রবিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:১৮ অপরাহ্ন

শিরোনাম :
বিভিন্ন পত্রিকায় মিথ্যাচারের জবাব দিলেন যুবদল নেতা জাবেদ ইকবাল লবণ আমদানির চক্রান্ত রুখতে হবে বিসিক কক্সবাজারে পাঁচদিনব্যাপী শিল্পোদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি’র ভর্তি ফি’তে ৫০ শতাংশ ছাড়সহ শতভাগ স্কলারশিপ প্রকাশিত সংবাদে আহমদ কবিরের প্রতিবাদ অবসরপ্রাপ্ত সেক্রেটারি রশিদ আহমদের চিংড়ি প্রজেক্ট জবরদখলের অভিযোগ কক্সবাজার শহরে তারেক বাহিনী সক্রিয়, সশস্ত্র মহড়া ভারুয়াখালীতে চিংড়ি প্রজেক্ট দখলে নিতে সশস্ত্র হামলায় আহত ২, লুটপাট ঈদগাঁও ইউনিয়ন বিএনপি’র আহবায়ক কমিটি স্বেচ্ছাসেবক দল ফতেখারকুল শাখার ৭ সদস্যের কমিটি অনুমোদন

কারামুক্ত ফরিদ হাসপাতালে ভর্তি

বার্তা কক্ষ / ২৭৫ বার পড়ছে
আপলোড : রবিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:১৮ অপরাহ্ন

ইমাম খাইর# 
দীর্ঘ ১১ মাস ৫ দিন পর জামিনে কারামুক্ত হয়ে শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা খান।
বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬ টার দিকে তিনি কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে মুক্ত হন।
এরপর তিনি সহকর্মী, স্বজন ও চিকিৎসকদের পরামর্শে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
ফরিদের বর্ণনার সুত্র ধরে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছেন, তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ। চোখে ঠিক মতো দেখেন না। স্মৃতি শক্তি কমে গেছে। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গে ব্যথা। তার অনেক পরীক্ষা নীরিক্ষা দরকার। রোগ নির্ণয়ের পর মূল চিকিৎসা শুরু হবে।
ভর্তির পরপরই ফরিদুল মোস্তফার প্রাথমিক চিকিৎসা শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাক্তার মোঃ শাহীন আবদুর রহমান চৌধুরী।
এদিকে কারামুক্তির পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ফরিদুল মোস্তফা প্রশাসন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, কারা কর্তৃপক্ষ, আইনজীবী, সহকর্মী সাংবাদিকসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
ফরিদুল মোস্তফা বলেন, ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ তার মদদপুষ্ট কিছু পুলিশ সদস্যের হাতে নির্মমতার শিকার হয়েছি। আমি একটু সুস্থ হই। সব ঘটনার বর্ণনা দেব। আমার ওপর পাষবিক নির্যাতনের সুষ্ঠু বিচার চাই।
সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা টেকনাফ হোয়াইক্যং সাতঘরিয়া পাড়ার বাসিন্দা মরহুম ডাঃ ইছহাক খানের ছেলে। বর্তমানে শহরের ১ নং ওয়ার্ডের মধ্যম কুতুবদিয়া পাড়ার বাসিন্দা।
তার বিরুদ্ধে একে একে ৬টি মামলা হয়। যার সব কটিই সাজানো ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে পরিবারের দাবি।
অস্ত্র, ইয়াবা ও বিদেশি মদের সাথে জড়িয়ে সর্বশেষ তিনটি মামলার আসামী বানিয়েছিলেন মেজর (অবঃ) সিনহার হত্যা মামলার আসামী টেকনাফের বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ।
২০১৯ সালের ২১ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মিরপুরের বাসা থেকে সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা খানকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এরপর কক্সবাজার শহরের সমিতি পাড়ার বাড়িতে তাকেসহ নিয়ে গিয়ে কথিত অভিযান চালানো হয়। ওই সময় গুলিসহ ২টি অস্ত্র, ৪ হাজার ইয়াবা ও বিপুল পরিমান বিদেশী মদের বোতল উদ্ধার হয়।
গত বছরের ৩০ জুন ফরিদুল মোস্তফা খানের বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় চাঁদাবাজি মামলা রুজু হয়। যার মামলা নং- ১১৫, জিআর নং-৩১৬/১৯। এরপর তাকে পুলিশ হন্য হয়ে খোঁজতে থাকে। আত্মরক্ষায় ঢাকায় আত্মগোপনে চলে যায় ফরিদুল মোস্তফা। নিরাপত্তা চেয়ে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পুলিশের মহাপরিদর্শক বরাবর গত বছরের ২৮ জুলাই পৃথক আবেদনও করেন।
সাংবাদিক ফরিদের পরিবারের দাবী, উক্ত আবেদনের তদন্ত না করে উল্টো টেকনাফ থানা ও কক্সবাজার সদর থানা পুলিশের একটি বিশেষ টিম মিরপুর থানার পুলিশের সহায়তায় ‘ওয়ারেন্ট’ দেখিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। আইন অনুযায়ী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে সোপর্দ না করে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালায়। তিনদিন পর মিথ্যা দিয়ে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।