শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৭ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক
ড্রাইভার নিয়োগে ৩০ হাজার টাকা, তেলের পাম্প থেকে ঢুকে কমিশনের টাকা। কাউকে চাকুরি দিলে পান নির্ধারিত কমিশন। ম্যাজিক কার ভাড়া থেকেও প্রতি মাসে হাতিয়া নেন মোটা অংক।
এসব অভিযোগ মহেশখালী মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পে কর্মরত ফোস্কো কোম্পানির এডমিন জেনারেল এফআইআর মিজানের বিরুদ্ধে। তার এসব অনিয়ম, দুর্নীতির আরেক সহযোগির নাম ড্রাইভার মানিক। দুইজন মিলে শক্তিশালী সিন্ডিকেট। নানা কায়দায় হাতিয়ে নিচ্ছে টাকা। গড়ছে টাকার পাহাড়।
ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মিজান ও মানিক সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি অনেক চালক, চাকুরিজীবী। চাকুরি হারানোর ভয়ে প্রতিবাদ করে না কেউ। নিরবে দিয়ে যাচ্ছে কমিশন।
নাম প্রকাশ না করার অনুরোধে এক চালক জানিয়েছেন, ড্রাইভার নিয়োগ অথবা কাউকে চাকুরি দিলে ৩০ হাজার টাকা নেয় মিজান। একটা ম্যাজিক কারের মাসিক ভাড়া ৪০ হাজার টাকা। কোম্পানি থেকে আদায় করে ৭০ হাজার। মাঝখানে নিজের পকেটে যাচ্ছে ৩০ হাজার টাকা। তেলের পাম্প থেকে কমিশন খায় প্রতি লিটারে ৩ টাকা। তিন বছর ধরে এভাবে কমিশন নিয়ে যাচ্ছে।
সাধারণ শ্রমিক মিজান আজকে লক্ষ টাকার মালিক।
দুর্নীতির শেষ নাই মিজানের। তার অপকর্মের সার্বক্ষণিক সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করছে ড্রাইভার মানিক।
ড্রাইভারি না করেও মিজানের হাত ধরে আজকে সে কয়েক লক্ষ টাকার মালিক। ফোস্কো কোম্পানিকে শেষ করে দিচ্ছে মিজান ও মানিক।
মাতার বাড়িতে কর্মরত এক ব্যক্তি জানান, প্রকল্পে ৩৫ জন মতো চালক রয়েছে। সেখানে মিজানের অধীনে নিয়োগ হয়েছে ২৫ জন। যাদের সবার নিকট থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
তেলের লিটার ১৩৫ টাকা। ২ টাকা কমিশন মিজানের। পিকআপ, ম্যাজিক কার রয়েছে ১০টি। প্রতিটি গাড়ি বাবদ ৩০ হাজার করে দিতে হয়।
অভিযুক্ত মিজানের বক্তব্য জানতে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে কল দিলে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
তিনি বলেন, ড্রাইভার নিয়োগের পরেই আমি জয়েন করেছি। টাকা কিভাবে নেব? তেলের পাম্প থেকে কমিশন নেওয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। মানিক গাড়ি চালক। সে বিশ্বস্ত বিধায় তাকে বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করার কথা সঠিক।