1. khaircox10@gmail.com : admin :
দ্বিতীয় বিয়ের অভিযোগে চেয়ারম্যানকে বিচার, অপমানে স্বামীর আত্মহত্যা! - coxsbazartimes24.com
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৩৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম
বিআইডব্লিউটিএ অফিস সংলগ্ন নালা দখল করে মাটি ভরাট ফাসিয়াখালী মাদরাসার দাতা সদস্য পদে জালিয়াতি! প্রকাশিত সংবাদে পাহাড়তলীর আবদুর রহমানের প্রতিবাদ কক্সবাজার হজ কাফেলার উদ্যোগে হজ ও ওমরাহ কর্মশালা বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে কক্সবাজারে ছাত্রলীগের ইফতার বিতরণ রোহিঙ্গা রেসপন্সে বিশ্বব্যাংকের ঋণকে প্রত্যাখ্যান করেছে অধিকার-ভিত্তিক সুশীল সমাজ হযরত হাফসা (রাঃ) মহিলা হিফজ ও হযরত ওমর (রাঃ) হিফজ মাদ্রাসার দস্তারবন্দী অনুষ্ঠান নারী দিবসের অঙ্গীকার, গড়বো সমাজ সমতার – স্লোগানে মুখরিত কক্সবাজার প্রকাশিত সংবাদের বিরুদ্ধে পেশকার পাড়ার ফরিদুল আলমের প্রতিবাদ কক্সবাজারে কোস্ট ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে মাতৃভাষা দিবস পালন

দ্বিতীয় বিয়ের অভিযোগে চেয়ারম্যানকে বিচার, অপমানে স্বামীর আত্মহত্যা!

  • আপডেট সময় : বুধবার, ৭ অক্টোবর, ২০২০
  • ৪১৭ বার ভিউ

কক্সবাজার টাইমস২৪#
দ্বিতীয় বিয়ে করার অভিযোগে চেয়ারম্যানকে বিচার দেন প্রথম স্ত্রী আয়েশা বেগম। আর স্ত্রীর এই বিচারের পর স্বামী সাইফুল ইসলামকে পরিষদের ডাকেন চেয়ারম্যান। সময় বেঁধে দেন ৭ দিনের। এই সময়ের মধ্যে এক স্ত্রীকে তালাক দিলে বিচারে বসবেন বলে জানান চেয়ারম্যান আবদুল মাবুদ।
তবে, প্রথম স্ত্রীর দেয়া নালিশকে নিজের জন্য ‘অপমান’ মনে করেন স্বামী সাইফুল ইসলাম। পরিষদ থেকে সোজা দোকানে যান। কিনে নেন একটি বিষের বোতল। সেই বোতল নিয়ে ঘরে গিয়ে স্ত্রীর সামনে বিষপান করেন সাইফুল।
সোমবার (৫ অক্টোবর) বিকাল ৩ টার দিকে রামুর খুনিয়াপালং ইউনিয়নের দারিয়ারদীঘি এলাকায় এমন ঘটনাটি ঘটেছে।
একই দিন রাত ৯ টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সদর হাসপাতালে মারা যান সাইফুল ইসলাম। তার সংসারে রয়েছে এক ছেলে ও এক মেয়ে। তিনি পেশায় টমটম চালক।
মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১১ টার দিকে মুঠোফোনে কথা হয় সাইফুল ইসলামের ছোট ভাই আইফুল ইসলামের সঙ্গে।
তিনি বলেন, দ্বিতীয় বিয়ে করার অভিযোগে চেয়ারম্যানকে বিচার দেন প্রথম স্ত্রী আয়েশা বেগম। বিচারের কথা বলে বড় ভাইকে পরিষদে ডেকে নেন চেয়ারম্যান আবদুল মাবুদ। প্রথম স্ত্রী চেয়ারম্যানের আত্মীয় হওয়ায় দ্বিতীয় স্ত্রীকে তালাক দিতে চাপ প্রয়োগ করেন। এমনকি পরিষদের একটি কক্ষে ঢুকিয়ে রশি দিয়ে বেঁধে ব্যাপক মারধর ও নির্যাতন চালানো হয়।
আইফুল ইসলামের দাবি, স্ত্রীর বিচারের কারণেই তার ভাইকে মারধর করেছেন চেয়ারম্যান। সেই অপমান সইতে না পারে বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন বড় ভাই সাইফুল ইসলাম।
ময়না তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানান তিনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাইফুল ইসলাম উখিয়া উপজেলার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের পাতাবাড়ি এলাকার মৃত জাগের হোছনের ছেলে। ১০ বছর আগে খুনিয়াপালং ইউনিয়নের দারিয়ারদীঘি এলাকার বদিউল আলমের মেয়ে আয়েশা বেগমের সাথে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে সাইফুল দারিয়ারদীঘি এলাকায় শ্বশুড় বাড়িতে স্বপরিবারে বসবাস করেন।
তবে, মারধর ও নির্যাতনের কথা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন খুনিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল মাবুদ।
তিনি বলেন, দ্বিতীয় বিয়ের অভিযোগে প্রথম স্ত্রী ফাতেমা বেগম বিচার দিয়েছিলেন। তাই ৫ অক্টোবর দুপুরে স্বামী সাইফুল ইসলামকে পরিষদে ডেকে বিস্তারিত জিজ্ঞেস করেছি।
আবদুল মাবুদ বলেন, ছোট স্ত্রী রাখলে বড় স্ত্রী বাড়িতে থাকবে না বলে আমাকে জানায়। তাই তাদেরকে এক সপ্তাহ বোঝার জন্য সময় দিয়েছি। বিকেল পাঁচটার দিকে শুনেছি, বিষপান করেছে সাইফুল ইসলাম। সেখানে আমার করার কি আছে? প্রশ্ন চেয়ারম্যানের।
তার দাবী, আমি সাইফুল ইসলামকে মারধর তো দূরের কথা, টাচও করিনি। বরং তাকে বলেছি, বউ দুইটা রাখবে, নাকি একটা রাখবে? বাড়িতে গিয়ে চিন্তা করো। এক সপ্তাহ পরে পরিষদ আসবে। তখন বিচার করব।
স্বামী-স্ত্রী ঝগড়ার সুত্র ধরে বিষপান করেছে। সেখানে আমার কি দোষ? প্রশ্ন আব্দুল মাহমুদের।
স্থানীয় একজন সাংবাদিক এসব অপপ্রচার চালিয়েছেন বলে দাবি করেন চেয়ারম্যান আবদুল মাবুদ।
তবে, স্থানীয় অনেক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছে, আবদুল মাবুদ নিজেই সাইফুলকে ব্যাপক মারধর করেছেন। তার সারা শরীর অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের নেতা ও প্রভাবশালী হওয়ায় স্থানীয়রা এ বিষয়ে মুখ খুলছে না।
নিরপেক্ষ তদন্ত করলে ঘটনার আসল রহস্য বের হবে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে রামু থানার ওসি কে এম আজমিরুজ্জামান জানান, ঘটনার বিষয়ে এখনো কেউ জানায় নি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

খবরটি সবার মাঝে শেয়ার করেন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সব ধরনের নিউজ দেখুন
© All rights reserved © 2020 coxsbazartimes24
Theme Customized By CoxsTech