শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৪৭ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
ভারুয়াখালীতে চিংড়ি প্রজেক্ট দখলে নিতে সশস্ত্র হামলায় আহত ২, লুটপাট ঈদগাঁও ইউনিয়ন বিএনপি’র আহবায়ক কমিটি স্বেচ্ছাসেবক দল ফতেখারকুল শাখার ৭ সদস্যের কমিটি অনুমোদন কক্সবাজার জেলা জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক এড. মোহাম্মদ তারেক জামিনে বেরিয়ে এসে মালুমঘাটে হত্যা মামলার আসামীদের হামলা লুটপাট কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি পরিদর্শনে চট্টগ্রামের সমন্বয়ক টিম বন্যাদূর্গত পরিবারে কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির আর্থিক সহায়তা ফেনীতে বন্যার্তদের জন্য কমিউনিটি রান্নাঘর চালু করে ২৩ হাজার গরম খাবার দিল কোস্ট ফাউন্ডেশন ইলিয়াছ মিয়া চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের বৃক্ষরোপণ পান বাজার রোডে এশিয়া ফার্মেসি উদ্বোধন

সার্বিক সুস্থতায় হাল আমলের জিনিস কেনা অপচয়

বার্তা কক্ষ / ৫৯ বার পড়ছে
আপলোড : শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৪৭ পূর্বাহ্ন

ডেস্ক নিউজ:
স্বাস্থ্যকর থাকতে নানান পণ্য বিক্রি হয়। তবে সেগুলোর পেছনে অযথাই পয়সা ও সময় খরচ করার মানে নেই।

মোটা বা চিকন করার কোনো্ খাবার, ফর্সা হওয়ার ক্রিম বা সুস্থ থাকতে নির্দিষ্ট কোনো সরবত পান- এসবই চটকদার দুনিয়ার মন ভোলানো ব্যাপার।

ভালো থাকা ও সুস্থতা নির্ভর করে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের ওপর।

সেজন্য প্রয়োজন ভালো অভ্যাস গড়া।

রুটিন তৈরি করার শপথ নিন:
পুষ্টিকর খাবার খাওয়া, সময় মতো ঘুমানো ওঠা কিংবা ব্যায়ামের অভ্যাস গড়ার জন্য দরকার প্রবল ইচ্ছাশক্তি।

তবে বিশেষজ্ঞদের মতে ইচ্ছাশক্তি বেশিদিন স্থায়ী হয় না।

এই বিষয়ে সিএনএন ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ‘ওয়ার্টন স্কুল অফ দ্য ইউনিভার্সিটি অফ পেনসিলভেনিয়া’র ‘দ্য জেমস জি. ডিনান’ অধ্যাপক কেইটি মিল্কম্যান বলেন, “প্রতিষ্ঠিত রুটিনের সাথে ভালো অভ্যাস গড়তে পারলেই যে কোনো বিষয়ে লেগে থাকা যায়।”

“অভ্যাস হল কোনো মানুষকে সচেতন চিন্তা ছাড়াই বারবার কোনো কাজ করাতে যুক্ত রাখে”- একই প্রতিবেদনে মন্তব্য করেন মার্কিন মনোবিজ্ঞানি ওয়েন্ডি উড।

তাই লক্ষ্য হবে প্রতিদিনের রুটিনের সাথে নতুন অভ্যাস গড়া।

ভালো ঘুমের জন্য:
ছোট শিশু কিশোররা সাধারণত প্রতিরাতে একই রুটিনে ঘুমাতে যায় বা প্রতিদিন একই সময়ে গোসল করে, বই পড়ে ইত্যাদি।

“বয়স বাড়লেও সেটা করতে হয়”- বলেন মার্কিন মনোবিজ্ঞানী মাইকেল গ্রান্ডনার।

নির্দিষ্ট কাজ নির্দিষ্ট সময়ে করতে থাকলে শরীরে যে অভ্যস্ততা তৈরি হয়। আর দেহ রাত আসতে আসতে বুঝে যা্য় এসব কাজের পরে ঘুমাতে হবে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ভালো ঘুম হয়।

এবার রুটিনে লেগে থাকা:
যদি ইচ্ছাশক্তি হারিয়ে যায় তবে কোনো কাজ বার বার করে অভ্যস্ততায় আনার উপায় রয়েছে।

