শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:২৭ অপরাহ্ন

শিরোনাম :
বিভিন্ন পত্রিকায় মিথ্যাচারের জবাব দিলেন যুবদল নেতা জাবেদ ইকবাল লবণ আমদানির চক্রান্ত রুখতে হবে বিসিক কক্সবাজারে পাঁচদিনব্যাপী শিল্পোদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি’র ভর্তি ফি’তে ৫০ শতাংশ ছাড়সহ শতভাগ স্কলারশিপ প্রকাশিত সংবাদে আহমদ কবিরের প্রতিবাদ অবসরপ্রাপ্ত সেক্রেটারি রশিদ আহমদের চিংড়ি প্রজেক্ট জবরদখলের অভিযোগ কক্সবাজার শহরে তারেক বাহিনী সক্রিয়, সশস্ত্র মহড়া ভারুয়াখালীতে চিংড়ি প্রজেক্ট দখলে নিতে সশস্ত্র হামলায় আহত ২, লুটপাট ঈদগাঁও ইউনিয়ন বিএনপি’র আহবায়ক কমিটি স্বেচ্ছাসেবক দল ফতেখারকুল শাখার ৭ সদস্যের কমিটি অনুমোদন

প্রদীপসহ ৩১ জনের বিরুদ্ধে আরো দুই মামলার আবেদন

বার্তা কক্ষ / ২৪৬ বার পড়ছে
আপলোড : শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:২৭ অপরাহ্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক#
নূর মোহাম্মদ ও মোঃ আজিজ নামের দুই ব্যক্তিকে ক্রসফায়ারে হত্যার অভিযোগে টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৩১ জনের বিরুদ্ধে একদিনে আরো দুটি মামলা আবেদন করা হয়েছে।
ফৌজদারি মামলার এজাহার দুইটি আমলে নিয়ে ওই ঘটনা সংক্রান্ত অন্য মামলা আছে কিনা তা আগামী ৪ নভেম্বরের মধ্যে মধ্যে আদালতকে জানাতে টেকনাফ থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
নুর মোহাম্মদ টেকনাফ সদরের নাজিরপাড়ার বাসিন্দা এবং মোঃ আজিজ একই ইউনিয়নের ডেইল পাড়ার বাসিন্দা।
সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (টেকনাফ – ৩) হেলাল উদ্দীনের আদালতে এই দুই মামলার আবেদন করা হয়েছে। নিহত নুর মোহাম্মদের স্ত্রী লায়লা বেগম ও মোঃ আজিজের মা হালিমা খাতুন বাদি হয়ে এই দুই মামলার আবেদন করেন।
বাদি পক্ষের আইনজীবি নূর হোসেন নাহিদ মোঃ মোস্তফা সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান। দুটি মামলায় বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে প্রধান আসামী করা হয়েছে।
নিহত নূর মোহাম্মদের মামলার বাদি এজাহারে উল্লেখ করেন, গত বছরের ১৯ মার্চ বীজ ও স্যার আনতে কৃষি অফিস গেল সেখান থেকে কৃষি সরঞ্জাম ব্যবসায়ী নুর মোহাম্মদকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। পরে তার পরিবারের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা দাবি করেন ওসি প্রদীপসহ অন্যরা। না দিলে তাকে ক্রসফায়ারে মারা হবে হুমকি দেয়া হয়। পরে বাধ্য বিভিন্নভাবে পাঁচ লাখ টাকা দেন। কিন্তু ২১ মার্চ রাতে স্ত্রী লায়লা বেগম নুর ও মোহাম্মদকে থানা থেকে বের করে মেরিন ড্রাইভ সড়কের রাজারছড়া এলাকায় নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে নুর মোহাম্মদকে কয়েকজন পুলিশ তুলে নিয়ে ঝাউবাগানে নিয়ে গিয়ে গুলি করে হত্যা করে।
অন্যদিকে নিহত মোঃ আজিজের মামলার বাদি এজাহারে উল্লেখ করেন, ২০১৯ সালের ১৮ অক্টোবর টেকনাফ থানার একদল পুলিশ মোঃ আজিজ, নুর হাসান ও আবুল খায়ের নামের তিনজনকে ধরে নিয়ে যায়। পরে মোঃ আজিজের পরিবার থেকে ২০ লাখ টাকা দাবি ওসি প্রদীপসহ অন্যরা। না দিলে আজিজকে ক্রসফায়ারে হত্যা করা হবে হুমকি দেয়। এতে নিরুপায় হয়ে বিভিন্নভাবে ৫০ হাজার টাকা পুলিশকে দেয় আজিজের পরিবার। কিন্তু ১৯ অক্টোবর রাতে মহেশখালীয়াপাড়া নদীঘাট এলাকায় আজিজকে ক্রসফায়ারে হত্যা করা হয়।