বোরহান উদ্দিন রব্বানি, ঢাকা
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি ও সাবেক আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু মারা গেছেন।
ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন।
আজ বুধবার বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
করোনাভাইরাস পরবর্তী জটিলতায় শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে তাঁকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।
আবদুল মতিন খসরুর ব্যক্তিগত সহকারী অ্যাডভোকেট মো. মহিন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত ১৫ মার্চ আবদুল মতিন খসরু সংসদ সচিবালয়ে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন।
১৬ মার্চ সকালে তাঁর রিপোর্টে করোনা পজিটিভ আসে। ওইদিনই তাঁকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়।
গত ২৮ মার্চ রাত ১২টার দিকে তাঁকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয়।
১ এপ্রিল আবদুল মতিন খসরুর করোনা পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ আসে। পরে ৩ এপ্রিল আইসিইউ থেকে তাঁকে সাধারণ কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। এরপর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ৬ এপ্রিল তাঁকে আবার আইসিইউতে নেওয়া হয়।
সাবেক আইনমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু গত ১৩ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৫০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মিরপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
তাঁর বাবার নাম মো. আবদুল মালেক ও মা জাহানারা বেগম। তাঁরা চার ভাই ও এক বোন৷ আবদুল মতিন খসরু ব্যক্তিজীবনে এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক।
আবদুল মতিন খসরু ১৯৮৬ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
এরপর ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
তিনি ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের আইনমন্ত্রী ছিলেন।
Leave a Reply