নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
রামুর গর্জানিয়া থিমছড়ি এলাকায় আদালতের নিষেধাজ্ঞ অমান্য করে পুলিশের উপস্থিতিতে পাকা ধান কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে বাধা দিতে গিয়ে প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হয়েছেন খালিমা বেগম, মোহাম্মদ কাশেম নামের দুইজন। তারা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বুধবার (১ নভেম্বর) দিবাগত রাতে ঘটনাটি ঘটেছে।
ওই সময় পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত থাকলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। ধান কেটে নেওয়ার পর উল্টো হুমকি ধমকির শিকার ভুক্তভোগীরা।
জিয়াবুল করিম জানান, বুধবার দিবাগত রাত সোয়া চারটার দিকে তাদের বিরোধীয় জমি থেকে পাকা ধান কাটতে যায় শফিউল আলম নামের এক ব্যক্তির নেতৃত্বে সশস্ত্র দখলবাজ ও সন্ত্রাসীরা। তাদের মধ্যে রয়েছে, রহিম উল্লাহ, মিজানুর রহমান, নুরুল হাকিম, নুরুল ইসলাম বাইগ্গা, আব্দুল হাকিম, আব্দুল আজিজ, আব্দুস শুকুরসহ অন্তত ৩০ জনের একটি দল। সেখানে সশস্ত্র ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীও ছিল।
আদালতে নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ধান কাটতে গেলে তাদের বারণ করেন জিয়াবুল করিম। তখন প্রতিপক্ষের দায়ের কোপে আহত হয়েছেন জিয়াবুল করিমের বোন খালিমা বেগম, মোহাম্মদ কাশেম। তার নিকট থেকে ব্যবহারের মোবাইল, গলায় থাকা স্বর্ণালংর ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে।
এ সময় পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত থাকলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ করেন জিয়াবুল করিম। প্রতিকার চাইলে উল্টো মামলা করতে পরামর্শ দেন পুলিশ সদস্যরা।
ভুক্তভোগী জিয়াবুল করিমের বড় বোন জুলেখা খানম বলেন, সম্পূর্ন পরিকল্পিতভাবে তাদের পাকা ধান কাটতে যায় প্রতিপক্ষের লোকজন। তা অবগত হয়ে থানায় সরাসরি উপস্থিত হই। ঘটনা খুলে বলি। আদালতের নবষেধাজ্ঞা দেখাই। তাতে কোন ধরণের কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি পুলিশ। কালক্ষেপণের সুযোগে পাকা ধান কেটে নেয় চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা।
জুলেখা খানমের অভিযোগ, দ্রুত ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করলে উল্টো আদালতে নিষেধাজ্ঞার কোন মূল্য নাই বলে জানান পুলিশের এক সদস্য।
অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রামু থানার ওসি আবু তাহের দেওয়ান বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে ফাঁড়ির আইসিকে বলে দেওয়া হয়েছে।
তবে, পুলিশের সামনে ধান কেটে নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন ওসি। তিনি বলেন, পুলিশ যাওয়ার পর অভিযুক্তরা পালিয়ে গেছে।
Leave a Reply