রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৩২ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি পরিদর্শনে চট্টগ্রামের সমন্বয়ক টিম বন্যাদূর্গত পরিবারে কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির আর্থিক সহায়তা ফেনীতে বন্যার্তদের জন্য কমিউনিটি রান্নাঘর চালু করে ২৩ হাজার গরম খাবার দিল কোস্ট ফাউন্ডেশন ইলিয়াছ মিয়া চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের বৃক্ষরোপণ পান বাজার রোডে এশিয়া ফার্মেসি উদ্বোধন বৈষম্যমুক্ত কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি ও এম আর পি বাস্তবায়ন চান ওষুধ ব্যবসায়ীরা কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি দখলবাজদের আইনের কাঠগড়ায় হাজির করা হবে কক্সবাজারে কোস্টের নারী নেটওয়ার্কিং কমিটির নেতৃত্ব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ বিশ্ব মানবিক দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আলোচনা সভা সাবেক সেনা কর্মকর্তা পরিচয়ে কক্সবাজারে আবাসিক হোটেল দখলের অভিযোগ

যোগদানের ১১ দিনের মাথায় টেকনাফের ওসির বদলীর নেপথ্যে…

বার্তা কক্ষ / ২২১ বার পড়ছে
আপলোড : রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৩২ পূর্বাহ্ন

কক্সবাজার টাইমস২৪ঃ 
গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের বাহারছড়ায় চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা মো. রাশেদ খান। এ ঘটনায় থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ প্রত্যাহার, পরে বরখাস্ত হন।
পুলিশ হেডকোয়ার্টারের আদেশে ৯ আগস্ট টেকনাফ থানার নতুন ওসি হিসাবে যোগদান করেন মোঃ আবুল ফয়সাল। এর আগে তিনি কুমিল্লার চান্দিনা থানার ওসি ছিলেন।
সবার প্রত্যাশা ছিল, সীমান্ত জনপদকে নতুনভাবে সাজাবেন। মাদকসহ সব অপরাধ নির্মূলে আপোষহীন হবেন। টেকনাফে পুলিশের দুর্নাম ঘুচাবেন। কিন্তু না। যোগদানের পরেই জড়ালেন নতুন বিতর্কে। যাত্রাতেই খেয়ে গেলেন হুঁচট। আর পারলেন না এগুতে।
২০ আগস্ট পুলিশ সদর দপ্তরের আদেশে মোঃ আবুল ফয়সালকে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান (এপিবিএন) এ সংযুক্ত করা হয়েছে। নতুন স্টেশন ছাড়লেন।
যোগদানের ১১ দিনের মাথায় তার বদলীর খবর বেশ প্রচার পায়। বিভিন্ন আঙ্গন থেকে শুনা যায় নানা কথা।
মেজর সিনহা হত্যার ঘটনায় পুলিশের দায়েরকৃত মামলার সাক্ষী টেকনাফের বাহারছরার মারিশবনিয়ার নুরুল আমিনকে অপহরণের অভিযোগে থানায় মামলা দায়েরের ঘটনাটি বেশি আলোচিত হচ্ছে।
এ মামলায় নুরুল আমিনের মা খালেদা বেগমকে বাদি করা হয়েছে। আসামি দেখানো হয়েছে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের।
অথচ নুরুল আমিনসহ পুলিশের মামলার তিনজন সাক্ষীকে সন্দেহজনক আসামি হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়েছিল তদন্ত সংস্থা র‍্যাব।
একইদিন সিনহা মোঃ রাশেদ খান হত্যা মামলার আসামি হিসাবে নুরুল আমিনকে আদালতে তাকে হাজির করেন মামলার আইও।
এ বিষয়ে নুরুল আমিনের মা খালেদা বেগম গণমাধ্যমকে জানান, পুলিশ তাকে জোর করে টেকনাফ থানায় নিয়ে গিয়ে একটি সাদা কাগজে দস্তখত নেয়। পরে দেখেন ওই কাগজই অপহরণ মামলা। যার নম্বর ১৯/২০২০।
ওসি মোঃ আবুল ফয়সালকে সরিয়ে নেয়ার আরেকটি কারণ হলো, র‍্যাবের তদন্ত কর্মকর্তাকে সিসিটিভি ফুটেজ না দেওয়া।
সিনহা হত্যা মামলা তদন্তে টেকনাফ মডেল থানার সিসিটিভি ফুটেজকে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান মনে করেন তদন্ত কর্মকর্তা (আইও)।
তাই গত ৩১ জুলাই ও পরবর্তী সময়ের ফুটেজ চেয়ে আদালতের কাছে আবেদন করেন মামলার আইও র‍্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম।
আদালতের অনুমতির পর ১৮ আগস্ট টেকনাফ মডেল থানায় যান তদন্ত কর্মকর্তা।
কিন্তু সিসিটিভির রেকর্ডিং নষ্ট হয়ে যাওয়ার কথা বলে ফুটেজ দেন নি ওসি। যা স্বাভাবিকভাবে অপরাধের চোখে দেখছে উচ্চমহল।
স্থানীয়রা বলছে, সিসিটিভি ফুটেজে সিনহা হত্যা সংক্রান্ত স্পর্শকাতর বিষয় ছিল। যা র‍্যাবের হাতে গেলে ‘হিতে বিপরীত’ দেখে পুলিশ।
দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে মোঃ আবুল ফয়সাল এমনটি করতে পারেন না বলে মন্তব্য সংশ্লিষ্টদের।
এছাড়াও বদলীর পেছনে আরো অনেক কারণ থাকতে পারে। সময়ে সব রহস্য উন্মোচিত হবে। বের হবে ঘটনার পেছনের ঘটনা।
গত ৩১ জুলাই রাতে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোঃ রাশেদ খান পুলিশের গুলিতে নিহত হন। এ ঘটনায় তাঁর বড়বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদী হয়ে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (আদালত নম্বর-৩) টেকনাফের আদালতে গত ৫ আগস্ট হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার টেকনাফ থানার নম্বর- ৯/২০২০ এবং জিআর : ৭০৩/২০২০।
উল্লেখ্য, টেকনাফ থানায় নতুন ওসি নিয়োগ না দেওয়া পর্যন্ত ওসি (তদন্ত) এবিএমএস দোহাকে ভারপ্রাপ্ত ওসির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।