শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৯ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
ভারুয়াখালীতে চিংড়ি প্রজেক্ট দখলে নিতে সশস্ত্র হামলায় আহত ২, লুটপাট ঈদগাঁও ইউনিয়ন বিএনপি’র আহবায়ক কমিটি স্বেচ্ছাসেবক দল ফতেখারকুল শাখার ৭ সদস্যের কমিটি অনুমোদন কক্সবাজার জেলা জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক এড. মোহাম্মদ তারেক জামিনে বেরিয়ে এসে মালুমঘাটে হত্যা মামলার আসামীদের হামলা লুটপাট কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি পরিদর্শনে চট্টগ্রামের সমন্বয়ক টিম বন্যাদূর্গত পরিবারে কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির আর্থিক সহায়তা ফেনীতে বন্যার্তদের জন্য কমিউনিটি রান্নাঘর চালু করে ২৩ হাজার গরম খাবার দিল কোস্ট ফাউন্ডেশন ইলিয়াছ মিয়া চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের বৃক্ষরোপণ পান বাজার রোডে এশিয়া ফার্মেসি উদ্বোধন

২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ বন্ধ করতে হবে

বার্তা কক্ষ / ৩৯০ বার পড়ছে
আপলোড : শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৯ পূর্বাহ্ন

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় এমভিসি এবং এলডিসিগুলির আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতা নিশ্চিত করতে হবে

ডেস্ক নিউজ:
২০৫০ সালের মধ্যে নেট জিরো কার্বনের পরিবর্তে কার্বন নিংসরণ একেবারেই বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন অতি বিপদাপন্ন দেশের নাগরিক সমাজ। তাদের দাবি, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় এমভিসি এবং এলডিসিগুলির আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতা নিশ্চিত করতে হবে।

স্কটল্যান্ডের গ্ল্যাসগোতে চলমান জলবায়ু সম্মেলন (কপ ২৬) উপলক্ষ্যে ৫ নভেম্বর আয়েজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়েছে।

মূল সম্মেলনস্থলের ‘মিটিং রুমে’ অনুষ্ঠিত এই সংবাদ সম্মেলনে সবচাইতে ঝুঁকিপূর্ণ দেশ বা এমভিসিসমূহের নাগরিক সমাজ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় অতি বিপন্ন এবং স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতা প্রদানে ধনী দেশগুলোর প্রতি আহ্বানন জানান।

উল্লেখ করা যেতে পারে যে, বায়ুমণ্ডলে যে পরিমাণ কার্বন নিসরণ করা হবে, ঠিক সেই পরিমাণ কার্বন বিভিন্ন উপায়ে গ্রহণ করে ফেলে, বায়ুমণ্ডলে কার্বনের চাপ কমানোর বিষয়টিকেই নেট জিরো বলে অভিহিত করা হচ্ছে। নাগরিক সমাজ মনে করেন, তথাকথিত এই পরিকল্পনা অনেককে কার্বন উদগীরণে উৎসাহিত করবে।

‘কপ ২৬ এবং এলডিসি এবং এমভিসিগুলোর জনগণের প্রত্যাশা ২৬’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে বক্তৃতা করেন, ভারতের পিপলস ফোরামের সৌম্য দত্ত, বাংলাদেশে থেকে মোঃ জিয়াউল হক মুক্তা (সেন্টার ফর সাসটেইনেবল রুরাল লাইভিলিহুড), মোঃ শামসুদ্দোহা (সেন্টার ফর পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট), শামীম আরফিন (এওএসইডি), মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন মাসুম (সিডিপি)। সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইক্যুইটি এন্ড জাস্টিস ওয়ার্কিং গ্রুপ বাংলাদেশ থেকে আমিনুল হক।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করতে গিয়ে আমিনুল হক বলেন যে, এই কপ-২৬ অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের অুীত প্রতিশ্রুতিগুলোর ব্যর্থতার প্রেক্ষাপটে একটি ক্রান্তিকালীন সময়ে। এরপরেও আমি আশাবাদী, কারণ উন্নত দেশগুলি বৈশ্বিক উষ্ণতা হ্রাসে তাদের প্রতিশৃুতিবদ্ধ পদক্ষেপগুলো অব্যাহত রাখার পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় এমভিসি দেশগুলোকে সহযোগিতা করার অঙ্গীকার অন্তত করেছে। তিনি সংবাদ সম্মেলনে নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে কয়কটি সুনির্দিষ্ট দাবি তুলে ধরেন, সেগুলি হলো (ক) উন্নত দেশগুলিকে অবশ্যই তাদের ‘নেট জিরো টার্গেট’ তত্ত্ব পরিবর্তন করতে হবে, এর পরিবর্তে তাদের আবার নিজ নিজ দেশের এনডিসি (জাতীয়ভাবে নির্ধারিত অবদান) সংশোধন করতে হবে, যার লক্ষ্য হবে কার্বন নিঃসরণ মাত্রা ২০৫০ সালের মধ্যে শূণ্যে নামিয়ে আনা। (খ) উন্নত দেশগুলিকে গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড এবং তাদের নিজস্ব উৎস্য থেকে এলডিসি এবং এমভিসিগুলির জন্য পর্যাপ্ত জলবায়ু অর্থাযন নিশ্চিত করতে হবে, (গ) ক্ষয়-ক্ষতির (লস এন্ড ড্যামেজ) জন্য অর্থায়নের আলাদা ব্যবস্থা থাকতে হবে এবং সেই অর্থায়ন প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করতে হবে।

