বার্তা পরিবেশক
জেলার বহুল প্রচারিত দৈনিক কক্সবাজার, দৈনিক দৈনন্দিনসহ বেশ কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশিত “কক্সবাজার শহরের দুই সহোদরের ত্রাসের রাজত্ব, ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে ত্রাস সৃষ্টি” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
সত্যকে আড়াল করে একটি মনগড়া বানোয়াট ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে বাঁকখালী নদী দখলবাজদের প্রতিষ্ঠিত করার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে।
‘আমরা দুই সহোদর কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ করি” মর্মে অভিযোগ সম্পূর্ণ বানোয়াট ও হাস্যকর।
প্রকৃতপক্ষে আমাদের পিতা এই শহরের একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। আমাদের পারিবারিক সুনামকে বিতর্কিত করতে একটি কুচক্রীমহল মিথ্যা তথ্য দিয়ে এমন গুজবীয় সংবাদ প্রকাশ করেছে।
উক্ত সংবাদে আমাদের দুই ভাইয়ের নেতৃত্বে কিশোর গ্যাং থেকে শুরু করে সেসব অপরাধের বর্ণনা তুলে ধরা হয়েছে তার ১% যদি সত্যতা থাকত তাহলে আমাদের বিরুদ্ধে ডজন ডজন মামলা থাকত।
আমরা চ্যালেঞ্জ করে বলতে চাই, আমাদের দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে যদি কোন চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মাদক ব্যবসাসহ সমাজ বিরোধী কোন কর্মকাণ্ডে জড়িত আছি প্রমান করতে পারলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যা সিদ্ধান্ত নিবে তা মাথা পেতে নিব।
প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে, বাঁকখালী নদীর জেগে উঠা চরের জমিতে সরকারি বেসরকারি অনেক কর্মকর্তা কর্মচারীদের মতো আমরাও কিছু অংশ জমি ক্রয় করি। উক্ত জমির মালিকানা দাবিদারদের কাছ থেকে যা লিখিত কাগজপত্র রয়েছে।
কিন্তু কিছু দিন আগে একটি ভূমিদস্যু চক্র রাতের আধারে প্যারাবন কেটে রাতারাতি মাটি ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণ করাকে কেন্দ্র করে পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক ২/১ মামলা দায়ের করে। এতে সকল দখলদার জমির মালিকদের আসামিকরা হয়। কিন্তু আমার ক্রয়কৃত জমিতে কোন প্যারাবন, এমনকি কোন স্থাপনা না থাকার পরও মামলার আসামি করে। যা খুবই দুঃখজনক।
আমরা আশাবাদী সঠিক তদন্ত হলে সত্যটি প্রমাণিত হবে।
এদিকে পরিবেশ অধিদপ্তরের বেশ কয়েকটি মামলা চলমান থাকার পরও একটি অশুভ চক্র ভূমিদস্যুরা রাতের আধারে পুনরায় প্যারাবন কেটে জমি দখলে মেতে উঠেছে।
যাদের কারণে আমরা বার বার মিথ্যা মামলার আসামি হয়েছি। ইতোমধ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের লোকজন বার বার সতর্ক করে বলেছে প্যারাবন দখল হলে কেউ গাছ কাটলে সকল দখলদারদের বিরুদ্ধে পুনরায় মামলা হবে।
বিষয়টি আমাদের ভয়ের কারণ হয়ে গেছে। কিন্তু গত সপ্তাহ দুই সপ্তাহ ধরে শাহাদাত হোসেন প্রকাশ শাহাদাত মাস্টার নামের এক ব্যাক্তি ঈদগাহ, চকরিয়া থেকে শ্রমিক এনে রাতের আধারে প্যারাবন কেটে ঘেরা দিয়ে ঘিরে ফেলেছে বিশাল প্যারাবনসহ খাসজমি, যার ভিডিও আমাদের নিকট সংরক্ষিত আছে।
প্যারাবন কাটবে একজন, আসামি হবে অন্যজন- এই ভয়ে মূলত আমরা বাধা দিয়েছি।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে শাহাদাত মাস্টার ও তার সিন্ডিকেট সদস্যরা।
বিষয়টিকে ভিন্নভাবে প্রভাবিত করতে মূলত সংবাদটি প্রচার করা হয়েছে। সংবাদে যাদের নাম জড়ানো হয়েছে মূলত শাহাদাত মাস্টারের সাথে কোন পূর্বশত্রুতার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে ।
আমি বা আমরা উক্ত সংবাদের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। একই সাথে উক্ত সংবাদে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সচেতন মহলকে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
একই সাথে প্রকৃত ঘটনা অনুসন্ধানের জন্য সাংবাদিকসহ প্রশাসনের প্রতি আহবান করছি।
নিবেদক
তাইসাদ সাব্বির
তায়েফ আহমেদ
Leave a Reply