সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৫:২০ পূর্বাহ্ন
কক্সবাজার টাইমস২৪#
রামুর গর্জনিয়া পশ্চিম থিমছড়িতে শত বছরের বসতভিটা দখলে ব্যর্থ হয়ে সিরাজুল ইসলাম নামক এক ব্যক্তিকে মামলাসহ নানাভাবে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। ইতোমধ্যে তার পরিবারের চার সদস্যের বিরুদ্ধে রামু থানায় মামলা করেছেন ওই এলাকার মোঃ নুরুল হাকিম। যার মামলা নং-৩৪/২৮৮।
মামলায় সিরাজুল ইসলাম (৫০), স্ত্রী রাহেলা বেগম (৪৫), ছেলে হারুনর রশীদ (২২) ও ফারুক আজম (৩৫) কে আসামি করা হয়েছে। তারা জামিনে রয়েছেন।
মামলায় বসতভিটা দখলে ব্যর্থ হয়ে চুরি, ক্ষতিসাধন ও ভয়ভীতির অভিযোগ আনা হয়। থানার ইন্সপেক্টর ও গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ ফরহাদ আলী মামলাটি তদন্ত করছেন। সরেজমিন গিয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
মামলায় যেসব অভিযোগ তোলা হয়েছে তা সম্পূর্ন মিথ্যা, কাল্পনিক ও ভিত্তিহীন দাবি করেন ভুক্তভোগী সিরাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, আমাদের শত বছরের বসতভিটা ও দখলীয় জমি থেকে উচ্ছেদে ব্যর্থ হয়ে এখন মামলাসহ নানামুখী ফন্দিফিকির করছে নুরুল হাকিম গং। কল্পিত ঘটনা দেখিয়ে দায়েরকৃত মামলার মাধ্যমে আইন আদালকেও প্রশ্নের মুখোমুখি করবে তারা।
বিরোধীয় বিষয়ে কক্সবাজার জেলা জজ (২য়) আদালতে মামলা করি। যার অপর মামলা নং-৩৩২/২০১৮। মামলা শুনানি শেষে স্থিতাবস্থা (স্ট্যাটাস্কো) দেন বিচারক মাহমুদুল হাসান। ওই আদেশ এখনো বলবৎ আছে।
আদালতের আদেশ অমান্য করে ২০২০ সালের ১৭ মে আমাদের হাঁটাচলার মূল পথ বন্ধ করে দেয় ওবায়দুল হাকিম, নুরুল হাকিম, আবদুল হাকিম, লোকমানুল হাকিম, রশিদ আহমদ, হাফেজ আহমদ, আকবর আহমদ।
বিকল্প পথে হাঁটতে গেলে সেখানেও বাধাসহ বিভিন্নভাবে হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে। সর্বশেষ গত ১৪ জুলাই ভোরে আমাকে হামলা করতে তেড়ে আসে। স্থানীয়দের বাধার মুখে আক্রমণ করতে পারে নি।এখন আমার চাষাবাদের কাজেও নানাভাবে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে।
এসব বিষয়ে আমি রামু থানায় গত ১৮ মে সাধারণ ডায়েরি করি। যার নং-৬৮৬/২০২০ইং। তার আগে ১০ মার্চ আমার ছেলে ফারুক আজম সাধারণ ডায়েরি করে। যার নং-৫৩০/২০২০ ইং। তারও পূর্বে ২০১৮ সালের ২১ জুলাই থানায় লিখিত অভিযোগ করি। যে কারণে তারা বসতভিটি দখল করতে পারে নি।
সর্বশেষ আমাদের হয়রানি করতে বানোয়াট অভিযোগ তুলে গত ১৭ জুন রামু থানায় মামলা করেছে নুরুল হাকিম।
আমাদের দীর্ঘ দিনের বসতভিটার বিরোধকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করে আমাদেরকে সন্ত্রাসী সাজানোর নানামুখী ফন্দিফিকির করছে। নতুন কোন ইস্যু টেনে আরেকটি মামলার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
আমাদের পূর্বপুরুষ থেকে বসতভিটায় ভোগ দখলে আছি। যা এলাকার সবাই অবগত। কিন্তু আমাদের ভিটেমাটি নিজেদের দাবি করে নানাভাবে হয়রানি করে আসছে ওবাইদুল হাকিম গং।
এদিকে মামলার বাদি মো. নুরুল হাকিম বলেন, সেখানে তাদের বাড়িঘর নাই। রাতের অন্ধকারে উল্টো আমাদের ঘেরাবেড়া ভেঙে লুটপাট চালিয়েছে। আমরা ৫ ভাই কেউ বাড়িতে না থাকার সুবাদে আমাদের জমিজমা ও সম্পত্তির উপর তাদের কু-নজর পড়েছে। হয়তো তাদের কেউ ইন্ধন দিচ্ছে। বাস্তব ঘটনাটি তুলে ধরে আইনের আশ্রয় নিয়েছি।
তিনি বলেন, আসামিরা সম্পর্কে আমাদের আত্মীয়। মামলা দিয়ে হয়রানি উদ্দেশ্য নয়। সত্য মিথ্যা তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।
মামলার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রামু থানার ওসি মুহাম্মদ আনোয়ারুল হোসাইন বলেন, দীর্ঘদিনের জমিজমার বিরোধ নিয়ে মো. নুরুল হাকিম নামের এক ব্যক্তি মামলা করেছেন। তা তদন্ত করা হচ্ছে। প্রকৃত ঘটনার আলোকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।