সৌম্য দত্ত বলেন, ‘নেট জিরো’ একটি শব্দগুচ্ছ যা আমাদের কল্পিত ভবিষ্যত প্রযুক্তির জাদুকরী চিন্তাভাবনাকে উপস্থাপন করে। এটি কেবল নানা উপায়ে বায়ুমন।ডল থেকে কার্বনকে গ্রহণ করে ফেলার পরিকল্পনার কথা বলে। এর ফলে এই পরিকল্পনা ধনী দেশগুলোর কাবর্ন কমানোর ফলে ক্রমবর্ধমান হারে তা বাড়ানোর সুযোগ তৈরি করে দেয়। এই কারণেই এটি সমস্যা সমাধানের একটি একটি অকার্যকর প্রস্তাব, এবং সব দেশকেই ্েি নেট জিরো নিয়ে আলোচনা বন্ধ করা খুব জরুরি, জীবাস্ম জ্বালানী ব্যবহার কমিয়ে এনে ‘শূন্য নির্গমন’ এর লক্ষ্যমাত্র নিয়ে আলোচনা করতে হবে।

মোঃ শামসুদ্দোহা বলেন, উন্নত দেশগুলোর সংশোধিত এনডিসি এবং সেগুলোর পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নে বৈশ্বিক তাপমাত্রা ২ ডিগ্রির বেশি হারে বাড়বে, যা অগ্রহণযোগ্য। এই ধরনের প্রেক্ষাপটে উন্নত দেশগুলিকে ২০৩০ সালের মধ্যে প্রশমনের লক্ষ্যে বৈশ্বিক কার্বন নির্গমন ৪৫ শতাংশ কমানোর একটি বৃহত্তর উচ্চাকাক্সক্ষা গ্রহণ করতে হবে। এর জন্য তাদের এনডিসি পুনরায় সংশোধন করে ২০৩০ এবং ২০৫০ এর জন্য নতুন লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে। সাধারণ কিন্তু ভিন্ন ভিন্ন দায়িত্বের নীতি অনুযায়ী এবং জাতীয় পরিস্থিতির আলোকে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

মোঃ মাসুম বলেন, অভিযোজনে অর্থায়নের ক্ষেত্রে ধনী দেশগুলোর অবস্থান নেতিবাচক, বর্তমান সংগ্রহীত তহবিলে এই খাতের অর্থায়ন মাত্র ২০%, যা খুবই নগন্য। নতুন যৌথ জলবায়ু আর্থায়নের মূল ভিত্তি হবে ‘জলবায়ু ন্যায়বিচার’ দৃষ্টিকোণ, যেখানে আর্থায়ন পর্যাপ্ত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে এবং অবশ্যই তা ১০০ বিলিয়ন লক্ষ্য অতিক্রম করবে। অভিযোজন এবং পরবর্তীতে প্রশমন উভয় ক্ষেত্রের জন্যই তহবিল পাওয়ার ক্ষেত্রে এমভিসিগুলোকে দিতে হবে। মোঃ শামীম বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে প্রতিবছর লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে জীবিকার সব উপায় হারায়, এক্ষেত্রে মানবাধিকার লঙ্ঘন একটি সাধারণ ঘটনা । ধনী দেশগুলোর দায়িত্ব আছে সমস্যাটির সমাধান করা এবং সেই অনুযায়ী অর্থ ও প্রযুক্তি সহায়তা নিশ্চিত করা। ‘সান্টিয়াগে নেটওয়ার্ক ফর লস এন্ড ড্যামেজ’-এর প্রস্তাবিত প্রক্রিয়াটিকে অর্থায়নের মাধ্যমে এটিকে সম্পূর্ণরূপে কার্যকর করতে তাদের সমর্থন করা উচিত।