1. khaircox10@gmail.com : admin :
যোগদানের ১১ দিনের মাথায় টেকনাফের ওসির বদলীর নেপথ্যে... - coxsbazartimes24.com
শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৫:৪৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম
এভারকেয়ার হসপিটালের শিশু হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. তাহেরা নাজরীন এখন কক্সবাজারে কোস্ট ফাউন্ডেশনের ‘আরএইচএল’ প্রকল্পের পরিচিতি সভা চেইন্দা সমাজ কল্যাণ পরিষদের  আহ্বায়ক কমিটি গঠিত জলবায়ু উদ্বাস্তুদের জন্য নিবেদিত হয়ে কাজ করব -মুজিবুর রহমান উখিয়ার সোনারপাড়ায় বীচ ক্লিনিং ক্যাম্পেইন সম্পন্ন রোগীদের সেবায় এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এখন কক্সবাজারে বিআইডব্লিউটিএ অফিস সংলগ্ন নালা দখল করে মাটি ভরাট ফাসিয়াখালী মাদরাসার দাতা সদস্য পদে জালিয়াতি! প্রকাশিত সংবাদে পাহাড়তলীর আবদুর রহমানের প্রতিবাদ কক্সবাজার হজ কাফেলার উদ্যোগে হজ ও ওমরাহ কর্মশালা

যোগদানের ১১ দিনের মাথায় টেকনাফের ওসির বদলীর নেপথ্যে…

  • আপডেট সময় : শনিবার, ২২ আগস্ট, ২০২০
  • ২০১ বার ভিউ

কক্সবাজার টাইমস২৪ঃ 
গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের বাহারছড়ায় চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা মো. রাশেদ খান। এ ঘটনায় থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ প্রত্যাহার, পরে বরখাস্ত হন।
পুলিশ হেডকোয়ার্টারের আদেশে ৯ আগস্ট টেকনাফ থানার নতুন ওসি হিসাবে যোগদান করেন মোঃ আবুল ফয়সাল। এর আগে তিনি কুমিল্লার চান্দিনা থানার ওসি ছিলেন।
সবার প্রত্যাশা ছিল, সীমান্ত জনপদকে নতুনভাবে সাজাবেন। মাদকসহ সব অপরাধ নির্মূলে আপোষহীন হবেন। টেকনাফে পুলিশের দুর্নাম ঘুচাবেন। কিন্তু না। যোগদানের পরেই জড়ালেন নতুন বিতর্কে। যাত্রাতেই খেয়ে গেলেন হুঁচট। আর পারলেন না এগুতে।
২০ আগস্ট পুলিশ সদর দপ্তরের আদেশে মোঃ আবুল ফয়সালকে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান (এপিবিএন) এ সংযুক্ত করা হয়েছে। নতুন স্টেশন ছাড়লেন।
যোগদানের ১১ দিনের মাথায় তার বদলীর খবর বেশ প্রচার পায়। বিভিন্ন আঙ্গন থেকে শুনা যায় নানা কথা।
মেজর সিনহা হত্যার ঘটনায় পুলিশের দায়েরকৃত মামলার সাক্ষী টেকনাফের বাহারছরার মারিশবনিয়ার নুরুল আমিনকে অপহরণের অভিযোগে থানায় মামলা দায়েরের ঘটনাটি বেশি আলোচিত হচ্ছে।
এ মামলায় নুরুল আমিনের মা খালেদা বেগমকে বাদি করা হয়েছে। আসামি দেখানো হয়েছে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের।
অথচ নুরুল আমিনসহ পুলিশের মামলার তিনজন সাক্ষীকে সন্দেহজনক আসামি হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়েছিল তদন্ত সংস্থা র‍্যাব।
একইদিন সিনহা মোঃ রাশেদ খান হত্যা মামলার আসামি হিসাবে নুরুল আমিনকে আদালতে তাকে হাজির করেন মামলার আইও।
এ বিষয়ে নুরুল আমিনের মা খালেদা বেগম গণমাধ্যমকে জানান, পুলিশ তাকে জোর করে টেকনাফ থানায় নিয়ে গিয়ে একটি সাদা কাগজে দস্তখত নেয়। পরে দেখেন ওই কাগজই অপহরণ মামলা। যার নম্বর ১৯/২০২০।
ওসি মোঃ আবুল ফয়সালকে সরিয়ে নেয়ার আরেকটি কারণ হলো, র‍্যাবের তদন্ত কর্মকর্তাকে সিসিটিভি ফুটেজ না দেওয়া।
সিনহা হত্যা মামলা তদন্তে টেকনাফ মডেল থানার সিসিটিভি ফুটেজকে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান মনে করেন তদন্ত কর্মকর্তা (আইও)।
তাই গত ৩১ জুলাই ও পরবর্তী সময়ের ফুটেজ চেয়ে আদালতের কাছে আবেদন করেন মামলার আইও র‍্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম।
আদালতের অনুমতির পর ১৮ আগস্ট টেকনাফ মডেল থানায় যান তদন্ত কর্মকর্তা।
কিন্তু সিসিটিভির রেকর্ডিং নষ্ট হয়ে যাওয়ার কথা বলে ফুটেজ দেন নি ওসি। যা স্বাভাবিকভাবে অপরাধের চোখে দেখছে উচ্চমহল।
স্থানীয়রা বলছে, সিসিটিভি ফুটেজে সিনহা হত্যা সংক্রান্ত স্পর্শকাতর বিষয় ছিল। যা র‍্যাবের হাতে গেলে ‘হিতে বিপরীত’ দেখে পুলিশ।
দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে মোঃ আবুল ফয়সাল এমনটি করতে পারেন না বলে মন্তব্য সংশ্লিষ্টদের।
এছাড়াও বদলীর পেছনে আরো অনেক কারণ থাকতে পারে। সময়ে সব রহস্য উন্মোচিত হবে। বের হবে ঘটনার পেছনের ঘটনা।
গত ৩১ জুলাই রাতে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোঃ রাশেদ খান পুলিশের গুলিতে নিহত হন। এ ঘটনায় তাঁর বড়বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদী হয়ে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (আদালত নম্বর-৩) টেকনাফের আদালতে গত ৫ আগস্ট হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার টেকনাফ থানার নম্বর- ৯/২০২০ এবং জিআর : ৭০৩/২০২০।
উল্লেখ্য, টেকনাফ থানায় নতুন ওসি নিয়োগ না দেওয়া পর্যন্ত ওসি (তদন্ত) এবিএমএস দোহাকে ভারপ্রাপ্ত ওসির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

খবরটি সবার মাঝে শেয়ার করেন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সব ধরনের নিউজ দেখুন
© All rights reserved © 2020 coxsbazartimes24
Theme Customized By CoxsTech