গত ১৭ মার্চ দৈনিক আজকের দেশ বিদেশ পত্রিকায় “এনআইডি ও পাসপোর্ট সিন্ডিকেটের নেতা রোহিঙ্গা আবদুর রহমানের কারবার চলছেই” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সংবাদে যেসব তথ্য-বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। আমার ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক প্রতিপক্ষদের বিভ্রান্তিকর তথ্যের ভিত্তিতে সংবাদটি প্রকাশ করা হয়েছে।
পাসপোর্ট করতে বিজ্ঞ আদালতের ভুয়া খালাস আদেশ তৈরীর অভিযোগ সত্য নয়। আমি সাধারণ মানুষ। আমার কোন ধরনের সিন্ডিকেট নাই।
মূলকথা হচ্ছে, পাহাড়তলী ইসলামপুর নতুন বাজারে আমার একটি ছোট্ট দোকান আছে। সেখানে বিকাশের লেনদেন হয়। যে কারণে স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ আমার দোকানে বিকাশের লেনদেন করে। সংবাদে অভিযোগকারী মোমেনা নামক মহিলার বাড়ি আমার দোকানের পার্শ্ববর্তী এলাকায়। সেও মাঝেমধ্যে বিকাশে লেনদেন করে। একদিন ছেলে ফয়সালের জন্য একটি ভিসা ব্যবস্থা করে দিতে বলে মোমেনা। তার কথার প্রেক্ষিতে সৌদিপ্রবাসী আমার ভাই মোহাম্মদ ওসমানের সঙ্গে কথা বলি। ভিসার দরদাম সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা ঠিক করা হয়। প্রাথমিকভাবে ৬০ হাজার টাকা পাঠানোর মৌখিক চুক্তি হয়। সেই কথামতো দুই দফায় ৬০ হাজার টাকা টাকা আমি গ্রহণ করি। এ সময় গোপনে ভিডিও ধারণ করে মোমেনার ছেলে। আমার সঙ্গে পাসপোর্ট করে দেওয়ার কোন চুক্তি বা সম্পর্ক নাই। এরকম কোন লেনদেনও হয়নি। ভিসা বাবদ টাকা গ্রহণের ভিডিওটি বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর।
সংবাদে আমাকে “রোহিঙ্গা” উল্লেখ করে মানহানি করা হয়েছে। আমি বাংলাদেশী প্রকৃত নাগরিক হিসাবে বৈধ আইডি কার্ডসহ সমস্ত ডকুমেন্ট রয়েছে। প্রকৃত নাগরিকত্ব সংক্রান্ত যাবতীয় কাগজপত্র যাচাই বাছাই করেই তো আমাকে আইডি কার্ড প্রদান করেছে নির্বাচন কমিশন। এরপরেও আমাকে “রোহিঙ্গা” বলা মানে নির্বাচন কমিশনের কর্মকাণ্ডকে প্রশ্নবিদ্ধ করা।
জাতির বিবেক সাংবাদিকদের অনুরোধ করবো, সংবাদ করার আগে যেকোনো তথ্য যাচাই-বাছাই করবেন। মিথ্যা তথ্য দিয়ে কাউকে বিভ্রান্ত করা উচিত নয়। আমি সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ রইলো।
প্রতিবাদকারী
আবদুর রহমান
পিতা- মৃত মোহাম্মদ সিদ্দিক
দক্ষিণ পাহাড়তলী, ইসলামপুর
৭ নং ওয়ার্ড, কক্সবাজার পৌরসভা।
Leave a Reply