বার্তা পরিবেশক:
রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন পেশকার পাড়ার ফরিদুল আলম।
“সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ উপেক্ষিত, বাঁকখালী জমির দখল আঁকড়ে রেখেছে পেশকার পাড়ার ফরিদ” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদ সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ভিত্তিহীন দাবি করেছেন তিনি।
ফরিদুল আলম বলেন, সুপ্রিম কোর্টের সিএমপি নং-৬৬৩/২৩ মামলামূলে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার আদেশ বলবৎ রয়েছে। কোন পক্ষ জবরদখল কিংবা হস্তক্ষেপ করেনি। ৮/১০টি ঘর নির্মাণের অভিযোগ সত্য নয়। রাতের আঁধারে ময়লা ফেলে পুরনো নালা ও জমি ভরাট করা হয় নি।
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির বাসিন্দা পেশকার আব্দুল বারীর নাতি নুরুল আনোয়ার চৌধুরী গং এর দায়েরকৃত নিম্ন আদালতের ৪২/১২ নং মূল মামলাভুক্ত ১৪ একর ৪০ শতক জায়গার দেখভালের দায়িত্ব সম্পূর্ণভাবে আমাকে প্রদান করেন। এই মামলায় দুই তরফা সূত্রে সরকারের বিরুদ্ধে নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা আদেশ প্রচার রয়েছে।
মামলার আদেশে সরকারকে বলা হয়েছে, মূল মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বিবাদীগণ (সরকার) যাতে নালিশী জমি কাউকে বন্দোবস্তি দিতে না পারে, কিংবা তথায় গৃহ নির্মাণ করতে না পারে, কিংবা তথায় গাছের চারা রোপন করতে না পারে, কিংবা নালিশী জমির রূপ পরিবর্তন করতে না পারে, সেজন্য বিবাদীগণকে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দ্বারা বারিত করা হলো।
ফরিদুল আলম বলেন, সরকারের পক্ষে ২০১৪ সালে দায়েরকৃত আপিল মামলা নং এফএমএ ১৯৬/২০১৪ শুনানি হয় ১১/০৭/২০২৩ ইং তারিখে। এ সময় শুনানি শেষে সরকারের পক্ষের দরখাস্তটি খারিজ হয়ে যায়। নিম্ন আদালতের আদেশ বহাল রাখেন। এই আদেশের বিরুদ্ধে সরকারের পক্ষ থেকে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টে আবার আপিল করা হয়। যার নং-৬৬৩/২৩।
এই মামলার আদেশে বলা হয়েছে, পক্ষগণকে বিরোধীয় সম্পত্তিতে দখল (পজিশন) বিষয়ে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেওয়া হলো। ইতোমধ্যে, আবেদনকারী (সরকার)কে নিয়মিত লীভ পিটিশন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হলো।
সুপ্রিম কোর্টের আদেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা দাবি করে ফরিদুল আলম বলেন, সিভিল আপিল মামলা নং-৩৪৪/২০১৯ এর আদেশ হয় ১২/০৭/২০২৩ ইং তারিখে। এতে উভয় পক্ষকে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার আদেশ দেওয়া হয়েছে। সেই আদেশ পুরোপুরি প্রতিপালন হচ্ছে। আমি কোন ঘেরাবেড়া দিচ্ছি না। স্থাপনা নির্মাণ করিনি। এরপরও আমার বিরুদ্ধে যে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট এবং ভিত্তিহীন। স্থানীয় একজন চিহ্নিত দখলবাজ এই সংবাদ করিয়েছে। যার বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন আদালতে মামলা চলমান।
বিআইডব্লিউটিএ সংলগ্ন জমিতে রাতের আঁধারে মাটি ভরা ও ঘেরাবেড়া দিচ্ছে দখলবাজচক্র। এ বিষয়ে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা খুবই দুঃখজনক। পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে সরেজমিন তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করছি।
প্রতিবাদকারী
ফরিদুল আলম
পেশকার পাড়া, কক্সবাজার পৌরসভা।
Leave a Reply