1. khaircox10@gmail.com : admin :
এনজিও কর্মীদের জন্য চাই স্বীকৃতি ও ন্যায়বিচার: মাঠকর্মীরাই হলেন ‘আনসাং হিরো’ - coxsbazartimes24.com
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৫৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
রোগীদের সেবায় এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এখন কক্সবাজারে বিআইডব্লিউটিএ অফিস সংলগ্ন নালা দখল করে মাটি ভরাট ফাসিয়াখালী মাদরাসার দাতা সদস্য পদে জালিয়াতি! প্রকাশিত সংবাদে পাহাড়তলীর আবদুর রহমানের প্রতিবাদ কক্সবাজার হজ কাফেলার উদ্যোগে হজ ও ওমরাহ কর্মশালা বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে কক্সবাজারে ছাত্রলীগের ইফতার বিতরণ রোহিঙ্গা রেসপন্সে বিশ্বব্যাংকের ঋণকে প্রত্যাখ্যান করেছে অধিকার-ভিত্তিক সুশীল সমাজ হযরত হাফসা (রাঃ) মহিলা হিফজ ও হযরত ওমর (রাঃ) হিফজ মাদ্রাসার দস্তারবন্দী অনুষ্ঠান নারী দিবসের অঙ্গীকার, গড়বো সমাজ সমতার – স্লোগানে মুখরিত কক্সবাজার প্রকাশিত সংবাদের বিরুদ্ধে পেশকার পাড়ার ফরিদুল আলমের প্রতিবাদ

এনজিও কর্মীদের জন্য চাই স্বীকৃতি ও ন্যায়বিচার: মাঠকর্মীরাই হলেন ‘আনসাং হিরো’

  • আপডেট সময় : শনিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • ২৮৪ বার ভিউ

রেজাউল করিম চৌধুরীঃ
বেশ কয়েক বছর আগে একটি বাসের আঘাতে আমরা আমাদের একজন সহকর্মীকে হারিয়েছিলাম। আমরা তখন মামলা দায়ের করলে, বাস মালিক কিছু অর্থের বিনিময়ে আপোস-রফা করতে চেয়েছিলেন, এরপর আর এই বিষয়ে তেমন কোনও অগ্রগতি নেই। ২০১৭ সালে নতুন করে কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের আগমন শুরু হওয়ার প্রথম দিকে আমাদের বন্ধু সংগঠনের একজন নারী সহকর্মী সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন। পরশু সন্ধ্যায় মাইক্রোবাসের চাপায় প্রাণ হারালেন আমাদের আরও একজন সহকর্মী। মাইক্রোবাসটির নাম্বার আমরা সংগ্রহ করতে পারিনি, যদি পুলিশ সংগ্রহ করতেও পারে, এক্ষেত্রে কী হতে পারে আমরা সেটা সহজেই কল্পনা করতে পারি। হয়ত সেই মালিকপক্ষ কিছু টাকা পয়সা দিয়ে আপোস করার প্রস্তাব দিবেন!

আমাদের সড়কপথে এই অরাজকতার অবসান হবে কবে? এই বিষয়ে আমাদের উদ্যোগ, প্রতিক্রিয়া নেই, এত নিষ্ক্রিয়তা আমাদের!

প্রতিদিন হাজারো এনজিও কর্মী সাইকেল ও মোটর সাইকেলে করে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মানুষের দোরগোড়ায় শিক্ষা, অর্থ, প্রযুক্তি ও স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন সেবা পৌঁছে দিচ্ছেন, সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ বাস্তবায়নে প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখছেন তাঁরা। তাঁরা এমন সব এলাকায়, এমন জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কাজ করেন, যেখানে বা যাদের সাথে এই কাজগুলো করতে অনেক কম মানুষকেই দেখা যায়।

দুর্ঘটনাক্রমে এমন এনজিওকর্মী মারা গেলে তাঁর প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষে খুব একটা বেশি কিছু করা যায় না, সীমিত সাধ্যের কারণে। কিন্তু আমাদের সরকার এই এনজিও কর্মীদের জন্য কিছু করবে না? সমাজের জন্য তাঁদের অবদানের স্বীকৃতি দেওয়া উচিত, সরকারের বীমা প্রতিষ্ঠানের আওতায় তাঁদের জন্য বীমার ব্যবস্থা করা উচিৎ, এনজিওগুলো সেই বীমার প্রিমিয়ামের অংশবিশেষের দায়িত্ব নিতে পারে। সরকারি কর্মচারীদের পাশাপাশি এনজিওকর্মীরাও কি সমাজের উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে না?

বলাবাহুল্য যে, এনজিও কর্মীদের নিরাপত্তা, সুরক্ষার বিষয়ে দাতাসংস্থা / অংশীদারদের আগ্রহ-উদ্যোগও অপ্রতুল, কিন্তু যদি দাতা সংস্থাগুলোর কেউ মারা যায় সেক্ষেত্রে তাদের ক্ষতিপূরণ হয় অনেক অনেক বেশি। সরকারের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা, এপেক্স সংগঠনসমূহ, ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগে এনজিওগুলোর অংশগ্রহণ – অবদান আশা করেন, আমরা আমাদের মতো করে অবদান রাখার/চাদা দেওয়ার চেষ্টা করি। তাই আমাদের দু:সময়েও আমরা তাদেরকে পাশে চাই। আমাদের কর্মীরা, বা আমরা দুর্ঘটনার স্বীকার হলে, আমরা অসুস্থ হয়ে গেলে, আমরা মারা গেলে আমাদের পরিবারের ভবিষ্যত কী? সরকারের কি এটা চিন্তা করার প্রয়োজন নেই?

রেজাউল করিম চৌধুরী
নির্বাহী পরিচালক, কোস্ট ট্রাস্ট।

খবরটি সবার মাঝে শেয়ার করেন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সব ধরনের নিউজ দেখুন
© All rights reserved © 2020 coxsbazartimes24
Theme Customized By CoxsTech