বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৩৩ পূর্বাহ্ন
রাঙামাটি সংবাদদাতা:
দুই মাসের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর ফের চালু হয়েছে রাঙামাটির ৫১টি আবাসিক হোটেল-মোটেল। এক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে সবাই। তবে গত ৩১ মে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটি শেষ হলেও খোলেনি জেলার কোনও পর্যটন কেন্দ্র।
সবকিছু সীমিত আকারে খোলার নির্দেশনা পেয়ে গত ৩০ মে বিকাল থেকে রাঙামাটি শহরের হোটেলগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার কাজ শুরু হয়।
রাঙামাটি আবাসিক হোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মঈনুদ্দিন সেলিম বাংলা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেছেন, ‘আমাদের সংগঠনের আওতায় থাকা ৫১টি আবাসিক হোটেল ৩১ মে সকাল থেকে খুলেছে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে চালু হয়েছে সব।’
যদিও রাঙামাটি পর্যটন করপোরেশনের হোটেল চালুর বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। এই সংস্থার ব্যবস্থাপক সৃজন বিকাশ বড়–য়া বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমাদের এখন কোনও বুকিং নেই। পর্যটকদের কাছ থেকে বুকিং পেলে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ঝুলন্ত সেতুকরোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে সারাদেশের মতো রাঙামাটিতে ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা ছিল। এখনও তা বহাল আছে উল্লেখ করেন রাঙামাটির জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশীদ। তার কথায়, ‘পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা থাকায় কোনও পর্যটন স্পট এখনই খুলছে না। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আবাসিক হোটেল খোলা রাখা যাবে।’
প্রশ্ন উঠেছে, পর্যটকরা ভ্রমণে না এলে হোটেল-মোটেল খুলে লাভ কী? অতিথি শূন্যতায় সবই ফাঁকা পড়ে থাকার আশঙ্কা রয়েছে। সেক্ষেত্রে কর্মীদের বেতন দেওয়া ও রক্ষণাবেক্ষণসহ হোটেল মালিকদের লোকসান গুনতে হবে। এমনিতেই গত দুই মাসে অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে জেলার পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
কোভিড-১৯ মহামারির কারণে গত ১৮ মার্চ রাতে রাঙামাটির পর্যটন কেন্দ্রে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে জেলা প্রশাসন। এর পরদিনই এখানকার সব হোটেল-মোটেল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।