বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৫৪ পূর্বাহ্ন
কক্সবাজার টাইমস২৪
ভুয়া আইডির মাধ্যমে হয়রানি করা হলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি ৭ বছরের কারাদণ্ড ঘোষিত হলেও কমছে না সামাজিক অপরাধ। প্রতিনিয়ত নাম-বেনামে তৈরী হচ্ছে ফেইক অইডি। শত্রুতা হাসিলের হাতিয়ার হিসেবে অপরাধীরা ব্যবহার করছে এই ধরণের আইডি। যেখান থেকে প্রচার করা হচ্ছে মান হানিকর বিভিন্ন বক্তব্য। তাতে সবচেয়ে বেশি হয়রানির শিকার নারীরা।
সম্প্রতি ইংরেজি বানানে ‘মোস্তাক আহমেদ ফরহাদ’ নামের একটি আইডি থেকে কুরুচিপূর্ণ ও মান হানিকর স্ট্যাটাস দেয়া হচ্ছে। তামান্না খানম নামে এক ছাত্রীর বিরুদ্ধে চালাচ্ছে অপপ্রচার। যা ব্যক্তি চরিত্র হননের পাশাপাশি সামাজিক ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করা হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবে বসে হারুনুর রশিদ নামের এক ব্যক্তি আইডিটি পরিচালনা করছে, এমন তথ্য নিশ্চিত করেছে ভুক্তভোগির স্বজনেরা। অভিযুক্ত ব্যক্তি চট্টগ্রামের সাতকানিয়া ফুলতলী গ্রামের আব্দুল হাকিমের ছেলে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, তামান্না খানমের এক দুলা ভাই সৌদি আরব থাকেন। তার সাথে চাকুরি করেন হারুনুর রশীদ হারুন নামে আরেক ব্যক্তি। সেই পরিচয়ের সুত্র ধরে তামান্নাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন হারুন। কিন্তু তামান্নার পড়ালেখা শেষ না করে তাকে বিয়ে দিতে রাজি নয় পরিবার। তাতে ক্ষুব্ধ হয়ে তামান্না খানমের ছবি সংগ্রহ করে ফেইক আইডিতে নানা রকম লেখালেখি করা হচ্ছে।
তামান্না খানম কক্সবাজার সরকারি কলেজের গণিত বিভাগের ছাত্রী। তার গ্রামের বাড়ি উখিয়ার ইনানীতে। পিএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫সহ কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হয়ে বর্তমানে সরকারি কলেজে পড়ছে। ফেইড আইডি থেকে অপপ্রচারের কারণে সে সহপাঠি ও স্বজনদের নিকট চরম অপমানবোধ করছে। পড়ালেখা বন্ধের উপক্রম হয়ে পড়েছে এই মেধাবী ছাত্রীর। এ ব্যাপারে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ব্যবস্থা নেয়ার কথা ভাবছে কলেজ ছাত্রী তামান্না খানম।
এদিকে, পেইক আইডির মাধ্যমে একজন মেধাবী ছাত্রীর ব্যাপারে অপপ্রচারকারীর বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নিলে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করবে বলে জানান বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের কক্সবাজার জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী।