শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:৫৪ অপরাহ্ন

শিরোনাম :
বিভিন্ন পত্রিকায় মিথ্যাচারের জবাব দিলেন যুবদল নেতা জাবেদ ইকবাল লবণ আমদানির চক্রান্ত রুখতে হবে বিসিক কক্সবাজারে পাঁচদিনব্যাপী শিল্পোদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি’র ভর্তি ফি’তে ৫০ শতাংশ ছাড়সহ শতভাগ স্কলারশিপ প্রকাশিত সংবাদে আহমদ কবিরের প্রতিবাদ অবসরপ্রাপ্ত সেক্রেটারি রশিদ আহমদের চিংড়ি প্রজেক্ট জবরদখলের অভিযোগ কক্সবাজার শহরে তারেক বাহিনী সক্রিয়, সশস্ত্র মহড়া ভারুয়াখালীতে চিংড়ি প্রজেক্ট দখলে নিতে সশস্ত্র হামলায় আহত ২, লুটপাট ঈদগাঁও ইউনিয়ন বিএনপি’র আহবায়ক কমিটি স্বেচ্ছাসেবক দল ফতেখারকুল শাখার ৭ সদস্যের কমিটি অনুমোদন

প্রদীপসহ ৫৬ জনের বিরুদ্ধে আরো দুইটি হত্যা মামলার আবেদন

বার্তা কক্ষ / ২৩৬ বার পড়ছে
আপলোড : শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:৫৪ অপরাহ্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক
টেকনাফের বাহারছড়ার আবদুল আমিন ও হোয়াইক্যংয়ের মুফিজ আলম নামের দুইজনকে ক্রসফায়ারে হত্যার অভিযোগে টেকনাফের সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৫৬ জনের বিরুদ্ধে পৃথক দুইটি মামলার আবেদন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (টেকনাফ – ৩) হেলাল উদ্দীনের আদালতে এই দুই মামলার আবেদন করেন নিহত বাহারছড়ার আবদুল আমিনের ভাই নুরুল আমিন ও মুফিজ আলমের ভাই মোঃ সেলিম।
ফৌজদারি মামলার এজাহার দুটি আমলে নিয়ে ওই ঘটনা সংক্রান্ত অন্য মামলা আছে কিনা তা আগামী ধার্য্য দিনের মধ্যে আদালতকে জানাতে টেকনাফ থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
বাদি পক্ষের আইনজীবী আবু মুছা মুহাম্মদ এই তথ্য জানান।
দুই মামলার একটি ৩৮ জন ও অন্যটিতে ১৮ জনকে আসামী করা হয়েছে।
বাহারছড়ার আবদুল আমিন  মামলার আবেদনে বাদি উল্লেখ করেন, সুপারি ব্যবসায়ী আবদুল আমিন থেকে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে টেকনাফ থানা পুলিশ। কিন্তু টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায় তিনি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর সকালে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে একদল পুলিশ। থানায় নিয়ে গিয়ে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন তৎকালীন ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ আরো কিছু পুলিশ সদস্য। শেষে বাধ্য হয়ে ৫০ হাজার টাকা দেয় পরিবার। বাকি টাকার ৩০ সেপ্টেম্বর ভিমটিম নিয়ে গিয়ে তার স্ত্রীকে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে স্ত্রীর কাছ থেকে বাকি টাকা দাবি করে পুলিশ। এতে অস্বীকৃতি জানানো হলেই একদল পুলিশ আবদুল আমিনকে গুলি করে হত্যা করে।
একইভাবে মুফিজ আলম থেকে ১৫ লাখ চাঁদা দাবি করেন প্রদীপগং। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। এক পর্যায়ে টাকা না দিলে ক্রসফায়ারে হত্যার হুমকি দেয়। পরে বাধ্য হয়ে ২০১৯ সালের ১২ জুলাই পুলিশকে ৬ লাখ টাকা দেন। টাকা নেয়ার পরদিনই মুফিজ আলমকে ক্রসফায়ারের নামে হত্যা করা হয় বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।