রবিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১:১৩ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
বিভিন্ন পত্রিকায় মিথ্যাচারের জবাব দিলেন যুবদল নেতা জাবেদ ইকবাল লবণ আমদানির চক্রান্ত রুখতে হবে বিসিক কক্সবাজারে পাঁচদিনব্যাপী শিল্পোদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি’র ভর্তি ফি’তে ৫০ শতাংশ ছাড়সহ শতভাগ স্কলারশিপ প্রকাশিত সংবাদে আহমদ কবিরের প্রতিবাদ অবসরপ্রাপ্ত সেক্রেটারি রশিদ আহমদের চিংড়ি প্রজেক্ট জবরদখলের অভিযোগ কক্সবাজার শহরে তারেক বাহিনী সক্রিয়, সশস্ত্র মহড়া ভারুয়াখালীতে চিংড়ি প্রজেক্ট দখলে নিতে সশস্ত্র হামলায় আহত ২, লুটপাট ঈদগাঁও ইউনিয়ন বিএনপি’র আহবায়ক কমিটি স্বেচ্ছাসেবক দল ফতেখারকুল শাখার ৭ সদস্যের কমিটি অনুমোদন

অবহেলিত এক জনপদের নাম পশ্চিম বাইশারী

বার্তা কক্ষ / ৩৫৯ বার পড়ছে
আপলোড : রবিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১:১৩ পূর্বাহ্ন

আবদুল হামিদ, বাইশারী:
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়ন সদরে অবস্থিত এক অবহেলিত উন্নয়ন বঞ্চিত জনপদের নাম পশ্চিম বাইশারী ।
শিক্ষাদিক্ষা সাংস্কৃতিক দিক দিয়ে এগিয়ে থাকলে ও গ্রামটি রয়েছে উন্নয়নের দিক থেকে পিছিয়ে।
বাইশারী ইউনিয়ন সদরের ৭ নং ওয়ার্ড ও কলেজ মাঠ সংলগ্ন গ্রামটি সহ আরো দশটি গ্রামে যাতায়তের সুবিধার জন্য এক বছর পুর্বে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা ব্যয়ে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি পি আই ও ব্রীজ নির্মান করা হয়। ব্রীজটি নির্মানের পর উভয় পার্শ্বে মাটি দিয়ে ভরাট করার থাকলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কোন রকম জান ছুড়াও পদ্বতিতে দায়সারা ভাবে কাজ বুঝিয়ে দিয়ে উধাও হয়ে যায় বলে জানান স্থানীয় অনেকেই।

স্থানীয় বাসিন্দা আবু সাঈদ জানান ব্রীজটি নির্মানের পর থেকে দুঃখ দুর্দশা আরো বেড়ে যায়। ব্রীজটির উভয় পার্শ্বে গাইড ওয়াল ও গার্ডার নেই। অল্প কিছু যাহা মাটি দিয়েছিল তাও গত বর্ষা মৌসুমে খালের পানিতে শেষ হয়ে যায়। তিনি আরো বলেন স্থানীয়দের অর্থ সহায়তায় মাটি দিয়ে কোন রকম জনসাধারন চলাচল করছে বর্তমানে। কিন্ত বর্ষা মৌসুম শুরু হলে যেই লাউ সেই কদু।

সরজমিনে দেখা যায় বাইশারী সদরে গ্রামটির অবস্থান হলে ও যাতায়তের প্রধান সমস্যা কাচা রাস্তা ও ব্রীজটি। ব্রীজের উভয় পাশ্বে কাদামাটিতে একাকার। বৃষ্টি শুরু হলে যাতায়তে খুবই কঠিন। সাধারন মানুষ থেকে শুরু করে ছাত্র ছাত্রীরা আছাড় খেয়ে হাত পা ভেংগে ও কাদা পানিতে পড়ে সর্বশান্ত হয়ে যায়।

সরজমিনে আরো দেখা যায় বাইশারী কলেজ মাঠ সংলগ্ন ব্রীজটির উপর ও সড়ক দিয়ে দৈনিক কয়েক হাজার লোকজনের যাতায়ত হয়ে থাকে। পাশাপাশি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১ টি, কেজি ১ উচ্চ বিদ্যালয় ২ কলেজ ১ মাদ্রাসা ৩ এবং বাজারের লোকজন যাতায়ত করে থাকেন। কিন্ত সড়ক ও ব্রীজটির বেহাল দশায় চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও শাহ নুরুদ্দিন দাখিল মাদ্রসার সিনিয়র শিক্ষক আবদুল গফুর বলেন ব্রীজটি নির্মান হলে ও ব্রীজের উভয় পাশে ইট না দেওয়ায় বৃষ্টি হলেই চলাচল বন্দ হয়ে করুন দশায় পরিনত হয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুল আজিম জানান ব্রীজটি নির্মান হলে ও এই এলাকার জনগনের দুঃখ দুর্দশা রয়ে গেল। তিনি পরিষদ চেয়ারম্যান কে জানাবেন।
ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আলম বলেন বিষয়টি তার মনে আছে এবং জেলা পরিষদের কাছে উক্ত সড়কের কাগজ পত্র পাঠানো হয়েছে।
ইনশাল্লাহ সমাধান হয়ে যাবে।
এলাকাবসী সড়ক ও ব্রীজের উপর দিয়ে জনসাধারন চলতে পারে সে বিষয়ে কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।