সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৫:৩৯ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
বিভিন্ন পত্রিকায় মিথ্যাচারের জবাব দিলেন যুবদল নেতা জাবেদ ইকবাল লবণ আমদানির চক্রান্ত রুখতে হবে বিসিক কক্সবাজারে পাঁচদিনব্যাপী শিল্পোদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি’র ভর্তি ফি’তে ৫০ শতাংশ ছাড়সহ শতভাগ স্কলারশিপ প্রকাশিত সংবাদে আহমদ কবিরের প্রতিবাদ অবসরপ্রাপ্ত সেক্রেটারি রশিদ আহমদের চিংড়ি প্রজেক্ট জবরদখলের অভিযোগ কক্সবাজার শহরে তারেক বাহিনী সক্রিয়, সশস্ত্র মহড়া ভারুয়াখালীতে চিংড়ি প্রজেক্ট দখলে নিতে সশস্ত্র হামলায় আহত ২, লুটপাট ঈদগাঁও ইউনিয়ন বিএনপি’র আহবায়ক কমিটি স্বেচ্ছাসেবক দল ফতেখারকুল শাখার ৭ সদস্যের কমিটি অনুমোদন

ভারতীয় বাহিনীর হাতে পাঁচ জন নিহতের পর কাশ্মিরে বিক্ষোভ

বার্তা কক্ষ / ৩৫৩ বার পড়ছে
আপলোড : সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৫:৩৯ পূর্বাহ্ন

কক্সবাজার টাইমস২৪ ডেস্ক:
কাশ্মিরে রবিবার ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর যৌথ অভিযানে পাঁচ জন নিহতের ঘটনায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা। ওই হত্যাকাণ্ড নিয়ে বার্তা সংস্থা এপি-র সঙ্গে কথা বলেছেন ভারতীয় প্রতিরক্ষা বিভাগের মুখপাত্র কর্নেল রাজেশ কালিয়া। তিনি বলেন, কিছু বিদ্রোহীর লুকিয়ে থাকার খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ দক্ষিণ সোপিয়ানের একটি গ্রাম ঘিরে রাখে। এ সময় বন্দুকযুদ্ধে পাঁচ বিদ্রোহী নিহত হয়। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সেনাবাহিনী বিস্ফোরক দিয়ে অন্তত একটি ঘর গুঁড়িয়ে দিয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, রবিবারের ঘটনায় নিহতদের মধ্যে হিজবুল মুজাহিদিন কমান্ডার ফারুক আসাদ নালি-ও রয়েছেন। এর আগে গত মাসেও জম্মু-কাশ্মিরের কুলগামে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই বিদ্রোহীকে হত্যা করে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী।

রবিবারের ঘটনার পর স্থানীয় শত শত মানুষ ঘটনাস্থল অভিমুখে যাত্রা করলে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে তাদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় স্থানীয়রা কাশ্মিরে ভারতীয় দখলদারিত্বের অবসানের দাবিতে স্লোগান দেয়। পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনীর সদস্যদের দিকে পাথর ছুড়ে মারে অনেকে। নিরাপত্তা বাহিনীও বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ এবং শটগানের গুলিবর্ষণ করে। তবে এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে কোনও প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি।

গত কয়েক মাস ধরে কাশ্মিরে অভিযান জোরদার করছে ভারতীয় বাহিনী।

কাশ্মির উপত্যকায় ২০২০ সালে এ পর্যন্ত অন্তত ৭৩ বিদ্রোহীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে ভারতীয় পুলিশ। শুধু গত এপ্রিলেই সেখানে দুই ডজনেরও বেশি বিদ্রোহী এবং প্রায় ডজনখানেক ভারতীয় সেনা নিহত হয়।

২০১৯ সালের আগস্টে কাশ্মিরের স্বায়ত্ত্বশাসন ও রাজ্যের মর্যাদা বাতিল করে অঞ্চলটিকে দুই টুকরো করে ফেলে মোদি সরকার। ওই ঘটনার পর এপ্রিলেই সেখানে সবচেয়ে বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটে।

এপ্রিলের পর থেকে এ পর্যন্ত সেখানে অর্ধশতাধিক বিদ্রোহীকে হত্যা করা হয়েছে। একই সময়ে নিহত হয়েছে ভারতীয় বাহিনীর ২৩ সদস্য।

কাশ্মিরে ভারতীয় দখলদারিত্বের অবসানের দাবিতে ১৯৮৯ সাল থেকেই লড়াই করে আসছে স্থানীয় বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো। তবে ভারত বরাবরই কঠোর হাতে এ আন্দোলন দমন করে আসছে। ১৯৮৯ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত সেখানে প্রায় ৭০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। নিহতদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক। সূত্র: আল জাজিরা, টিআরটি ওয়ার্ল্ড।