শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৫২ অপরাহ্ন
ফেসবুক থেকে:
পেকুয়া উপজেলার অবিভক্ত মগনামা ইউনিয়নের সবচেয়ে প্রাচীন বাইন্যাঘোনা থেকে মহুরী পাড়া হয়ে হাই স্কুল পর্যন্ত মাত্র ৫ কিলোমিটার সড়ক !
এলজিইডির নিয়ন্ত্রণাধীন সড়ক এটি। ১৯৯১ ইংরেজীর ২৯ এপ্রিলের ঘূর্ণিঝড়ের পর মগনামা মহুরী পাড়া বাজার থেকে মাত্র দেড় কি:মি: পর্যন্ত সড়কের একাংশে ইট বসানো হয়েছিলো। বাকি অংশ ছিলো মাটির সড়ক। মাটির সড়ক হলেও সড়কটির উপর দিয়ে লবণবাহী ট্রাক,জীপ গাড়ি, টেক্সী, রিক্সাসহ সব ধরণের যানবাহন চলাচল করতো। যে সড়ক ছিলো মগনামার প্রাণ। কিন্তু আজ সড়কটি মৃতপ্রায়। বাইন্যা ঘোনা, মহুরীপাড়া, মগঘোনা,দরদরি ঘোনার মানুষের চলাচলের প্রধান সড়ক ছিল এটি। বলতে গেলে, মগনামার প্রধান সড়ক ছিল বাইন্যাঘোনা-হাইস্কুল সড়ক।
তৎকালীন ২০০২-২০০৩ অর্থ বছরের দিকে মগনামা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান খাইরুল এনামের আমলে বাইন্যাঘোনা থেকে সাড়ে তিন কিলোমিটার কাচা রাস্তাটি ২০ ফুট চওড়া ও ৫ ফুট উচ্চতা করে পুনরায় সংস্কার করা হয়েছিল।
এরপর সেই থেকে আজও পর্যন্ত উক্ত সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় কালের গর্বে বিলীন হয়ে পথে। সড়কটি প্রায় হারিয়ে গেছে। গত ১৮ বছর ধরে কোন মন্ত্রী, এমপি, সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ, জনপ্রতিনিধি সড়কটির খোঁজ নিয়েছেন কিনা আমার জানা নেই।
এভাবে একটি সড়ক অবহেলার ঘেরাটোপে প্রতিহিংসার দাবানলে বন্ধী থাকতে পারেনা। সড়কের প্রতি এ ধরনের অবহেলা এলাকার মানুষের প্রতি চরম বৈষম্যের শামিল।
তবে বিগত ৩/৪ বছর ধরে মগনামার বর্তমান চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ চৌধুরী ওয়াসিম নিজের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ৪০ লাখ, ৩০ লাখ, ২০লাখ, ১৫ লাখ টাকা করে ব্যয় করে মগনামার আনাচে-কানাচে অসংখ্য সড়ক তৈরী করে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। যাহা গণমাধ্যমের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। গতকালও কয়েকটি গণমাধ্যমে দেখেছি, মগনামা ইউনিয়নের পশ্চিমকূল এলাকায় চেয়ারম্যান ওয়াসিম ৩০ লাখ টাকা নিজের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ব্যয় করে সড়ক সংস্কার করছেন। এটা অবশ্যই ভাল উদ্যোগ। চেয়ারম্যান সাহেব যদি একটু আন্তরিক হন, তাহলে মগনামা বাইন্যা ঘোনা-হাইস্কুল সড়কটি নতুন জীবন ফিরে পাবে। একটি মৃত সড়ক নতুন করে বেঁচে থাকবে এই ধরণীর বুকে….
ছবি ও প্রতিবেদন: সাংবাদিক গিয়াস উদ্দিন।