আমি হাজী আব্দুল গনি
জাতীয় শ্রমিক লীগের টেকনাফ পৌর শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক।
আমি ২০০৩ সাল হতে ২০১৪ সাল পর্যন্ত প্রবাস জীবন কাটিয়ে নিজ দেশে ফেরত আসি।
এরই মধ্যে বাংলাদেশ সরকারকে নিয়মিত রাজস্ব আদায় করে কয়েকটি দোকানপাট করিয়া ব্যাক্তিগত জীবন যাপন করিয়া আসিতেছি।
ইতোমধ্যে এলাকার কিছু ব্যবসায়ীক বন্ধু এবং টেকনাফ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহজাহান মিয়ার সাথে সাক্ষাৎ হয়। তিনি আমাকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন জাতীয় শ্রমিক লীগে যোগদানে উদ্ভুদ্ধ করেন। তাতে আমি উদ্ভুদ্ধ হই।
উন্নয়নের রূপকার সাবেক এমপি আলহাজ্ব আব্দুর রহমান বদির দিক নির্দেশনায় টেকনাফ পৌর শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নিযুক্ত করিতে চাহিলে প্রস্তাবে আমি একমত পোষন করি।
দায়িত্ব নেওয়ার পর দেখতে পাই- সভাপতি জিয়াউর রহমান জিয়ার বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের মুখে অনেক অভিযোগ। সংগঠন পরিচালনায়ও তার বিরুদ্ধে নেতাকর্মীদের অভিযোগের অন্ত নেই। এমনকি তার হাতে অনেক সিনিয়র নেতা হেনস্তার শিকারও হয়েছেন। যা সবাই অবগত।
সাংগঠনের স্বার্থে সভাপতি জিয়াউর রহমান জিয়া, সাধারণ সম্পাদক ফরিদ আলম জয়সহ সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সাথে বর্ধিত সভা করিয়া থাকি।
সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে সুশৃংখল ও সুন্দরভাবে একটি শক্তিশালী সংগঠন করে টেকনাফ পৌরবাসীকে উপহার দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কাজ ভালোই চলছিল।
কিছু দিন যেতে না যেতে জিয়া রহমান জিয়া মাঠ পর্যায়ে শ্রমিক লীগের নাম ব্যবহার করে চাঁদাবাজি শুরু করিতে থাকেন। এতে বিভিন্ন চাঁদা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান, সংস্থা আমার কাছে জানিতে চাহিলে আমি উক্ত সংস্থাগুলোকে চাঁদা না দিতে পরামর্শ প্রদান করি।
এতে জিয়াউর রহমান জিয়া আমার উপর ক্ষিপ্ত হন। নানাভাবে হুমকি ধমকি দিতে থাকেন। তবুও বন্ধু হিসেবে আমি কিছু মনে না করে তাকে ক্ষমা করে দিতাম।
পরবর্তী ২০১৯ সালে যখন উপজেলা নির্বাচনের প্রচারনা শুরু হয়, তখন দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমাকে ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রস্তুতি গ্রহন করিতে হয়।
আমার নির্বাচনী প্রচারনা ও জনপ্রিয়তায় আমি একধাপ এগিয়ে ছিলাম।
আমার নির্বাচনী প্রচারণার অন্যতম সহযোগী ছিলেন জিয়াউর রহমান জিয়া। আমার জনপ্রিয়তা দেখে বিরোধী একাধিক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সাথে গোপনে মোটা অংকের লেনদেন করে আমাকে নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার জন্য হুমকি দিতে থাকেন।
এরই মধ্যে আমি আমার জনপ্রিয়তার উৎসাহ এবং নেতৃবৃন্দের দেওয়া সাহসে এগিয়ে যাচ্ছিলাম। অবস্থানও খুব ভালো ছিল।
ঠিক এই সময়ে জিয়াউর রহমান জিয়া টেকনাফের তৎকালীন ওসি প্রদীপ কুমার দাসের দালাল সেজে এএসআই সজিবের সাথে হাত মিলিয়ে আমাকে ফায়সাল প্লাজা মার্কেটের ভিতর থেকে ৩০-৪০ জন মানুষের সামনে থেকে বন্দুক ঠেকিয়ে আমাকে ওঠিয়ে নিয়ে যান। এর পরে জিয়াউর রহমান জিয়া আমার বাড়িতে গিয়ে আমার স্ত্রী নিকট একলক্ষ টাকা চান।
তখন আমার স্ত্রী চিৎকার দিয়ে বললেন, আমার স্বামী নির্দোষ। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও ষড়যন্ত্রের শিকার।
দাবীকৃত টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় আমাকে থানায় ৩ দিন আটকিয়ে রেখে দুইটি মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়।
এসময় সভাপতি জিয়াউর রহমান জিয়া বলেছিলেন- আমি মিথ্যা মামলা ও হয়রানির শিকার।
দীর্ঘদিন পর কারামুক্ত হয়ে দলীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সাক্ষাৎ করি। আমাকে গ্রেফতার ও মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর পরও কেন প্রতিবাদ হয় নি, জানতে চাইলাম।
সম্প্রতি সভাপতি জিয়াউর রহমান জিয়াকে অবাঞ্ছিত এবং সহসভাপতি মোঃ তারেককে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ঘোষনা করা হয়। এরপর থেকে আমার উপর ক্ষিপ্ত হন জিয়া। বিভিন্ন মাধ্যমে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। সংঘবদ্ধ কুচক্রিমহল নানাস্থানে গুজব ছাড়াচ্ছে। এ বিষয়ে কাউকে বিভ্রান্ত না হতে অনুরোধ করছি।
ভবিষ্যতে এই রকম অপপ্রচার ও বিভ্রান্তি ছড়ানো হলে আমি আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো।
Leave a Reply