বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০৯ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
ঈদগাঁও ইউনিয়ন বিএনপি’র আহবায়ক কমিটি স্বেচ্ছাসেবক দল ফতেখারকুল শাখার ৭ সদস্যের কমিটি অনুমোদন কক্সবাজার জেলা জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক এড. মোহাম্মদ তারেক জামিনে বেরিয়ে এসে মালুমঘাটে হত্যা মামলার আসামীদের হামলা লুটপাট কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি পরিদর্শনে চট্টগ্রামের সমন্বয়ক টিম বন্যাদূর্গত পরিবারে কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির আর্থিক সহায়তা ফেনীতে বন্যার্তদের জন্য কমিউনিটি রান্নাঘর চালু করে ২৩ হাজার গরম খাবার দিল কোস্ট ফাউন্ডেশন ইলিয়াছ মিয়া চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের বৃক্ষরোপণ পান বাজার রোডে এশিয়া ফার্মেসি উদ্বোধন বৈষম্যমুক্ত কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি ও এম আর পি বাস্তবায়ন চান ওষুধ ব্যবসায়ীরা

রামুর টমটম চালক সাইফুলের মৃত্যু নিয়ে রহস্য

বার্তা কক্ষ / ৭০৯ বার পড়ছে
আপলোড : বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০৯ পূর্বাহ্ন

কক্সবাজার টাইমস২৪#
রামু খুনিয়াপালং দারিয়ারদীঘি এলাকার টমটম চালক সাইফুল ইসলামের মৃত্যুর ৫ দিনেও রহস্য উদঘাটন হয় নি। হাসপাতাল থেকেও পাওয়া যায়নি তদন্ত প্রতিবেদন। দিন যত যাচ্ছে মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে তত কথা শুনা যাচ্ছে। গড়াচ্ছে পক্ষে বিপক্ষে নানা ঢালপালা। কেউ বলছে, চেয়ারম্যান আবদুল মাবুদের মারধরের কারণে সাইফুলের মৃত্যু হয়েছে।
আবার অনেকে বলছে, প্রথম স্ত্রী আয়েশা বেগম পরিষদে বিচার দেয়ার অপমানে বিষপানে আত্মহত্যা করেছে টমটম চালক সাইফুল। এখন সব নির্ভর এখন ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ওপর।
ময়নাতদন্ত রিপোর্ট কখন পাওয়া যেতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মোহাম্মদ শাহীন আবদুর রহমান চৌধুরী জানান, কক্সবাজার থেকে স্যাম্পল চট্টগ্রাম পাঠানো হয়। সব প্রক্রিয়া শেষ করে চূড়ান্ত রিপোর্ট পেতে অনুমান ২ মাস লেগে যেতে পারে।
জানা গেছে, দ্বিতীয় বিয়ের অভিযোগে সাইফুলের বিরুদ্ধে পরিষদের বিচার দেন প্রথম স্ত্রী আয়েশা বেগম। স্ত্রীর এই বিচারের পর গত ৫ অক্টোবর দুপুরে স্বামী সাইফুল ইসলামকে পরিষদে ডাকেন চেয়ারম্যান আবদুল মাবুদ। ৭ দিনের মধ্যে এক স্ত্রীকে তালাক দেয়ার সময় বেঁধে দেন চেয়ারম্যান। এ সময় পরিষদের একটি কক্ষে ঢুকিয়ে সাইফুল ইসলামকে ব্যাপক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ করেন তার ভাই আইফুল ইসলাম। একই দিন রাত ৯টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সদর হাসপাতালে মারা যান সাইফুল ইসলাম। তার আগে বিকাল তিনটার দিকে সাইফুল নিজ বাড়িতে বিষপান করেন বলেও একটি সুত্রে জানা গেছে।
তবে, মারধরের কথা শুরু থেকেই সম্পূর্ণ অস্বীকার করে আসছিলেন চেয়ারম্যান আবদুল মাবুদ।
তার দাবী, মারধর তো দূরের কথা, তিনি সাইফুল ইসলামকে স্পর্শও করেন নি। স্ত্রীর সাথে ঝগড়া দিয়ে বাড়িতেই বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন।
সাইফুল ইসলাম উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের পাতাবাড়ি এলাকার মৃত জাগের হোছনের ছেলে।
তবে স্থানীয় অনেক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছে, আবদুল মাবুদ নিজেই সাইফুলকে ব্যাপক মারধর করেছেন। তার সারা শরীর অসংখ্য আঘাতের চিহ্নই মারধরের প্রমান। চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের নেতা ও প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ মুখ খোলতে সাহস করছে না।
নিরপেক্ষ তদন্ত করলে ঘটনার আসল রহস্য বের হবে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে রামু থানার পরির্শক (সেকেন্ড অফিসার) মো. কামরুল ইসলাম জানান, এ ধরণের ঘটনার বিষয়ে কেউ থানায় অভিযোগ দেয় নি। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।