সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৫:৫৩ পূর্বাহ্ন
বার্তা পরিবেশকঃ
রামুর দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নে ভূমিদসু কর্তৃক নিরীহ ব্যক্তিদের জমি জবর দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় উভয় পক্ষের মধ্যে যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা রয়েছে।
সুত্রে জানা যায়, রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড কাটির মাথা নামক এলাকায় আর.এস মূলে নুর উল্লাহ গং এর ওয়ারিশ সুত্রে ২ একর ৪০ শতক জমি মোজাফ্ফর আহাম্মদ, ছৈয়দ আহাম্মদ ও শামশুল আলম ভোগ দখল করে আসছেন।
যুগযুগ ধরে আর.এস ৯১৬ দাগ মূলে এই জমির মালিক নুর উল্লাহ গং এর ওয়ারিশগণ ভোগ দখলে রয়েছেন। এমতাবস্থায় জমির মূল্য বৃদ্ধি পেতে থাকলে নুর উল্লাহ গং এর দখলকৃত জমির উপর লোভের বস্বীভুত হয়ে পড়ে স্থানীয় ইউপি মেম্বার মোহাম্মদ হোসাইন।
ফলে স্থানীয় কয়েকজন ব্যাক্তির যোগসাজশে নুর উল্লাহ গং এর জমি ইউপি মেম্বার মোহাম্মদ হোসাইন এর সহায়তায় গোপনে ভূমি অফিসে ভুল তথ্য উপস্থাপন করে গোলাম কাদের, জরিনা খাতুন ও দিলজান বেগমের নামে ভূয়া বি.এস খতিয়ান সৃজন করে।
এদিকে নুর উল্লাহ গং উক্ত জমির ভূ্য়া সৃজনকৃত বি.এস খতিয়ানের বিরুদ্ধে রামু সহকারী জজ আদালতে মিস মামলা নং ১৯/২০১৭ দায়ের করেছেন। যা বর্তমানে আদালতে রায়ের অপেক্ষায়।
এক পর্যায়ে নাম মাত্র সেই জমি তাদের কাছ থেকে ইউপি মেম্বার মোহাম্মদ হোসাইন ভূঁয়া দলিল মূলে ক্রয় করে দখলে নেওয়ার চেষ্টা চালান। এতে নুর উল্লাহ গং এর ওয়ারিগন সেই জমি দখলে নেওয়ার সময় মোহাম্মদ হোসেনকে বাঁধা দিলে তাতে ব্যর্থ হয়ে ইউপি মেম্বার মোহাম্মদ হোসেন বাঁশখালী এলাকার মিজবাহ উদ্দিন চৌধুরী নামক জনৈক ব্যাক্তিকে উক্ত জমি ভূঁয়া দলিল মূলে বিক্রী করে দেয়। এক পর্যায়ে সেই জমি অবৈধ দখলে নিতে ইউপি মেম্বার মোহাম্মদ হোসেন, মিজবাহ উদ্দিন চৌধুরীসহ স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যাক্তি ও সন্ত্রাসী গ্রুপ মিলে সিন্ডিকেট তৈরী করে রাতের অন্ধকারে মাটি ভরাট করার পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে। এঘটনায় উভয় পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ফলে যে কোন মুহুর্তে এলাবাসী রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করছে। সচেতন মহলেরদাবী জরুরী ভিত্তিতে জমি নিয়ে সৃষ্ট বিরোধে প্রশাসন জরুরী হস্থক্ষেপ না করলে আইন শৃংখলা অবনতির মতো বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে এলাকাবাসী প্রশাসনের জরুরী হস্থক্ষেপ কামনা করছেন।