মিল্কম্যান বলেন, “এই ক্ষেত্রে কোনো ইঙ্গিতপূর্ণ পরিকল্পনা করতে হয়। মানে কোনো একটা কিছু ঘটলে তখন সেটা করা।”

আমি প্রতিদিন ৩০ মিনিট স্প্যানিশ শিখবো- এটা একটা পরিকল্পনা। তবে একে অভ্যস্ততায় আনতে চাইলে ব্যাপারটা হবে এরকম- প্রতিদিন বাসায় ফেরার পর আমি ৩০ মিনিট এই কাজটা করবো।

এছাড়া প্রলোভন তৈরি করতে পারলেও কাজ হয়।

যেমন- ৪৫ মিনিট ব্যায়াম করার পর প্রিয় সিরিজ দেখবো।

মিল্ক ম্যান বলেন, “এভাবে করতে থাকলে একসময় খেয়াল করবেন ব্যায়াম করতে অভ্যস্ত হয়ে গেছেন। তখন আর বিরক্ত বা আলসেমিও কাজ করবে না।”

মৌলিক পরিবর্তন করুন:
সবজির সরবত গ্রহণ বা পার্লারে গিয়ে ত্বকের যত্ন করা ভালো। তবে এগুলোতো সব সময় করা যায় না। সে কারণে ভালো থাকতে কিছু মৌলিক পরিবর্তনের দরকার পড়ে।

খাবারে ভিন্নতা: নানান ধরনের খাবারের ভিড়ে পুষ্টিকর খাবার বেছে নিতে হবে। তবে একঘেয়ে খাবার খাওয়া যাবে না।

তৃপ্তিকর ও পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়াতে নজর দিতে হবে।

বাদ দিতে হবে মদ্যপান করার অভ্যাস।

সব কিছুর পর নজর দিতে হবে বন্ধুত্বের দিকে। এই সম্পর্ক শুধু সামাজিকতা রক্ষার্থেই নয় বরং শারীরিকভাবে ‍সুস্থ রাখতেও সাহায্য করে।

ছোটখাট বিষয় দিয়ে কারও সাথে বন্ধুত্ব শুরু হতে পারে। হতে পারে সেটা ফোনে টেক্সক ম্যাসেজ বা কফি পানে দাওয়াত। আর এভাবে একটা সময় অতিবাহিত হলে বন্ধুত্ব গড়ে উঠবে।

সম্পর্ক বিষয়ক মার্কিন বিশেষজ্ঞ অ্যাডাম স্মাইলি পজওলস্কি এই বিষয়ে বলেন, “প্রতিনিয়ত চর্চায় মানুষের কাছে যাওয়া যায় বন্ধুত্ব গড়া সম্ভব হয়।”

বিভিন্ন গবেষণার তথ্য তুলে ধরে তার লেখা ‘ফ্রেন্ডশিপ ইন দ্য এইজ অফ লোনলিনেস’ বইতে লেখেন- ‘কারও সাথে ৯০ ঘণ্টা কাটানো গেলে তাকে বন্ধু হিসেবে ধরে নেওয়া যায়। আর ২শ’ ঘন্টার বেশি সময় কাটাতে পারলে তাকে ধরে নিতে হবে ঘনিষ্ট বন্ধু। যার সাথে আবেগীয় সম্পর্কও স্থাপিত হয়েছে।’

“এই ব্যস্ত বিশ্বে আমরা অনেক কিছুই ভুলে যাই। তাই ক্যালেন্ডারে টুকে রাখা যেতে পারে বন্ধুদের নিয়ে নানান তথ্য। যেটা যথা সময়ে জানান দিলে সেই হিসেবে বন্ধুকে শুভেচ্ছা জানাতে পারেন। এভাবে বন্ধুত্ব গাঢ় করা সম্ভব” পরামর্শ দেন পজওলস্কি।

সুস্থতার জন্য এসব অভ্যাস একটা প্রক্রিয়া। জীবনের প্রতিক্ষেত্রে চরম পদক্ষেপ না নিয়ে বরং সামঞ্জস্যমূলক পদচারণায় জীবন চালাতে হবে।