রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:১৪ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি পরিদর্শনে চট্টগ্রামের সমন্বয়ক টিম বন্যাদূর্গত পরিবারে কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির আর্থিক সহায়তা ফেনীতে বন্যার্তদের জন্য কমিউনিটি রান্নাঘর চালু করে ২৩ হাজার গরম খাবার দিল কোস্ট ফাউন্ডেশন ইলিয়াছ মিয়া চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের বৃক্ষরোপণ পান বাজার রোডে এশিয়া ফার্মেসি উদ্বোধন বৈষম্যমুক্ত কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি ও এম আর পি বাস্তবায়ন চান ওষুধ ব্যবসায়ীরা কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি দখলবাজদের আইনের কাঠগড়ায় হাজির করা হবে কক্সবাজারে কোস্টের নারী নেটওয়ার্কিং কমিটির নেতৃত্ব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ বিশ্ব মানবিক দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আলোচনা সভা সাবেক সেনা কর্মকর্তা পরিচয়ে কক্সবাজারে আবাসিক হোটেল দখলের অভিযোগ

যেভাবে একইসঙ্গে আম্পান-করোনা মোকাবিলা করলো বাংলাদেশ

বার্তা কক্ষ / ৩৩৫ বার পড়ছে
আপলোড : রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:১৪ পূর্বাহ্ন

কক্সবাজার টাইমস২৪ ডেস্ক:
মে মাসে যখন ভারত সাগরে সুপার সাইক্লোন আম্পান সৃষ্টি হচ্ছিল, নষ্ট করার মতো কোনো সময়ই বাংলাদেশের হাতে ছিল না। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানা যায়, বিধ্বংসী এ ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশের ওপর ব্যাপক আঘাত হানবে। এমনিতেই দেশে করোনা সংক্রমণ চলছে, এ সময় সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা জরুরি। ওদিকে আমাদের আশ্রয়কেন্দ্রগুলো সামাজিক দূরত্বের কথা বিবেচনায় রেখে বানানো নয়।

ফলে দেশ এক কঠিন চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়ে। কীভাবে ২৪ লাখ মানুষকে আসন্ন ঘূর্ণিঝড়ের কবল থেকে বাঁচাতে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া যায়। আবার এটাও খেয়াল রাখতে হবে, তারা যেন ঘূর্ণিঝড় থেকে বাঁচতে গিয়ে আরও বড় বিপদ করোনার কবলে না পড়ে। মানুষ এমনিতেই নিজেদের ঘরবাড়ি অনিরাপদ অবস্থায় রেখে আশ্রয়কেন্দ্র বা কোথাও সরে যেতে চায় না। এবার করোনা সংক্রমণের মধ্যে এ পরিস্থিতি ছিল আরও জটিল। করোনা আতঙ্কে মানুষ ঘরবাড়ি ছাড়তে চাইছিল না।

সার্বিক পরিস্থিতিতে যাতে মানুষের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা যায়, এ লক্ষ্যে মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে আগেকার ৪ হাজার ১৭১ আশ্রয়কেন্দ্রের বাইরে আরও ১০ হাজার ৫০০ বাড়তি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করি আমরা। উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে নামানো হয় ৭০ হাজারেরও বেশি স্বেচ্ছাসেবী। বিতরণ করা হয় পর্যাপ্ত মাস্ক, পানি, সাবান ও স্যানিটাইজার। বিদেশি ক্রয়াদেশ বাতিল হওয়ায় ভুক্তভোগী গার্মেন্টস কারখানাগুলো নেমে পড়ে পারসোনাল প্রটেকটিভ ইকুইপমেন্ট তৈরির কাজে।

যথাযথ সময়ে পূর্ব-সতর্কতা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষকে নিরাপদ রাখা এবং দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামো পুননির্মাণ ও পুনরায় মানুষের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের রয়েছে দীর্ঘ সময়ের অভিজ্ঞতা। এর মাধ্যমেই এই করোনাকালীন সময়েও সুপার সাইক্লোন আম্পানকে সাফ্যল্যের সঙ্গে মোকাবিলা করে বাংলাদেশ। আর এতে করে বেঁচে যায় হাজার হাজার মানুষের জীবন।

বুধবার (৩ জুন) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানে প্রকাশিত একটি লেখায় এভাবেই করোনা পরিস্থিতিতে সুপার সাইক্লোন আম্পান মোকাবিলার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ সবসময় নিজেদের প্রস্তুতি ও অভিজ্ঞতা অন্যদের জানাতে আগ্রহী বলে জানান শেখ হাসিনা।

গার্ডিয়ানের লেখায় জলবায়ু ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় ব-দ্বীপ বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদী নানান পরিকল্পনার কথাও জানান প্রধানমন্ত্রী।