রবিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০:৫৮ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
বিভিন্ন পত্রিকায় মিথ্যাচারের জবাব দিলেন যুবদল নেতা জাবেদ ইকবাল লবণ আমদানির চক্রান্ত রুখতে হবে বিসিক কক্সবাজারে পাঁচদিনব্যাপী শিল্পোদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি’র ভর্তি ফি’তে ৫০ শতাংশ ছাড়সহ শতভাগ স্কলারশিপ প্রকাশিত সংবাদে আহমদ কবিরের প্রতিবাদ অবসরপ্রাপ্ত সেক্রেটারি রশিদ আহমদের চিংড়ি প্রজেক্ট জবরদখলের অভিযোগ কক্সবাজার শহরে তারেক বাহিনী সক্রিয়, সশস্ত্র মহড়া ভারুয়াখালীতে চিংড়ি প্রজেক্ট দখলে নিতে সশস্ত্র হামলায় আহত ২, লুটপাট ঈদগাঁও ইউনিয়ন বিএনপি’র আহবায়ক কমিটি স্বেচ্ছাসেবক দল ফতেখারকুল শাখার ৭ সদস্যের কমিটি অনুমোদন

এনজিও কর্মীদের জন্য চাই স্বীকৃতি ও ন্যায়বিচার: মাঠকর্মীরাই হলেন ‘আনসাং হিরো’

বার্তা কক্ষ / ৩৩৮ বার পড়ছে
আপলোড : রবিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০:৫৮ পূর্বাহ্ন

রেজাউল করিম চৌধুরীঃ
বেশ কয়েক বছর আগে একটি বাসের আঘাতে আমরা আমাদের একজন সহকর্মীকে হারিয়েছিলাম। আমরা তখন মামলা দায়ের করলে, বাস মালিক কিছু অর্থের বিনিময়ে আপোস-রফা করতে চেয়েছিলেন, এরপর আর এই বিষয়ে তেমন কোনও অগ্রগতি নেই। ২০১৭ সালে নতুন করে কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের আগমন শুরু হওয়ার প্রথম দিকে আমাদের বন্ধু সংগঠনের একজন নারী সহকর্মী সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন। পরশু সন্ধ্যায় মাইক্রোবাসের চাপায় প্রাণ হারালেন আমাদের আরও একজন সহকর্মী। মাইক্রোবাসটির নাম্বার আমরা সংগ্রহ করতে পারিনি, যদি পুলিশ সংগ্রহ করতেও পারে, এক্ষেত্রে কী হতে পারে আমরা সেটা সহজেই কল্পনা করতে পারি। হয়ত সেই মালিকপক্ষ কিছু টাকা পয়সা দিয়ে আপোস করার প্রস্তাব দিবেন!

আমাদের সড়কপথে এই অরাজকতার অবসান হবে কবে? এই বিষয়ে আমাদের উদ্যোগ, প্রতিক্রিয়া নেই, এত নিষ্ক্রিয়তা আমাদের!

প্রতিদিন হাজারো এনজিও কর্মী সাইকেল ও মোটর সাইকেলে করে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মানুষের দোরগোড়ায় শিক্ষা, অর্থ, প্রযুক্তি ও স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন সেবা পৌঁছে দিচ্ছেন, সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ বাস্তবায়নে প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখছেন তাঁরা। তাঁরা এমন সব এলাকায়, এমন জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কাজ করেন, যেখানে বা যাদের সাথে এই কাজগুলো করতে অনেক কম মানুষকেই দেখা যায়।

দুর্ঘটনাক্রমে এমন এনজিওকর্মী মারা গেলে তাঁর প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষে খুব একটা বেশি কিছু করা যায় না, সীমিত সাধ্যের কারণে। কিন্তু আমাদের সরকার এই এনজিও কর্মীদের জন্য কিছু করবে না? সমাজের জন্য তাঁদের অবদানের স্বীকৃতি দেওয়া উচিত, সরকারের বীমা প্রতিষ্ঠানের আওতায় তাঁদের জন্য বীমার ব্যবস্থা করা উচিৎ, এনজিওগুলো সেই বীমার প্রিমিয়ামের অংশবিশেষের দায়িত্ব নিতে পারে। সরকারি কর্মচারীদের পাশাপাশি এনজিওকর্মীরাও কি সমাজের উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে না?

বলাবাহুল্য যে, এনজিও কর্মীদের নিরাপত্তা, সুরক্ষার বিষয়ে দাতাসংস্থা / অংশীদারদের আগ্রহ-উদ্যোগও অপ্রতুল, কিন্তু যদি দাতা সংস্থাগুলোর কেউ মারা যায় সেক্ষেত্রে তাদের ক্ষতিপূরণ হয় অনেক অনেক বেশি। সরকারের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা, এপেক্স সংগঠনসমূহ, ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগে এনজিওগুলোর অংশগ্রহণ – অবদান আশা করেন, আমরা আমাদের মতো করে অবদান রাখার/চাদা দেওয়ার চেষ্টা করি। তাই আমাদের দু:সময়েও আমরা তাদেরকে পাশে চাই। আমাদের কর্মীরা, বা আমরা দুর্ঘটনার স্বীকার হলে, আমরা অসুস্থ হয়ে গেলে, আমরা মারা গেলে আমাদের পরিবারের ভবিষ্যত কী? সরকারের কি এটা চিন্তা করার প্রয়োজন নেই?

রেজাউল করিম চৌধুরী
নির্বাহী পরিচালক, কোস্ট ট্রাস্ট।