রবিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১:১০ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
বিভিন্ন পত্রিকায় মিথ্যাচারের জবাব দিলেন যুবদল নেতা জাবেদ ইকবাল লবণ আমদানির চক্রান্ত রুখতে হবে বিসিক কক্সবাজারে পাঁচদিনব্যাপী শিল্পোদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি’র ভর্তি ফি’তে ৫০ শতাংশ ছাড়সহ শতভাগ স্কলারশিপ প্রকাশিত সংবাদে আহমদ কবিরের প্রতিবাদ অবসরপ্রাপ্ত সেক্রেটারি রশিদ আহমদের চিংড়ি প্রজেক্ট জবরদখলের অভিযোগ কক্সবাজার শহরে তারেক বাহিনী সক্রিয়, সশস্ত্র মহড়া ভারুয়াখালীতে চিংড়ি প্রজেক্ট দখলে নিতে সশস্ত্র হামলায় আহত ২, লুটপাট ঈদগাঁও ইউনিয়ন বিএনপি’র আহবায়ক কমিটি স্বেচ্ছাসেবক দল ফতেখারকুল শাখার ৭ সদস্যের কমিটি অনুমোদন

ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল পাবে লক্ষ্যারচরের তিন হাজার শিশু

বার্তা কক্ষ / ২৫৫ বার পড়ছে
আপলোড : রবিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১:১০ পূর্বাহ্ন

কক্সবাজার টাইমস২৪#
অধিক পুষ্টিগুণ সম্পন্ন ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল পাবে চকরিয়া উপজেলার লক্ষ্যারচর ইউনিয়নের প্রায় তিন হাজার শিশু।

শনিবার (১০ অক্টোবর) সকালে আমজাদীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশুদের ক্যাপসুল খাওয়ানোর কার্যক্রম উদ্বোধন করেন ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা কায়ছার। ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত ক্যাম্পেইন পরিচালিত হবে।

এর আগে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়াতে উদ্ভুদ্ধ করে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হয়।

চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা কায়ছার জানান, গ্রামের মানুষ এখনো ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুলের ব্যাপারে সচেতন নয়। তাই এর উপকারীতা জানিয়ে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। খবর পেয়ে শনিবার প্রচুর লোক সাড়া দিয়েছে। নিয়োজিত স্বাস্থ্যকর্মীরা আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করছে।

স্বাস্থ্য বিভাগের দেয়া তথ্য মতে, ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশু ‘নীল রঙ’ এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশু ‘লাল রঙ’ এর ক্যাপসুল পাবে।

৪ মাস আগে যারা ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খেয়েছে এবং মারাত্মক অসুস্থ এমন কোন শিশুকে ক্যাপসুল দেওয়া হবে না।

করোনা আক্রান্ত হলেও শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে।

স্বাস্থ্যকর্মীর পরিবর্তে মা কিংবা অভিভাবক চাইলে ক্যাপসুল খাওয়াতে পারবে। তবে টিকাদান কেন্দ্রের বাইরে নয়।

কক্সবাজার জেলার ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৩৫৩ জন শিশু রয়েছে।

সেখানে ৬-১১ মাস বয়সী শিশু ৬২ হাজার ৪২৮ জন এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুর সংখ্যা ৪ লক্ষ ১৬ হাজার ৯২৫ জন। জেলার ৮টি উপজেলা, পৃথকভাবে ইপিআই কাজ পরিচালিত একটি পৌরসভা, ৭২ টি ইউনিয়ন ও ২১৬টি ওয়ার্ডে ৪-১৭ অক্টোবর একযোগে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন পরিচালিত হবে।

সকল শিশুকে শতভাগ ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুলের আওতায় আনার লক্ষ্যে কাজ করছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

অন্ধত্বের হার কমানো ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে প্রতি বছর জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন।

শিশুর রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায় এবং শিশুর মৃত্যুর ঝুঁকি কমাতে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল কার্যকর।

ভিটামিন ‘এ’ ঘাটতি পূরণের মাধ্যমে শিশু মৃত্যুর হার ২৩ শতাংশ পর্যন্ত কমানো সম্ভব।

সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য মতে, কক্সবাজার জেলায় স্থায়ী ৯টি, অস্থায়ী ১৮৪০টি, ভ্রাম্যমান ২৭টি ও অতিরিক্ত ৭৫ টিসহ মোট ১৯৫১ টিকাদান কেন্দ্রে ২০৮ জন স্বাস্থ্য সহকারী রয়েছে।

এছাড়া ১৭৩ জন পরিবার কল্যাণ সহকারী, ৫৪০৭ জন স্বেচ্ছাসেবক এবং ২১৬ জন তত্ত্বাবধায়ক নিয়োজিত রয়েছে।