সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৬:৪৫ পূর্বাহ্ন
বিশেষ প্রতিবেদকঃ
কক্সবাজার সদরের পোকখালী ইউনিয়নে উপকূলীয় বেড়িবাঁধ কাটছে প্রভাবশালীরা। এতে সামুদ্রিক প্লাবন ঝুঁকিতে পড়েছে হাফডজন গ্রামের জনগন ও তাদের সহায় সম্পদ। গত কয়েকদিন ধরে বেড়িবাঁধের একাধিক পয়েন্ট কেটে চিংড়ি ঘেরে পানি ঢুকানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
পোকখালী ইউনিয়নের উপকূলীয় মালমুরা পাড়ার বাসিন্দা শাহেদ জানান, স্থানীয় ফরাজীঘোনা চিংড়ি প্রকল্পে সামুদ্রিক জোয়ারের পানি ঢুকানোর জন্য ২৭ জুন (শনিবার) ভোরে বেড়িবাঁধ কেটে দেয় চিংড়ি ঘের ইজারাদার ও শ্রমিকরা। কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিয়ন্ত্রণাধীন ৬/৬৩ নং পোল্ডারের এস ফাইভ ও এস টেন স্লুইস গেইটের মধ্যবর্তী স্থানে সরকারী বেড়িবাঁধের প্রায় ১০ গজ দৈর্ঘ্যের বাঁধ কেটে ফরাজী ঘোনা প্রজেক্টে জোয়ারের পানি ঢুকাচ্ছে। এর ফলে পার্শ্ববর্তী ৪/৫ টি গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে।
একই এলাকার জসিম উদ্দীন বলেন, সাগরে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেলে কাটা বেড়িবাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে আশপাশের সব গ্রাম প্লাবিত হতে পারে।
বাঁশখালীয়া পাড়ার বাসিন্দাদের অভিযোগ, বেড়িবাঁধটি তাদের চলাচলের একমাত্র পথ। বেড়িবাঁধ কেটে দেয়ায় স্থানীয় বাজার ও জেলা শহরের সাথে তাদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
বেড়িবাঁধ কেটে ফেলার পর স্হানীয় জনগন স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ মেরামতের চেষ্টা করেন। কিন্তু ফরাজী ঘোনা ইজারাদারদের বাঁধার মুখে তা আর সম্ভব হয়নি৷
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্র জানায়, প্রভাবশালীরা বিভিন্ন স্থানে সরকারী বেড়িবাঁধ কেটে স্থানীয় জনগোষ্ঠী ও জনবসতিকে হুমকির মুখে ফেললেও পানি উন্নয়নবোর্ড কর্মকর্তাদের নির্লিপ্ত ভূমিকা পালন করে। ফলে দিনদিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে বেড়িবাঁধ দখলকারীরা।
স্থানীয় ইউপি সদস্য লুৎফুর রহমান লুতু বেড়িবাঁধ কাটার ব্যাপারটি সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের কার্য সহকারী ও পোল্ডারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রশিদ আহমদ জানান, বেড়িবাঁধ কাটার খবর শুনে উক্ত এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। অভিযুক্তদের ব্যাপারে আইনগত ব্যাবস্থা নেয়া হবে।