শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৪২ অপরাহ্ন

শিরোনাম :
লবণ আমদানির চক্রান্ত রুখতে হবে বিসিক কক্সবাজারে পাঁচদিনব্যাপী শিল্পোদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি’র ভর্তি ফি’তে ৫০ শতাংশ ছাড়সহ শতভাগ স্কলারশিপ প্রকাশিত সংবাদে আহমদ কবিরের প্রতিবাদ অবসরপ্রাপ্ত সেক্রেটারি রশিদ আহমদের চিংড়ি প্রজেক্ট জবরদখলের অভিযোগ কক্সবাজার শহরে তারেক বাহিনী সক্রিয়, সশস্ত্র মহড়া ভারুয়াখালীতে চিংড়ি প্রজেক্ট দখলে নিতে সশস্ত্র হামলায় আহত ২, লুটপাট ঈদগাঁও ইউনিয়ন বিএনপি’র আহবায়ক কমিটি স্বেচ্ছাসেবক দল ফতেখারকুল শাখার ৭ সদস্যের কমিটি অনুমোদন কক্সবাজার জেলা জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক এড. মোহাম্মদ তারেক

খুনিয়া পালংয়ের আমিন ড্রাইভার হত্যা মামলার আসামিরা বেপরোয়া, ধরা পড়েনি একজনও

বার্তা কক্ষ / ৩০৮ বার পড়ছে
আপলোড : শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৪২ অপরাহ্ন

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কক্সবাজারের রামু উপজেলার ধোয়া পালং রাবেতা এলাকায় বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গাড়ি চালক আব্দুল আমিনকে কুপিয়ে নির্মমভাবে খুনের আসামিরা বেপরোয়া হয়ে গেছে। ঘটনার এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেছে। গ্রেফতার হয়নি একজনও। হত্যা মামলার বাদী কামাল হোসেনকে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে আসামিরা। ঘটনার পর থেকে নিহতের পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলে জানিয়েছে।
গত ৯ আগস্ট দুপুর সাড়ে তিনটার দিকে বসত বাড়ির সীমানা বিরোধের জের ধরে আবদুল আমিনকে ব্যাপক মারধর ও কুপাঘাত করে প্রতিপক্ষরা। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৩ আগস্ট চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান।
ঘটনার পরের দিন (১০ আগস্ট) সুস্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন নিহতের ছোট ভাই কামাল হোসেন। যার থানার মামলা নং-১৭/৪৩৮।
আসামিরা হলেন, খুনিয়া পালং ৬ নং ওয়ার্ডের ধোয়া পালং রাবেতা পাড়ার আব্দুল বারির ছেলে নুরুল হক (২৫), আব্দুছ সবুরের ছেলে শাহজাহান (৩৯), আব্দুল জব্বারের ছেলে আমির হামজা ড্রাইভার (৩৮) ও সুলতান আহাম্মদের ছেলে আব্দুল বারী (৫৫)। অজ্ঞাতনামা আসামি রয়েছে আরও তিনজন।
নিহত আবদুল আমিন একই এলাকার মৃত ইবনে আমিনের ছেলে। পেশাগত সে পিকআপ গাড়ী চালক এবং ৫ মেয়ে ও এক ছেলে সন্তানের জনক। একমাত্র উপার্জনকারী আবদুল আমিনকে হত্যার পর পরিবারে চরম অসহায়ত্ব দেখা দিয়েছে। অভাব-অনটনের দিন কাটছে বলে জানান স্ত্রী নুর ফাতেমা বেগম।
মামলার বাদী কামাল হোসেন জানান, এক সপ্তাহ পার হলেও হত্যা মামলার একজন আসামিও গ্রেফতার হয়নি। আমির হামজাসহ অন্যান্য আসামিরা বিভিন্ন মাধ্যমে মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছে। আয়-রোজগার না থাকায় নিহতের স্ত্রী ও তার ছয় সন্তানের করুন দিন যাচ্ছে। দ্রুত সময়ে আসামিদের গ্রেফতারের দাবি কামাল হোসেনের।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিমছড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সাইফুল ইসলাম চৌধুরী জানান, এক আসামির লাস্ট লোকেশন কক্সবাজার, আরেকজন চট্টগ্রাম দেখা যায়। এরপর থেকে দুইজনই সিম ও ডিভাইস সম্পন্ন বন্ধ রাখে। অবস্থান নিশ্চিত না হওয়ায় কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
আসামিদের গ্রেফতার করতে পুলিশের আন্তরিকতা ও সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান রামু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আনোয়ারুল হোসাইন।