নিজস্ব প্রতিবেদক
উপমহাদেশের বৃহত্তম কৃষি সমিতি বদরখালী সমবায় কৃষি ও উপনিবেশ সমিতির মালিকানাধীন বদরখালী মৌজার জমির মূল্য বৃদ্ধির দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
সমিতির সহ-সভাপতি আলী মোহাম্মদ কাজলের নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) দুপুরে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেনের মাধ্যমে দেওয়া স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে- সাংবিধানিক আইনের ধারাবাহিকতা তথা সমবায় আইনের ধারায় বদরখালী সমবায় কৃষি ও উপনিবেশ সমিতি পরিচালিত হয়ে আসছে।
সমবায় আইনের বিধানমতে সমিতির মালিকানাধীন জমি সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় অনুমতিক্রমে সদস্যদের মধ্যে হস্তান্তর/বিক্রয় করা হয়। বহিরাগত কোন ব্যাক্তি সমিতির আওতাধীন জমি হস্তান্তর বা ক্রয় করতে পারেনা। যার কারণে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে সমিতির মালিকানাধীন জমির প্রকৃত মুল্য নির্ধারণ করা হয় নাই।
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়েছে, সমিতির অভ্যন্তরে ক্রয়-বিক্রয়ের মুল্যের চেয়ে অন্তত্য ২০ গুণ কম মুল্য নির্ধারণ করেছে সাব-রেজিস্ট্র অফিস, চকরিয়া। প্রতি ৪০ শতক জমির প্রকৃত মুল্য যেখানে সর্বনিম্ন ১,২০,০০,০০০ হতে সর্বোচ্চ ১,৬০,০০,০০০/- টাকা সেখানে সাব-রেজিস্ট্রি অফিস, চকরিয়া বদরখালী মৌজার জমির মুল্য নির্ধারণ করেছে মাত্র ৮,০০,০০০/-। ইহাতে প্রচন্ড ক্ষোভ সৃষ্টি হয় সমিতির ৫০ হাজার মানুষের মধ্যে।
জমির মৌজা মূল্য বৃদ্ধির দাবিতে চকরিয়া-পেকুয়ার সংসদ সদস্য জাফর আলমের সুপারিশসহ সমিতির পক্ষে ২০১৯ সালে জেলা প্রশাসক, জেলা রেজিস্ট্রার বরাবর আবেদন করেন। কিন্তু কোন প্রতিকার না পাওয়ায় সমিতি কর্তৃপক্ষ মহামান্য হাইকোর্টে ৭২৫৪/২০১৯নং রীট পিটিশন দায়ের করেন।
এই রীটের আলোকে গত ৮ জুলাই ১ মাসের মধ্যে মুল্য নির্ধারণ করতে জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেন আদালত।
কিন্তু ১ বছর অতিক্রান্ত হলেও এব্যাপারে জেলা প্রশাসক দৃশ্যমান কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেন নি।
ফলে করোনা সংক্রমনের আগে ফেব্রুয়ারীর ২য় সপ্তাহে বদরখালী বাজারে সমিতির কার্যালয় সম্মুখে হাজার হাজার সমবায়ী মানববন্ধন করে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। কিন্তু এক্ষেত্রেও কোন প্রতিকার পায় নি সমবায়ীরা।
সর্বশেষ বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) সমিতির কর্মকর্তারা মৌজার জমির মূল্য বৃদ্ধির দাবীতে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারক লিপি প্রদান করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- সমিতির সাবেক নির্বাচিত সম্পাদক দেলোয়ার হোছাইন এম.এ, পরিচালক মোহাম্মদ ইসহাক, আবুল হাসনাত মোঃ পারভেজ (মামুন), সমিতির সদস্য সাংবাদিক জি.এ.এম আশেক উল্লাহ ও সাংবাদিক আকতার কামাল।
Leave a Reply