1. khaircox10@gmail.com : admin :
কক্সবাজার সদর থানায় ১০ লাখ টাকার বিনিময়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার অভিযোগ - coxsbazartimes24.com
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৪৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম
রোগীদের সেবায় এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এখন কক্সবাজারে বিআইডব্লিউটিএ অফিস সংলগ্ন নালা দখল করে মাটি ভরাট ফাসিয়াখালী মাদরাসার দাতা সদস্য পদে জালিয়াতি! প্রকাশিত সংবাদে পাহাড়তলীর আবদুর রহমানের প্রতিবাদ কক্সবাজার হজ কাফেলার উদ্যোগে হজ ও ওমরাহ কর্মশালা বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে কক্সবাজারে ছাত্রলীগের ইফতার বিতরণ রোহিঙ্গা রেসপন্সে বিশ্বব্যাংকের ঋণকে প্রত্যাখ্যান করেছে অধিকার-ভিত্তিক সুশীল সমাজ হযরত হাফসা (রাঃ) মহিলা হিফজ ও হযরত ওমর (রাঃ) হিফজ মাদ্রাসার দস্তারবন্দী অনুষ্ঠান নারী দিবসের অঙ্গীকার, গড়বো সমাজ সমতার – স্লোগানে মুখরিত কক্সবাজার প্রকাশিত সংবাদের বিরুদ্ধে পেশকার পাড়ার ফরিদুল আলমের প্রতিবাদ

কক্সবাজার সদর থানায় ১০ লাখ টাকার বিনিময়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার অভিযোগ

  • আপডেট সময় : রবিবার, ২ মে, ২০২১
  • ১৩৩২ বার ভিউ

বার্তা পরিবেশকঃ
গত ২৮ এপ্রিল কক্সবাজার সদর মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা হয়েছে। যার নং-জিআর-২৭৭/২০২১। মামলা সম্পর্কে ২ মে দুপুরে সংবাদ সম্মেলন ডেকে বিস্তারিত তুলে ধরেন তিনজন ভুক্তভোগি।

কক্সবাজার রিপোর্টার্স ইউনিটির সম্মেলন কক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা ছাত্র লীগের সাবেক সহসভাপতি ভুক্তভোগি এম.এ মোনাফ সিকদার।

তিনি বলেন, আমরা নিম্ন স্বাক্ষরকারীগণ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতা কর্মী হই। আমরা রাজনীতির পাশাপাশি সুনামের সাথে ব্যবসা-বাণিজ্য ও সামাজিক সেবামূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত রয়েছি।
বিগত ২৮ এপ্রিল কক্সবাজার সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মুনির উল গীয়াস জি.আর-২৭৭/২০২১ নং মামলাটি তার থানায় রুজু করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করেন এস.আই মোঃ দত্তগীর হোসেনকে। মামলাটির খবর জেনে মামলার কপি সংগ্রহ করে দেখতে পাই যে, আমরা নিম্ন স্বাক্ষরকারীগনকে এজাহার নামীয় ২-৪নং আসামী করা হয়েছে। ১নং আসামী করা হয়েছে শফিক খাঁন নামে একটি ফেইসবুক আইডিকে। মামলার এজাহারের ভাষ্যে দেখা যায়, উক্ত ১নং আসামী শফিক খাঁন নামক আইডি থেকে কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমানের নামে বিভিন্ন মানহানিকর ও অনৈতিক পোষ্ট প্রচার করা হয়েছে। এর সমর্থনে এজাহারের সাথে ১নং আসাীর আইডি থেকে প্রচারিত পোষ্টের স্ক্রীনশট সংযুক্ত করা হয়েছে। উক্ত পোষ্টের সাথে আমরা ২-৪ নং আসামীর কোন সম্পৃক্ততা নাই ও ছিল না। আমরা সংযুক্ত ১নং আসামীর কোন পোষ্টে লাইক, কমেন্ট কিংবা শেয়ার করি নাই। ঐ বিতর্কিত ফেইসবুক আইডি কে চালায় তাও আমরা জানি না। অথচ বিতর্কিত ওসি শেখ মুনিরুল গিয়াস ও তদন্তকারীজ কর্মকর্তা এসআই মোঃ দস্তগীর হোসেন মেয়র মুজিবুর রহমানের যোগসাজসে প্রতিপক্ষের নিকট হতে মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাদের হয়রানী করে তাদের হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার লক্ষ্যে এহেন জঘন্য মামলায় মিথ্যাভাবে আসামী করা হয়েছে।

