সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৬:৪৪ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
বিভিন্ন পত্রিকায় মিথ্যাচারের জবাব দিলেন যুবদল নেতা জাবেদ ইকবাল লবণ আমদানির চক্রান্ত রুখতে হবে বিসিক কক্সবাজারে পাঁচদিনব্যাপী শিল্পোদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি’র ভর্তি ফি’তে ৫০ শতাংশ ছাড়সহ শতভাগ স্কলারশিপ প্রকাশিত সংবাদে আহমদ কবিরের প্রতিবাদ অবসরপ্রাপ্ত সেক্রেটারি রশিদ আহমদের চিংড়ি প্রজেক্ট জবরদখলের অভিযোগ কক্সবাজার শহরে তারেক বাহিনী সক্রিয়, সশস্ত্র মহড়া ভারুয়াখালীতে চিংড়ি প্রজেক্ট দখলে নিতে সশস্ত্র হামলায় আহত ২, লুটপাট ঈদগাঁও ইউনিয়ন বিএনপি’র আহবায়ক কমিটি স্বেচ্ছাসেবক দল ফতেখারকুল শাখার ৭ সদস্যের কমিটি অনুমোদন

প্রণোদনা প্যাকেজ কি, জানে না চকরিয়ার ৯০ শতাংশ ব্যবসায়ি

বার্তা কক্ষ / ৩১৬ বার পড়ছে
আপলোড : সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৬:৪৪ পূর্বাহ্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রণোদনা প্যাকেজ কি, জানে না চকরিয়ার ৯০ শতাংশ ব্যবসায়ি। উদ্যোক্তারাও সে বিষয়ে মোটেও অবগত নন। সে কারণে সঠিক সেবা প্রাপ্তি থেকে তারা বঞ্চিত হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত করোনাকালীন প্রণোদনা প্যাকেজ সংক্রান্ত বিষয়ে চকরিয়ার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
কক্সবাজার চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির উদ্যোগে সোমবার (১১ অক্টোবর) সকালে উপজেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী।
চেম্বার সভাপতি আবু মোরশেদ চৌধুরী খোকার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন, চকরিয়া উপজেলা ব্যবসা-বাণিজ্যের দিক দিয়ে অনেক অগ্রসর। কিন্তু যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে ব্যবসায়ীদের দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ দিতে হবে। এ বিষয়ে চেম্বার এবং আইএলও-এর সার্বিক সহযোগিতা দরকার।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সৈয়দ শামসুল তাবরিজের সভাপতিত্বে সভায় অভিমত প্রকাশ করে ব্যবসায়ীরা বলেন, প্রণোদনা প্যাকেজ কি, তারা ইতোপূর্বে অবগত ছিলেন না। অনুষ্ঠানে জেনেছে। ব্যাংকারদের এই বিষয়ে অসহযোগিতার কথা উল্লেখ করেন অনেক নারী উদ্যোক্তা।
বিশেষ অতিথি ছিলেন- চকরিয়া উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন হক জেসি চৌধুরী, চকরিয়া ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি রেজাউল হক, চেম্বারের পরিচালক এ আর এম শহিদুল ইসলাম রাসেল, ইসলামি ব্যাংকের কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, মিচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক কর্মকর্তা মোহাম্মদ তানভীর মোজাম্মেল, ডাচ বাংলা ব্যাংক কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবছার উদ্দীন, আনসার ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক কর্মকর্তা সাজেদুর রহমান, রূপালী ব্যাংক কর্মকর্তা এ.এফ.এম নাজমুল হক, কৃষি ব্যাংক কর্মকর্তা এ.কে.এম আজম উদ্দীন, পূবালী ব্যাংক কর্মকর্তা আবদুল খালেক, নারী উদ্যোক্তা নুরি জান্নাত জিনিয়া। স্থানীয় ব্যাংক কর্মকর্তাগণ এবং বিভিন্ন শ্রেণির ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ তাদের মতামত প্রদান করেন।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, ব্যাংকাররা করোনা প্যাকেজ সংক্রান্ত কোন তথ্য দেন না। যদিওবা প্রতিটি ব্যাংকের সামনে দৃশ্যমান ব্যানার ঝুলিয়ে জনগণকে অবহিত করার নির্দেশ আছে। কিন্তু এ ধরণের কোনো উদ্যোগ তারা লক্ষ্য করেনি।
সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ শামসুল তাবরিজ বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে উন্নীত হতে গেলে ক্ষুদ্র মাঝারি এবং নারী উদ্যোক্তাদের অর্থনীতির মূল স্রোতধারার সাথে সম্পৃক্ত করা প্রয়োজন। এই ক্ষেত্রে সার্বিক সহযোগিতায় এবং আন্তরিক গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করতে হবে।
আগামীতে যে সমস্ত ব্যাংক ক্ষুদ্র ও মাঝারি এবং নারী উদ্যোক্তাদের সহযোগিতা করবে না উপজেলা প্রশাসনও তাদের সহযোগিতা করবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন ইউএনও সৈয়দ শামসুল তাবরিজ।
সভায় চেম্বার অফ কমার্সের সভাপতি আবু মোরশেদ চৌধুরী বলেন, আগামীতে কক্সবাজার যেই সমস্ত অর্থনৈতিক কর্মযজ্ঞ শুরু হবে তার সুযোগ গ্রহণের জন্য এখন থেকে আমাদের ব্যবসায়ী মহলকে প্রস্তুতি নিতে হবে।
স্থানীয় নারী উদ্যোক্তা তানিমা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তিনি অনলাইন ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত। ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য কয়েকটি ব্যাংকের কাছে যোগিতা চাওয়ার পরও কোন ধরনের সহযোগিতা পান নি।