নিজস্ব প্রতিবেদক:
দীর্ঘ ৫৫ বছর পর প্রথম বারের মতো অনুষ্ঠিত হলো পেকুয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইসলামিয়া কামিল মাদরাসার গভর্নিং বডির নির্বাচন।

২ ডিসেম্বর মাদরাসা প্রাঙ্গণে সকাল ১০টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়। বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোট প্রদান করে ভোটারগণ। গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা দেন কমিশন।

সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে ‘অভিভাবক প্রতিনিধি’ নির্বাচিত হয়েছেন ৩ জন। তারা হলেন-মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, নুর মোহাম্মদ ও মোহাম্মদ নুরুল হাকিম।

উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত এই ভোটযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন ৬ প্রার্থী। মোট ১,২৪৩ ভোটারের মধ্যে ভোট পড়েছে ৫৩৭ টি।

এতে প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্বে ছিলেন উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আসাদুজ্জামান।

এছাড়া সরকারী বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তাগণ সহকারী প্রিজািইডিং ও পোলিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

নির্বাচন পরিদর্শন করেছেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুম্পা ঘোষসহ প্রশাসনিক ও স্থানীয় মান্যগন্য ব্যক্তিগণ। মহিলা ও পুরুষ অভিভাবকদের স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ও সুন্দর ভোট পদ্ধতি দেখে তারা সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন।

এর আগে প্রতিষ্ঠাতা পদে এডভোকেট হেলাল উদ্দিন, দাতা সদস্যতে আবুল হোসেন শামা, শিক্ষক প্রতিনিধি হিসেবে সহকারী অধ্যাপক সেলিনা পারভিন, সহকারী মাওলানা নুর মুহাম্মদ ও সহকারী শিক্ষক মঈনুদ্দিন বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। এই ৩ পদের প্রিসাইডিং অফিসার ছিলেন অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ আক্কাস।

তিনি বলেন, আগামী ৩ বছরের জন্য মাদরাসা গভর্নিং বডির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সবাই সুশৃঙ্খল ও আন্তরিকতার সঙ্গে ভোট দিয়েছে। অবাধ, সুন্দর ও সুষ্ঠু পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি মাদরাসার শিক্ষক ও অভিভাবকগণ দায়িত্ব পালন করেন। সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ আক্কাস।

১৯৬৮ সালে ফাঁসিয়াখালী ইসলামিয়া কামিল মাদরাসা প্রতিষ্ঠিত হয়। এই প্রথম বারের মতো পরিচালনা কমিটির নির্বাচন হলো। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নিতে প্রতিনিধি নির্বাচনে অংশ নিতে পেরে বেশ উৎসাহিত ও গৌরববোধ করেছেন অভিভাবকবৃন্দ। আগামীতেও এই ধারা অব্যাহত রাখতে চায় তারা।