প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ !
প্রকৃত বিষয় হচ্ছে, গত ১৩ এপ্রিল দুপুর ১ টায় কক্সবাজার হোটেল মোটেল জোনস্থ আমাদের আত্মীয় ও দুয়ান ছিদ্দিকের মালিকানাধীন “হোটেল স্বপ্ন রিসোর্ট” টি পুলিশের সাথে আঁতাত করে জবর দখলের চেষ্টা চালায় একাধিক ইয়াবা মামলার আসামী ও মেয়র মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্টজন মোঃ নাসির, পিতা- মৃত রিয়াজ, সাং- দক্ষিন পরাবাগ, জালালাবাদ ইউপি, থানা- ঈদগাঁও জেলা কক্সবাজার গং। আমাদের আত্মীয় রিদুয়ান ছিদ্দিকের প্রতি উত্তরূপ জুলুমের বিরুদ্ধে আমরা নিম্ন স্বাক্ষরকারীগণ প্রতিবাদ করি। এক পর্যায়ে বাধ্য হয়ে হোটেল মালিক রিদুয়ান ছিদ্দিক জাতীয় সেবা ৯৯৯ এ ফোন করলে থানা থেকে পুলিশ ঘটনাস্থলে যেতে গড়িমসি করে। এক পর্যায়ে ঘটনার ১ ঘন্টা পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নাসির, সবুজসহ ৩জন দুষ্কৃতিকারীকে ঘটনাস্থল হতে হাতে নাতে আটক করে পুলিশ ভ্যানে তুলে। কিন্তু তাৎক্ষনিক মেয়র মুজিবুর রহমানের যোগসাজসে বিতর্কিত ওসি শেখ মুনির উল গীয়াসের নির্দেশে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে হাতে নাতে ধৃত ৩ জন দুষ্কৃতিকারীকে ছেড়ে দেয় এবং তাদের কথামত বিরোধীয় রিসোর্টে তালা মেরে চাবি ওসি সাহেবের নিকট জমা দেয়। উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে হোটেল মালিক রিদুয়ান ছিদিকের পক্ষে ১৮ জনকে আসামী করে ওসি সাহেব বরার এজাহার জমা দেন। ওসি সাহেব উক্ত এজাহার নিয়মিত মামলা হিসাবে করেন নাই। উপরন্তু মেয়র মুজিবুর রহমানের যোগসাজসে নাসির গং থেকে ১০ লক্ষ টাকা ঘুষের পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. খোরশেদ আলমকে সংবাদদাতা হিসাবে খাড়া করে পরিকল্পিতভাবে জিআর-২৭৭/২০২১ নং মামলাটি মিথ্যাভাবে রুজু করেন।

উক্ত মামলায় মিথ্যাভাবে আমাদেরকে আসামী করে আটকের জন্য পবিত্র রমজান মাসে বাসায় দফায় দফায় হানা দিচ্ছেন। এছাড়া বিতর্কিত ওসি সাহেব আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করত: এখতিয়ার বহির্ভূতভাবে রিসোর্টের চাবি নিজ হেফাজতে রেখে দিয়েছেন।

প্রিয় জাতির বিবেকগণ,
কক্সবাজার সদর মডেল থানার বিতর্কিত ওসি যোগদানের পর থেকেই কক্সবাজারের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। তিনি জনসাধারণের কাছে নিজে খুবই সাধু সাজেন। অথচ চারিদিকে দালালের মাধ্যমে কক্সবাজার সদর মডেল থানাকে ঘুষের আখড়ায় পরিণত করেছেন। এই পর্যন্ত তিনি অনেক অসহায় মানুষের জায়গা-জমি জবর দখল করে দিয়েছেন মোটা অংকের উৎকোচের মাধ্যমে। এছাড়াও শতশত মিথ্যা মামলা রুজু করেছেন। তার অত্যাচারে কক্সবাজারের ভুক্তভোগি মানুষের প্রাণ বর্তমানে ত্রাহিত্রাহি অবস্থা।

