শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:২৯ অপরাহ্ন

শিরোনাম :
বিভিন্ন পত্রিকায় মিথ্যাচারের জবাব দিলেন যুবদল নেতা জাবেদ ইকবাল লবণ আমদানির চক্রান্ত রুখতে হবে বিসিক কক্সবাজারে পাঁচদিনব্যাপী শিল্পোদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি’র ভর্তি ফি’তে ৫০ শতাংশ ছাড়সহ শতভাগ স্কলারশিপ প্রকাশিত সংবাদে আহমদ কবিরের প্রতিবাদ অবসরপ্রাপ্ত সেক্রেটারি রশিদ আহমদের চিংড়ি প্রজেক্ট জবরদখলের অভিযোগ কক্সবাজার শহরে তারেক বাহিনী সক্রিয়, সশস্ত্র মহড়া ভারুয়াখালীতে চিংড়ি প্রজেক্ট দখলে নিতে সশস্ত্র হামলায় আহত ২, লুটপাট ঈদগাঁও ইউনিয়ন বিএনপি’র আহবায়ক কমিটি স্বেচ্ছাসেবক দল ফতেখারকুল শাখার ৭ সদস্যের কমিটি অনুমোদন

টেকসই মৎস্যসম্পদ বিনির্মাণে নারীর অংশগ্রহণ ও আর্থ সামাজিক উন্নয়ন আবশ্যক

বার্তা কক্ষ / ২৯৯ বার পড়ছে
আপলোড : শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:২৯ অপরাহ্ন

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে টেকসই মৎস্যসম্পদ বিনির্মাণে নারীর অংশগ্রহণের বিকল্প নেই এবং তাদের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন আবশ্যক। বাংলাদেশে নারীদের জন্য যথেষ্ট সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। সেই সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে জলকৃষি ও মৎস্যচাষের মাধ্যমে আর্থ সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে।
সোমবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে কক্সবাজার শহরের একটি কনফারেন্স হলে ‘টেকসই মৎস্যসম্পদ বিনির্মাণে নারীর অংশগ্রহণ এবং নারীর আর্থ সামাজিক উন্নয়ন আবশ্যক’ শিরোনামের গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ শীর্ষক সভায় প্রধান অতিথির বক্তেব্যে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আতিক উল্লাহ্ এসব কথা বলেন।
সভায় উপস্থাপিত প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতি বছর কক্সবাজার থেকে ৩৬ হাজার ৮০০ মে.টন ইলিশ আহরণ হয়। সারাদেশের ৯টি উপকূলীয় জেলার মধ্যে কক্সবাজার, ভোলা ও বাগেরহাটে সর্বোচ্চ ইলিশ ধরা পড়ে। র‌্যাংকিংয়ে সারাদেশের মধ্যে কক্সবাজার থেকে ৩৬ হাজার ৮০০ মে.টন, ১২.৯৩ শতাংশ ইলিশ আহরণ হয়। এবং সারাদেশে মধ্যে কক্সবাজারের অবস্থান পঞ্চম। বরিশাল বিভাগের মধ্যে ভোলা এবং বরগুনা সবচেয়ে বেশি ইলিশ সরবরাহ করে থাকে। গত অর্থবছরে ভোলা থেকে ১ লক্ষ ৬১ হাজার ৮৩২ মে.টন এবং বরগুনা থেকে ৭০ হাজার ২৩৭ মে.টন ইলিশ সরবরাহ করা হয়। অন্যদিকে বাগেরহাট হচ্ছে চিংড়ি চাষের অন্যতম প্রধান এলাকা। এ তথ্য গবেষণা প্রতিবেদন থেকে জানা যায়।
কক্সবাজার, ভোলা ও বাগেরহাট এই তিনটি উপকূলীয় জেলা নিয়ে জরীপ কার্যক্রম চালিয়েছে দেশের অন্যতম বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) কোস্ট ট্রাস্ট।
প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ হয়েছে- কক্সবাজার সদরের খুরুশকুল, পিএমখালী, ভোলা সদরের ধনিয়া, ভেদুরিয়া, বাগেরহাট সদরের শরণখোলার যাত্রাপুর, ষাটগম্বুজ ও সাউথখালীতে বসবাসকারী মানুষের প্রায় ৪০ শতাংশ জেলে। এই অনুপাত কক্সবাজারে ৬৬.৯৯ শতাংশ। জরীপকৃত এলাকার মোট পরিবারের মধ্যে জেলে পরিবারের সংখ্যা ৭৯৯৪ টি, যা প্রায় ৩৯.৭৮ শতাংশ। এবং কক্সবাজার সদরের খুরুশকুলে মোট ১১৪০ পরিবারের মধ্যে ৯৫৫ জেলে পরিবার। পিএমখালীতে ৯৮০ পরিবারে জেলে পরিবারের সংখ্যা ৪৬৫ টি।
জনসুরক্ষা মঞ্চ কক্সবাজার’র সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক ইমাম খাইরের সভাপতিত্ব ও কোস্ট ট্রাস্টের জেন্ডার এন্ড অ্যাকুয়াকালচার প্রকল্পের সহ-সমন্বয়কারী সোহেল মাহমুদের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন- জেলা মহিলা বিষয়ক উপ-পরিচালক সুব্রত বিশ্বাস, জেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা ইকরামুল্লাহ চৌধুরী, কক্সবাজার সদর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা তারাপদ চৌহান, সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. অসীম বরণ সেন।
এতে পিএমখালী ও খুরুশকুলের অর্ধশতাধিক নারী উদ্যোক্তা অংশগ্রহণ করেন। তারা নিজেদেরকে সাবলম্বী হিসেবে গড়ে তুলতে কোস্ট ট্রাস্টের মতো অন্যান্য সংস্থাগুলোকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।