শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৪২ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
কক্সবাজার জেলা জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক এড. মোহাম্মদ তারেক জামিনে বেরিয়ে এসে মালুমঘাটে হত্যা মামলার আসামীদের হামলা লুটপাট কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি পরিদর্শনে চট্টগ্রামের সমন্বয়ক টিম বন্যাদূর্গত পরিবারে কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির আর্থিক সহায়তা ফেনীতে বন্যার্তদের জন্য কমিউনিটি রান্নাঘর চালু করে ২৩ হাজার গরম খাবার দিল কোস্ট ফাউন্ডেশন ইলিয়াছ মিয়া চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের বৃক্ষরোপণ পান বাজার রোডে এশিয়া ফার্মেসি উদ্বোধন বৈষম্যমুক্ত কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি ও এম আর পি বাস্তবায়ন চান ওষুধ ব্যবসায়ীরা কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি দখলবাজদের আইনের কাঠগড়ায় হাজির করা হবে কক্সবাজারে কোস্টের নারী নেটওয়ার্কিং কমিটির নেতৃত্ব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ

যত আক্রোশ গাছের প্রতি!

বার্তা কক্ষ / ৩২২ বার পড়ছে
আপলোড : শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৪২ পূর্বাহ্ন

নিজস্ব সংবাদদাতা, উখিয়া:

যেনো সব আক্রোশ গাছের প্রতি। যত নির্মমতা নৃশংসতা চারাগাছগুলোর উপর দিয়েই গেলো। জমির বিরোধের জের ধরে উখিয়ার জালিয়াপালং ইউনিয়ন ৭নং ওয়ার্ড মোহাম্মদ শফিরবিলে প্রায় দেড়শো চারা সুপারি গাছ নৃশংসভাবে কেটে সাবাড় করে ফেলেছে অভিযুক্ত প্রতিবেশি আব্দুস সালাম ও তার লোকজন। আজ ৩০ জুন মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটায় এঘটনা ঘটে।

জানা গেছে- উখিয়ার জালিয়াপালং ইউনিয়ন ৭নং ওয়ার্ড মোহাম্মদ শফিরবিলে কবির আহম্মেদ(৭৫) নামে এক বৃদ্ধের প্রায় ৩০বছরের দখলীয় রিজার্ভ জায়গায় রাতের আঁধারে সন্ত্রাসী হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এসময় সন্ত্রাসীরা বৃদ্ধ কবিরের স্ত্রী এবং তাদের দুই ছেলেকে মারধর করে বেধে রাখে। ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে এবং সুপারি গাছ সহ বিভিন্ন প্রকারের প্রায় দেড় শতাধিক চারা গাছ এলোপাতাড়ি কুপিয়ে বিনাশ করে ফেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন- ক্ষতিগ্রস্থ কবির আহম্মেদ এই রিজার্ভ জায়গাটি দীর্ঘদিন ধরে ভোগ দখল করে আসছেন। এনিয়ে বনবিভাগ থেকে একাধিকবার মামলাও হয়েছে। কবির আহম্মেদ জানান- সন্ত্রাসীরা এর আগে আরো দুইবার রাতের বেলায় হামলা চালিয়ে গাছের চারা কর্তন করে এবং একটি মাছের প্রজেক্ট কেটে দিয়েছে। কপাল মন্দে দুষ্ট প্রতিবেশির কারণে একের পর এক নির্যাতনের শিকার হতে হচ্ছে।

এঘটনায় ভুক্তভোগী কবির আহম্মেদ উখিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযোগ পত্রে যাদের অভিযুক্ত করা হয়েছে যথাক্রমে- জালিয়াপালং ইউনিয়ন ৭নং ওয়ার্ড মোহাম্মদ শফিরবিলের মৃত ইসলাম মিয়ার পুত্র আব্দুস সালাম (৪০), ছৈয়দ নুর (৫০), মৃত ওমর মিয়ার পুত্র ছৈয়দ হোছন (৪৫), মৃত আব্দুল নবীর পুত্র নুরুল আলম (৪০), ছৈয়দ নুরের পুত্র জসিম উদ্দিন (২৭), ছৈয়দ হোছনের পুত্র মো. আব্দুল্লাহ(২৭), মো. রিদুয়ান (২৫), ইমরান (২২), নুরুল আলমের পুত্র মো. শাহীন (১৭) সহ অজ্ঞাত আরও ২/৩জন।

এবিষয়ে বক্তব্য জানতে উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দাপ্তরিক মুঠোফোন নাম্বারে রাত ৯:২৩টায় একাধিকবার যোগাযোগ করা হয়েছে। কিন্তু তিনি ফোন ধরতে ব্যর্থ হওয়ায় বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। এছাড়াও স্থানীয় চেয়ারম্যান নুরুল আমিনের নাম্বারও বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য জানা যায়নি।