প্রিয় কলম সৈনিকগণ,
কক্সবাজার সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মুনির উল গীয়াস জি.আর ২৭৭/২০২১ নং মামলায় আমরা নিম্ন স্বাক্ষরকারীগণ সম্পূর্ণ নির্দোষ। বে-আইনীভাবে আমাদের নিকটাত্মীয়ের রিসোর্ট জবর দখলে প্রতিবাদ করায় আমাদের উক্ত মামলায় জড়িত করা হয়েছে।
অথচ এজাহারের ভাষ্য মতে, আমাদের বিরুদ্ধে কোন ধরণের অভিযোগ নাই। আমরা আপনাদের মাধ্যমে কক্সবাজার জেলার মাননীয় পুলিশ সুপার মহোদয়ের নিকট বিনীতভাবে জানাতে চাই, এই মামলা থানা কর্তৃপক্ষ থেকে হস্তান্তর করে সি.আই.ডি. পি.বি.আই, ডিবি কিংবা যে কোন নিরপেক্ষ এজেন্সিকে তদন্তভার হাওলা করে আমরা নির্দোষ ব্যক্তিগনকে মামলার দায় হইতে অব্যাহতি প্রদান করা হোক।

আপনাদের মাধ্যমে মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয়, মাননীয় আইজি মহোদয়, মাননীয় ডিআইজি মহোদয় ও মাননীয় পুলিশ সুপার মহোদয়ের নিকট এই আবেদন জানাতে চাই, কক্সবাজার সদর মডেল থানার বিতর্কিত ওসি শেখ মুনির উল গীয়াসের অপকর্মের বিষয়ে বিভাগীয় তদন্ত পূর্বক বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হোক এবং অনতিবিলম্বে তাকে অত্র থানা থেকে প্রত্যাহার করা হোক।

পরিশেষে, আপনারা আমাদের অত্র সংবাদ সম্মেলনে হাজির হওয়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। আমাদেরকে আপনাদের পবিত্র লেখনির মাধ্যমে সহযোগীতা করার জন্য অনুরোধসহ মহান রব্বুল ইজ্জতের কাছে আপনাদের দীর্ঘায়ু কামনা করে শেষ করছি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- ভুক্তভোগি মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগের জেলা সিনিয়র সহসভাপতি ওবাইদুল হোসেন ও শহরের গাড়ির মাঠ এলাকার ব্যবসায়ী গুরা মিয়া।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি শেখ মুনির উল গীয়াস বলেন, যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই মামলাটি এন্ট্রি করা হয়েছে। তবু যে কেউ অভিযোগ করতে পারে। তদন্তে সত্য মিথ্যা প্রমাণিত হবে।

টাকার বিনিময়ে মামলা নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি বলেন, দায়িত্ব নিয়েছি বিগত সাত মাস হলো। এমন দৃষ্টান্ত কেউ দেখাতে পারবে না। আমরা যথেষ্ট স্বচ্ছতার সাথে কাজ করছি। তিনি বলেন, আপনারাও খোঁজ নিয়ে দেখেন, এমন কোন সুনির্দিষ্ট তথ্য পান কিনা।

অভিযোগ অস্বীকার করে সদর থানার ওসি শেখ মুনীর উল গীয়াস বলেন, মামলাটি পৌরসভার একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বাদি হয়ে করেছেন। এতে আমার কোন হাত নেই। মেয়রসহ সংশ্লিষ্টটা সঠিক বলতে পারবেন কেন কাকে আসামি করা হলো। এরপরও তদন্তে কারো সম্পৃক্ততা না পেলে অভিযোগপত্র থেকে বাদ যাবে।

সামগ্রিক বিষয়ে জানতে কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমানের মুঠোফোনে কল করা হয়। তিনি ফোন রিসিভ না করায় এসএমএসে দেয়া হয়। তাও রিপ্লে না আসায় বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

খবরটি সবার মাঝে শেয়ার করেন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সব ধরনের নিউজ দেখুন
© All rights reserved © 2020 coxsbazartimes24
Theme Customized By CoxsTech