সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৭:০৯ পূর্বাহ্ন
কক্সবাজার টাইমস২৪ঃ
উখিয়া উপজেলার রাজাপালং দোছড়ী খাল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। তাতে ব্যক্তিমালিকানাধীন ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব। অভিযোগ করার পরও টনক নড়েনি স্থানীয় প্রশাসনের। তাতে রহস্য দেখছে ক্ষতিগ্রস্তরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উখিয়া সদরের ৬ নং ওয়ার্ডের কাজিপাড়ার মৃত নূর আহমদের ছেলে মোহাম্মদ শফির নেতৃত্বে একটি রোহিঙ্গাচক্র বালু উত্তোলনে জড়িত। প্রকৃতি ও খাল ধ্বংস করে এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে বালু উত্তোলন করে চলেছে। ইজারা বহির্ভূতভাবে বালু উত্তোলনে বারণ করে উল্টো হুমকি ও হয়রানির শিকার স্থানীয় বাসিন্দারা।
এ বিষয়ে ফাতেমা জাহান চৌধুরী নামের স্থানীয় বাসিন্দা গত ৭ জানুয়ারি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন। তিনি উখিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষিকা।
অভিযোগে ফাতেমা জাহান চৌধুরী উল্লেখ করেছেন, গত ১ জানুয়ারি সকাল ৮ টার দিকে ১০/১২ জন রোহিঙ্গা নিয়ে খালের পাড় থেকে অবাধে বালু উত্তোলন করে ডাম্পারযোগে বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করেছে করছেন মোহাম্মদ শফি। খালের পার্শ্ববর্তী তার দখলীয় জোতজমি রয়েছে। সে কারণে বালু উত্তোলনে বাধা দেন।
ফাতেমা জাহান চৌধুরীর অভিযোগ, গত ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টার দিকে বালু উত্তোলনে বাধা দিতে গেলে তাকে হুমকি দেয় বালুখেকোরা।
একই বিষয়ে পুলিশ সুপার, বন বিভাগ, পরিবেশ অধিদপ্তর, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি), থানার ওসিকে অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
অভিযোগের আলোকে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন আহমেদ।
মোহাম্মদ শফি প্রকাশ শফি সওদাগর ২০১৪ সালে উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি ও উপজেলা বিএনপির শ্রম বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন।
ক্ষমতার পালা বদলের সুযোগ নিজের পুরনো রাজনৈতিক দল পাল্টে আওয়ামী লীগ বনেছে। স্থানীয় প্রভাবশালী এক নেতার ছত্রছায়ায় রয়েছে।
বনভূমি দখল করে প্লট ও মাটি করে বিক্রিরও অভিযোগ আছে জাতীয়তাবাদি ঘরানার সাবেক এই নেতার বিরুদ্ধে।
এ প্রসঙ্গে পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজারের উপপরিচালক শেখ নাজমুল হুদা জানান, পরিবেশের ক্ষতিকর কোন তৎপরতা করতে দেয়া হবে না। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি অভিযান চালানো হয়েছে।
তিনি জানান, যারা অবৈধভাবে বালু উত্তোলনসহ পরিবেশ বিধ্বংসী কাজে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।