আবদুল মালেক, রামু:
রামুতে আহলে বায়তে রাসুল (সা.) এর স্মরণে ১০ দিন ব্যাপী শাহাদাতে কারবালা মাহফিল পান্জেখানাস্হ ঘোনারপাড়া ইসলামিয়া সুন্নিয়া দাখিল মাদরাসা জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়।
ঘোনারপাড়া ইসলামিয়া সুন্নিয়া মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা সুপার হযরতুলহাজ্ব মাওলানা মুফতি আবদুর রশিদ হক্কানী নকশবন্দীর উদ্যোগে ১ মুহাররম হতে ১০ মুহাররম তথা ২১ আগস্ট ৩০ আগস্ট ২০২০ তারিখে প্রত্যহ বাদে মাগরিব হতে অনুষ্ঠিত হয়।
মাহফিলের সমাপনী দিবসে প্রধান মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজারকুল মাসুমিয়া ইসলামিয়া সুন্নিয়া আলিম মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত কক্সবাজার জেলার সচিব ও আনজুমানে নকশবন্দিয়া মুজাদ্দেদিয়া বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলার সভাপতি ওস্তাজুল ওলামা হযরতুলহাজ্ব আল্লামা মুফতি সৈয়্যদ মোহাম্মদ উল্লাহ নকশবন্দী (ম.জি.আ.)।তিনি বলেন-
৬১ হিজরিতেও ইসলামের নামে মুসলিম সেজে ইয়াজিদি স্বেচ্ছাতন্ত্র ও গোমরাহি কার্যকলাপের বিস্তার ঘটেছিল। তখন হযরত ইমাম হোসাইন (রা:) পাপিষ্টের অন্যায়-অবিচারে মাথানত করেন নি।এ দেশেও মুসলিমবেশে পাপিষ্ট ইয়াজিদের পেতাত্মারা ইহুদিবাদের মদদে জঙ্গিবাদসহ সন্ত্রাসবাদের লালন করছে। পবিত্র আহলে বাইতে রাসুল (সা.)’র আদর্শ বুকে নিয়ে ঈমানী চেতনায় পাপিষ্টদের দমনে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।অন্যায় ও অসত্যের কাছে মাথা নত না করাই হল শাহাদাতে কারবালার শিক্ষা।
বিভিন্ন দিবসে বক্তারা বলেন, আহলে বায়তে রসুল (দ.)’দের ত্যাগের বিনিময়ে এই পৃথিবীতে ইসলাম যুগে যুগে টিকে আছে এবং ঠিকে থাকবে ইনশায়াল্লাহ্। তাই তাদের প্রতি ভালবাসা পোষণ করা ঈমানের দাবি।
পক্ষান্তরে যারা তাঁদের প্রতি পূর্ণ ভালবাসা পোষণ করবে না তারা নামে মুসলমান হবে কিন্তু প্রকৃত মুমিন কখনো হবেনা। দ্বীন ও ঈমানের প্রশ্নে কখনো আপস করা যাবে না। যে কোনো কঠিন পরিস্থিতিতে ও সর্বাবস্থায় দ্বীন, সুন্নিয়ত ও সত্যের পথে অবিচল থাকাই ইমাম হোসাইন (রা.) তথা পবিত্র শোহদায়ে কারবালার শিক্ষা ও দর্শন।
প্রত্যহ মুফতি আবদুর রশিদ হক্কানী নকশবন্দীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মাহফিলে আহলে বায়তের প্রেম -ভালবাসা ও আশুরার তাৎপর্যের উপর আলোচনা পেশ করেন- মাওলানা শোয়াইব উল্লাহ,মাওলানা রেজাউল করিম, মাওলানা মুফতি এস এম আবদুল্লাহ শাহেদ, মাওলানা আবু বকর, মাওলানা মিজান উল্লাহ, মাওলানা আমান উল্লাহ আনসারী, মাওলানা এস এম নিয়াত উল্লাহ, মাওলানা তারেকুল ইসলাম নুরী, মাওলানা খাজা বাকিবিল্লাহ, মাওলানা আলমগীর, মাওলানা রমিজ আহমদ, মাওলানা রবিউল ইসলাম আল কাদেরী, মাওলানা খাজা ছফিউল্লাহ, মাওলানা হাফেজ ফেরদৌস, মাওলানা আবদুল গফুর সহ অসংখ্য লেখক, গবেষক, বুদ্ধিজীবী ও সাংবাদিক।নাতে রাসুল (সা.)পরিবেশনায় ছিল শায়ের খাজা এমদাদুল্লাহ, আবরারুল হক, তারেকুর রহমান ফয়সাল প্রমুখ। মিলাদ- কিয়াম এবং দেশ ও জাতির কল্যাণ, সমৃদ্ধি, করোনা হতে মুক্তির জন্য দোয়া ও মুনাজাতের মাধ্যমে মাহফিল সমাপ্ত হয়।
Leave a Reply