শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:২১ অপরাহ্ন

শিরোনাম :
বিভিন্ন পত্রিকায় মিথ্যাচারের জবাব দিলেন যুবদল নেতা জাবেদ ইকবাল লবণ আমদানির চক্রান্ত রুখতে হবে বিসিক কক্সবাজারে পাঁচদিনব্যাপী শিল্পোদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি’র ভর্তি ফি’তে ৫০ শতাংশ ছাড়সহ শতভাগ স্কলারশিপ প্রকাশিত সংবাদে আহমদ কবিরের প্রতিবাদ অবসরপ্রাপ্ত সেক্রেটারি রশিদ আহমদের চিংড়ি প্রজেক্ট জবরদখলের অভিযোগ কক্সবাজার শহরে তারেক বাহিনী সক্রিয়, সশস্ত্র মহড়া ভারুয়াখালীতে চিংড়ি প্রজেক্ট দখলে নিতে সশস্ত্র হামলায় আহত ২, লুটপাট ঈদগাঁও ইউনিয়ন বিএনপি’র আহবায়ক কমিটি স্বেচ্ছাসেবক দল ফতেখারকুল শাখার ৭ সদস্যের কমিটি অনুমোদন

চকরিয়ায় রেড জোন এলাকায় প্রশাসনের সাথে ব্যবসায়ীদের লুকোচুরি!

বার্তা কক্ষ / ২৮২ বার পড়ছে
আপলোড : শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:২১ অপরাহ্ন

রাজু দাশ, চকরিয়া:
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে কক্সবাজার চকরিয়া পৌরসভা এবং ডুলাহাজারা ইউনিয়ন আংশিক ওয়ার্ডে রেড জোন ঘোষণা করলেও তা মানছেনা সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীরা।

হাট- বাজার গুলোতে কমছে না মানুষের উপস্থিতি সংক্রমনের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। সামাজিক দুরত্ব না মেনে চলাফেরায়। বাজার ও মার্কেটে ম্যাজিষ্ট্রেট ও পুলিশ ঢুকলেই কিছু সময়ের জন্য ফাঁকা হলেও। প্রশাসনের লোক চলে যাওয়ার পরপরই আবার তারা পূর্বের মত চোর পুলিশ খেলায় মেতে উঠছে।

উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন চকরিয়া করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ চকরিয়ার উল্লেখিত এলাকাকে ‘রেড জোন’ হিসাবে চিহ্নিত করা হলে নানামুখী কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। সাপ্তাহিক দুইবার সোমবার ও বুধবার মুদি দোকান স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত খোলা যাবে। সকল প্রকার দোকান, মার্কেট, হাট-বাজার, ফুটপাতের দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। চকরিয়া সংসদ সদস্য আলহাজ্ব জাফর আলম উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা ও মাইকিং করেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে! কে শোনে কার কথা? মনে হচ্ছে পৌরশহরে প্রতিটি মানুষ প্রশাসনের সঙ্গে লুকোচুরি খেলছে। প্রশাসনের টহল টিম বাজারে এক পাশ থেকে দোকান বন্ধ করে চলে যাচ্ছে আর এক পাশ থেকে খুলে রীতিমত ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এ চিত্র পৌরসভা এলাকায় প্রতিটা দোকানে হাট বাজারে।
সরেজমিনে রেড জোন এলাকায় পৌরসভায় ঘুরে দেখা যায়, পৌরশহরে চিরিংগা কাঁচা বাজার, থানা রাস্তা মাথায় রড সিমেন্টের দোকান গুলো,পৌর বাস টার্মিনাল দোকান গুলো, প্রতিটি ওয়ার্ডে চায়ের দোকান থেকে শুরু করে সেলুন দোকান দর্জি দোকান নিত্যপ্রয়োজন দোকানে অসাধু ব্যবসায়ী প্রায় প্রতিদিনই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ব্যবসায়ীরা তাদের দোকানের সামনে গিয়ে বসে থাকছে। কাস্টমার আসলেই দোকনের তালা খুলে ভিতরে নিয়ে সাটার নামিয়ে দিয়ে বেচা কেনা করছে।

এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাইলে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, নিজের পরিবারের কথা চিন্তা না করেও প্রতিদিন পৌরশহরে এবং ডুলাহাজারা ইউনিয়ন আংশিক ওয়ার্ড গুলোতে বিভিন্ন বাজার ও মার্কেটে সেনাবাহিনী ও পুলিশং টিম নিয়ে অভিযান অব্যাহত রেখেছেন। আমরা টহলে গেলে সঙ্গে সঙ্গে দোকান পাশার বন্ধ করছে এবং চলে আসার সাথে সাথে আবার আগের মত তারা ব্যবসা-বাণিজ্য চালিয়ে গণজমায়েত সৃষ্টি করছে। করোনা ভাইরাস মারাত্মক একটি প্রাণঘাতী ভাইরাস,তারা করোনা ভাইরাস কে ভয় করছে না আমাদের সাথে লুকোচুরি খেলছে। তবে এত বোঝানোর পরও যদি জনসাধারণ সরকারের আইন অমান্য করে তাহলে আমরা আরোও কঠোর অবস্থানে যেতে বাধ্য হবো বলে জানান।