেয়র মো.আলমগীর চৌধুরী এ নির্মাণ কাজের শুভ উদ্বোধন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন পৌরসভার ওয়ার্ড কাউন্সিলর, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ।
চকরিয়া পৌরসভার মেয়র মো.আলমগীর চৌধুরী বলেন, চকরিয়া পৌরবাসীর সুবিধার্থে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পৌরসদরের মৌলভীরকুম বাজার এলাকায় তিন তলা বিশিষ্ট অত্যান্ত নান্দনিকভাবে কমিউনিটি সেন্টার কাম রেস্ট হাউজ নির্মাণ করা হচ্ছে। জনগুরুত্বপূর্ণ এ নির্মাণ কাজটি এমজিএসপি প্রকল্প থেকে ৭ কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যয় হবে।
কমিউনিটি সেন্টার কাম রেস্ট হাউজ সম্পর্কে জানতে চাইলে কক্সবাজার-১আসনের সাংসদ আলহাজ্ব জাফর আলম বলেন, অত্যাধুনিক এই কমিউনিটি সেন্টার ও রেস্ট হাউজ নির্মাণ কাজ শেষ হলে পৌরবাসীর জন্য একটি নতুন দিগন্ত উন্মেচিত হবে। এই কমিউনিটি সেন্টার গরীব ও অসহায় পরিবার খুব অল্প মূল্যে বিবাহ, মেজবানসহ নানা অনুষ্টান আয়োজন করতে পারবে। এ কাজটি দ্রুত সমাপ্ত করার জন্য পৌরসভার মেয়র মো.আলমগীর চৌধুরীকে বলা হয়েছে বলে তিনি জানান।
Leave a Reply