শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০১:১১ অপরাহ্ন
মাহবুবুর রহমান:
আবদুর রাজ্জাক কক্সবাজার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সদর উপজেলা অফিসের নিরাপত্তাপ্রহরী। কিন্তু কোন সময় তিনি নিজের অফিসে দায়িত্বপালন করা করে জেলা জনস্বাস্থ্য অফিসে রেষ্ট হাউজের নিরাপত্তাপ্রহরী বা কেয়ারটেকার হিসাবে দায়িত্বপালন করছেন। সরকারি চাকরী নীতিমালা অনুযায়ী এক কর্মস্থলে ৩ বছরের অধিক সময় কর্মরত থাকতে না পারলেও এই কর্মচারী কক্সবাজারে আছেন দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে।
শুধু তাই নয়, তার মেয়ে জেসমিন আক্তার মটর মেকানিক হিসাবে চাকুরী নিয়েছেন। একই অফিসে কাজ করছেন ১০ বছর ধরে। এছাড়া আবদুর রাজ্জাকের আপন ভাই মোঃ ফারুকও একই অফিসের নিরাপত্তাপ্রহরী। এই পুরো পরিবার এক সাথে দীর্ঘ ২০ বছর ধরে দখলে রেখেছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিসের সরকারি দ্বিতল বাড়ি। সেখানে তারা আরো কিছু সংস্কার করে বরিশাল থেকে আত্বীয় স্বজনসহ সবাইকে এনে দীর্ঘ বছর ধরে থাকলেও এক ভাড়া দেয়নি সরকারি কোষাগারে। উল্টো সেই কেয়ারটেকার আবদুর রাজ্জাকের মূল ব্যবসা এখন সরকারি রেস্ট হাউজ ভাড়া দিয়ে ব্যবসা করা।
সূত্রে জানা গেছে, জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিসের নতুন এবং পুরাতন রেষ্ট হাউজের রুম ভাড়া দিয়ে দৈনিক আয় করে বিপুল টাকা। বিভিন্ন আবাসিক হোটেলের সাথে যোগাযোগ রেখে পর্যটকদের কাছে উচ্চমূল্যে ভাড়া দেয় সরকারি রেস্ট হাউজ। আর কর্মকর্তাদের কাছে বলে বিভিন্ন উর্ধতন কর্মকর্তাদের মেহমান।
জানা গেছে, সরকারি অফিসের এই রেস্ট হাউজে বর্তমানে ৯ টি রুম আছে তার মধ্যে ৪ টি ভিআইপি রুম, ২ টি এসি, ননএসি রুম ৩ টি যদি ননএসি রুম ৩ টি বর্তমানে জেলা জনস্বাস্থ্য অফিসের কর্মকর্তারা বিনাভাড়ায় দখলে আছে।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের অন্যান্য কর্মচারীদের দাবী, বরিশাল থেকে কক্সবাজারে এসে সৌদি আরবের মত টাকা আয় করছে আবদুর রাজ্জাক তবে তা দেখার কেউ নাই।
তাদের দাবী, কক্সবাজার সদর হাসপাতালের একটি জমি ছিল। বর্তমান সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে। কিন্তু তাদের সাবেক কর্মচারী আবদুস সামাদ সেই বাড়ি দখল করে রেখেছিল। তাই এখনো বহু চেস্টার পরেও এখনো সেই সরকারি জমি উদ্ধার করা যায়নি। এটাও সেরকম হতে পারে তাই দ্রুত সরকারি ভবন থেকে উচ্ছেদসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানান তারা।
এ ব্যপারে আবদুর রাজ্জাকের কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে কোন প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে ফোন কেটে দেন। জেলা জনস্বাস্থ্যের নির্বাহী প্রকৌশলী ঋত্বিক চৌধুরী বলেন, অভিযোগ গুলো আমি খবর নিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।