শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:০২ পূর্বাহ্ন
কক্সবাজার টাইমস২৪:
চিংড়ি প্রকল্পের ‘বর্গা বাবদ’ পাওনা টাকা চাওয়ায় বৃদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল আলমকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার নাম মো. আনছুর আলম।
বুধবার বেলা ১১টার দিকে মহেশখালী থানার ষাইটমারা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। দুপুরে পুলিশ সদরদপ্তর থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে ৩ জুন এই ঘটনায় জড়িত আরো তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ।
জানা যায়, কক্সবাজারের চকরিয়ার ঢেমুশিয়া ইউনিয়নে চিংড়ি প্রকল্পের বর্গা বাবদ পাওনা টাকা চাওয়ায় নুরুল আলম নামের এক বৃদ্ধকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন করে এক ইউপি সদস্যের লোকজন। তারা গ্রামবাসীর সামনে প্রকাশ্যে ওই বৃদ্ধকে মারধর ও পরিধানের কাপড় খুলে ছিঁড়ে ফেলে। ওই বৃদ্ধকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
বুধবার পুলিশ সদরদপ্তর জানায়, চকোরিয়ার এক বৃদ্ধকে নির্যাতনের প্রধান অভিযুক্ত প্রধান আসামি আনছুর আলমকে গ্রেপ্তার করেছে কক্সবাজার জেলা পুলিশ। বৃদ্ধকে নির্যাতনের ঘটনাটি নজরে আসা মাত্রই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তাৎক্ষণিক অভিযানে নামে পুলিশ। এ ঘটনায় ভিকটিমের পক্ষ থেকে মামলা নেওয়ার পাশাপাশি রাতভর অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযানে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও প্রধান অভিযুক্ত আনছুর আলম পলাতক ছিলেন। কিন্তু তাকে ধরতে পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত ছিল। আজ বেলা ১১টার দিকে মহেশখালীর ষাইটমারা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এদিকে নির্যাতিত নুরুল আলমের ছেলে আশরাফ হোছাইন ঘটনার পরদিন গণমাধ্যমে জানান, তার বাবাসহ একই এলাকার আরও দুই ব্যক্তি ওই এলাকার ইউপি সদস্যা আরজ খাতুনকে ছয় বছরের জন্য একটি চিংড়ি প্রকল্প বর্গা দিয়েছিলেন। কিন্তু আরজ খাতুন প্রতারণা করে নুরুল আলমকে চিংড়ি প্রকল্পের বর্গা বাবদ টাকা পরিশোধ করেননি। ইউপি সদস্য আরজ খাতুনের কাছ থেকে চিংড়ি প্রকল্পের বর্গা বাবদ এক লাখ ৮২ হাজার টাকা পাওনা থেকে যায়। ওই পাওনা টাকা আজ দিবে কাল দিবে বলে না দিয়ে প্রতারণা করে আসছে। এ নিয়ে অনেক সালিশ-বিচারও হয়েছে। ওই টাকা না দিয়ে ইউপি সদস্যা আরজ খাতুন উল্টো আরও কয়েক বছরের জন্য বর্গা নিয়ে নেওয়ার জন্য তার বাবাকে চাপ প্রয়োগ করে আসছেন।
কিন্তু নুরুল আলম আগের টাকা না দিলে নতুন করে বর্গা দিতে অস্বীকৃতি জানালে গত ২৪ মে বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে ইউপি সদস্যা আরজ খাতুনের লেলিয়ে দেওয়া একাধিক মামলার আসামি আনছুর আলম, মিজান, রুবেল, রিয়াজ ও জয়নালসহ আরও বেশ কয়েকজন ঢেমুশিয়া তেচ্ছিরপুল রাস্তার মাথা এলাকায় নুরুল আলমকে ধরে পরিধানের কাপড় খুলে ছিঁড়ে ফেলে গ্রামবাসীর সামনে নির্যাতন করে।