বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:০৪ পূর্বাহ্ন
মোহাম্মদ নুরুল হক নুরঃ
মরণব্যাধি ‘ক্যান্সার’ যেমন দ্রত সনাক্ত ও সঠিক সময়ে সিকিৎসা করে রুখতে না পারলে একটি জীবন শেষ করে দেয়, তেমনি যেকোন অন্যায় জুলুম দানা বেধে উঠার সময় রুঁখে দিতে না পারলে একটি পরিবার, সমাজ, জাতিকে ধ্বংস করে দেয়। পৃথিবীতে ইসলামী শাসন ব্যবস্থাকে প্রতিহত করার জন্য যে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে ইহুদী ও ব্রাহ্মণ্যচক্র, সে ইসলামী সভ্যতা -সাংস্কৃতির ধ্বংসাত্মক ক্যান্সারের জীবাণু প্রথম সনাক্ত হয় আওয়ামী বুদ্ধি বিক্রেতা এক আমেরিকা প্রবাসীর মাথায় ২০০৪ সালে। তিনি পলিটিক্স অব বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশে ইসলামী রাজনীতি ও বাংলাদেশ ইজ দ্য নেক্সট আফগানিস্তান শিরোনামের কিছু ডকুমেন্টারী ও বই উপহার দিয়ে ওই ইহুদী চক্রের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়। যারা ইসলাম ইজ দ্য টেররিজম নামে ইসলামকে প্রতিহত করার ভাইরাস আবিস্কার করে প্রকাশ্যে ইসলাম কে প্রতিহত করার ঘোষনা দেয়। এই ভাইরাস চুক্তির প্রথম টেষ্ট করেছিল ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর ঢাকার পল্টনে। সেদিন ইসলামী রাজনীতি ও ইসলামী সভ্যতা সাংস্কৃতিকে প্রতিহত করার জন্য এন্ট্রি ইসলাম ভাইরাসের নৃশংস আক্রমণে ছয় ছয়টা তরতাজা মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল। এই হত্যাকান্ড ষোলো কোটি মানুষ দেখেও না দেখার ভান করেছিল। মুলতঃ এ টেষ্টের মাধ্যমেই ফকরুদ্দীন মইন উদ্দীন ২০০৬ থেকে ২০০৮ এর মধ্যে এদেশে এন্ট্রি ইসলাম ভাইরাসের ল্যাব তৈরি করে। সেখান থেকে ২০০৮ সালে এদেশের সার্বভৌমত্বের প্রতীক সেনা ছাউনিতে হানা দিয়ে ৫৭ জন ইসলামী তাহজিব তামাদ্দুন রক্ষক বীর খালিদদের হত্যার মাধ্যমে তারা একধাপ এগিয়ে যায়। ২০১৩ সালে এই এন্ট্রি ইসলাম ভাইরাস যখন সাহবাগ থেকে প্রকাশ্য এন্ট্রি ইসলাম ভাইরাসের জীবাণু ছড়াতে লাগলো তখনো এই বাঙালী মীরজাফরের উত্তসূরীরা বসে বসে এ কীটগুলোর তামসা দেখেছিল। এই এন্ট্রি ইসলাম ভাইরাস আক্রমণে যখন এদেশের ইসলামী সভ্যতা-সাংস্কৃতি রাজনীতির স্বপ্ন পুরুষদের বেছে বেছে হত্যা করে, তখনও আমরা ১৮ কোটি মানুষ একবারও বলিনি বা ভাবিনি এই এন্ট্রি ইসলাম ভাইরাস কীট গুলো একদিন আরো বড় হয়ে প্রদীপ দাসে পরিনত হবে।
২০১৪ সাল থেকে যখন এই এন্ট্রি ইসলাম ভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করে অসংখ্য মানুষকে হত্যা করে, তখন এই এন্ট্রি ইসলাম ভাইরাসের নকল সার্টিফিকেট দিয়ে বাঙালীদেরকে বেকুব বানিয়েছিল। বর্তমান বিশ্বে করোনা নামে ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে এবারও তারা নকল সার্টিফিকেট দিতে গিয়ে বিশ্ববাসীর কছে ধরা পড়ে। দুনিয়ার মানুষ এখন বাঙালীকে নকল ও দালাল হিসেবে চিনে। এটি এমন এক জাতি যতক্ষণ শাহের রাজত্বকাল থাকবে ততক্ষণ বেগুণের অফুরান গুণ গান গাইতে থাকবে। রাজত্ব কাত হয়ে গেলে সবাই ধরে উল্টিয়ে দেবে। এ জাতিকে নিজের কলিজা রান্না করে খাওয়ালেও বলবে লবণ কম হয়েছে। মনে হয় এ জাতির গুরুস্থানে টাকা ছিটালে কবর থেকেও ‘টাকা টাকা’ বলে আওয়াজ ভেসে আসবে। এ জাতির ধর্ম বিশ্বাস, নীতি নৈতিকতা, সাংবিধানিক শপথ ইত্যাদি আজ টাকার কাছে পরাজিত হয়েছে।
একসময় গণতন্ত্র ভিক্ষা চেয়েছিল বাঙালি জাতি। এখন গণতন্ত্রের ভিক্ষা চায় না মা, কুত্তা খেদাও বলছে।
মোহাম্মদ নুরুল হক নুর
সদস্য
হিউম্যান রিসোর্স এন্ড ডেভেলপমেন্ট জাপান।