বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:১৭ পূর্বাহ্ন
আতিকুর রহমান মানিক:
অনেকদিন আগের কথা। সমুদ্র উপকূলের এক রাজ্যের রাজা একমাসের জন্য তীর্থযাত্রা করবেন। তো রাজা সিভিল সার্জনকে ডেকে বললেন-
আগামী একমাস আমার রাজ্যে রোগবালাই কেমন হবে ?
সিভিল সার্জন বললো জাঁহাপনা, কোন রোগবালাই হবেনা, আপনি নিশ্চিতমনে যেতে পারেন।
কিন্তু একথা শুনে রাজকীয় গো শালার রাখাল বলল, জাঁহাপনা আগামী একমাস দেশে কলেরা ও মহামারীর প্রকোপ চলবে।
রাজা রেগে বললেন, রাখালের বাচ্চা রাখাল তুই কি জানিস?
আমাকে মুর্খ পেয়েছিস ?
আমি সব জেনেই তীর্থে যাচ্ছি।
এরপর রাজা তীর্থে চলে গেলেন।
এরপরদিন থেকেই রাজ্যে কলেরা শুরু হল ও প্রতিদিন প্রজারা কলেরায় মরতে লাগল।
এদিকে তীর্থশেষে একমাস পর রাজা এলেন।
ততদিনে রাজ্যের অর্ধেক প্রজা কলেরায় শেষ।
পরদিন রাজদরবারে বসেই রাজা সিভিল সার্জনকে বরখাস্ত করলেন। তারপর ঐ রাখালকে ধরে এনে সিভিল সার্জন বানিয়ে দিলেন ! বেচারা রাখালতো পড়লাে মহা ফ্যাসাদে !
কারন, সে তাে স্বাস্হ্য ব্যবস্হাপনার কিছুই জানে না!
অবশেষে রাজ দরবারে গিয়ে রাখাল কেঁদে বল্লো-
:মহারাজ আমাকে যেতে দিন!
আমি আসলে ডাক্তারীর কিছুই জানি না।
রাজা বল্লো –
:তাহলে ঐ দিন আমার সিভিল সার্জনের চেয়েও সঠিক খবর তুই কি করে দিলি ?
রাখাল উত্তর দিল,
:মহারাজ সেখানে আমার কোন কৃতিত্ব ছিল না ! সব কৃতিত্ব গো শালার বড় বলদটার !
কারো গায়ে কলেরা জ্বর আসার একদিন আগেই বলদটা ঘনঘন মুতে !
এর থেকে আমি বুঝতে পারি একটু পর কলেরা হবে !
তারপর রাজা রাখালকে ছেড়ে দিয়ে তার বলদকে ধরে এনে সিভিল সার্জন বানিয়ে দিলেন !
সেই থেকেই সিভিল সার্জন পদে বলদ নিয়োগ দেওয়ার রীতি চালু হয়।
এসব আস্ত বলদরা জেলার স্বাস্থ্য ব্যবস্হাপনার কিছু না জেনেই বলে, “স্যার সব ঠিক আছে, আর কিছু লাগবেনা !”
আর এরপর প্রয়োজনীয় স্বাস্হ্য সেবা না পেয়ে বেঘোরে মারা যায় জনগণ।
সাম্প্রতিক সময়ের কক্সবাজার এর বাস্তব উদাহরণ।